আর কল্পনা নয়, এবার বাস্তবে যাত্রী নিয়ে আকাশে উড়বে ট্যাক্সি! আগামী দুই বছরের মধ্যে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে ব্রিটেন।
এ ধরনের দৃশ্য এতদিন সায়েন্স ফিকশনে দেখা গেলেও এবার বিষয়টিকে বাস্তবে রূপ দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে ব্রিটেনের পরিবহন মন্ত্রণালয়। আগামী ২০২৬ সালের শুরুর দিকে তারা ট্যাক্সিকে যাত্রী নিয়ে আকাশে উড়াতে চায়।
ব্রিটিশ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের ফিউচার অব ফ্লাইট অ্যাকশন প্ল্যানের অংশ হিসেবে এই প্রস্তাবকে সামনে আনা হয়েছে। শুধু তাই নয়, এই প্রস্তাবনার অধীনে চালকবিহীন ট্যাক্সি বাস্তবে আকাশে উড়তে পারে আগামী ছয় বছরের মধ্যে। যে পরিকল্পনা বা নকশা নিয়ে অগ্রসর হচ্ছে কর্তৃপক্ষ তার অর্থ তারা প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার করতে চায়। এর মধ্য দিয়ে দেশটির অর্থনীতিকে ২০৩০ সালের মধ্যে ৪৫০০ কোটিতে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
ব্রিটেনের বেসামরিক ও প্রযুক্তি বিষয়ক মন্ত্রী অ্যান্থনি ব্রাউনি বলেছেন, এই পরিকল্পনা পরিবহন জগতে বিপ্লব নিয়ে আসবে।
তিনি বলেন, কাটিং-এজ ব্যাটারি প্রযুক্তি ব্যবহার করে এই বিপ্লব ঘটানো হবে। আমাদের যে অবকাঠামো এবং বিধিবিধান রয়েছে তার অধীনেই এ পরিকল্পনাকে বাস্তবে রূপ দেওয়া সম্ভব।
তিনি আরও বলেন, উড়ন্ত ট্যাক্সি থেকে জরুরি সেবা দেওয়ার ড্রোন- পর্যন্ত সব খাতেই পরিবহনে নাটকীয়ভাবে এগিয়ে যাওয়া নিশ্চিত করছে ব্রিটেন। এর ফলে মানুষের জীবনের মান উন্নত হবে। সমৃদ্ধ হবে অর্থনীতি। এই প্রস্তাবের অধীনে ‘বিয়োন্ড ভিজুয়াল লাইন অব সাইটে’ (বিভিএলওএস) ড্রোনগুলোকে উড়তে দেওয়া হবে। ফলে এই খাত আকাশে অন্য বিমান চলাচলকে সীমাবদ্ধ করা ছাড়াই তার কর্মকাণ্ড চালাতে পারবে।
জননিরাপত্তাকে সমৃদ্ধ করতে ড্রোনের জন্য উন্নত নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এতে অর্থনীতি ও সামাজিক সুবিধা অর্জন হবে। মন্ত্রী ব্রাউনি ব্রিস্টলে ভারটিক্যাল এরোস্পেস পরিদর্শন করেন। এ সময় অ্যাকশন পরিকল্পনা ঘোষণা করা হয়।
ব্রিস্টলে অবস্থিত ভারটিক্যাল এরোস্পেস হলো আকাশে উড়ন্ত ট্যাক্সি তৈরির ব্রিটিশ কোম্পানি। বর্তমানে তারা বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের অধীনে কাজ করছে।
ভারটিক্যাল এরোস্পেসের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা স্টিফেন ফিটজপ্যাট্রিক বলেন, সরকার এবং ব্যবসায় খাত একত্রিতভাবে কাজ করে আমরা বিপুল পরিমাণ অর্থনৈতিক, পরিবেশগত এবং সামাজিক সুবিধা অর্জন করতে পারি। এক্ষেত্রে বিশ্বজুড়ে কার্বন নির্গমন না করেই তা করা যায়।