পৃথিবীর নিরাপদ শহরগুলোর একটি সিঙ্গাপুর। পরিচ্ছন্ন আর গোছানো। তবে এই অবস্থায় এক দিনে আসেনি। বরং আছে অনেক ত্যাগ, চেষ্টা আর পরিকল্পনা।
পৃথিবীর নিরাপদ শহরগুলোর একটি সিঙ্গাপুর। পরিচ্ছন্ন আর গোছানো। তবে এই অবস্থায় এক দিনে আসেনি। বরং আছে অনেক ত্যাগ, চেষ্টা আর পরিকল্পনা।
ড্রিঙ্কস কোনটা দিব স্যার? কোক নাকি স্লিং?
হেডফোন খুলে মনিটর থেকে চোখ সরিয়ে তাকালাম সুন্দরী এয়ার হোস্টেসের দিকে। কিছু বলার আগেই সহযাত্রী রুমির কণ্ঠ শুনতে পেলাম।
দুটো স্লিং প্লিজ।
শিওর স্যার।
ছোট দুটো জুসের গ্লাস ট্রেতে রেখে চলে গেলেন ভদ্রমহিলা। গ্লাসের ভেতর গোলাপি বর্ণের তরল। জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে আমিনের দিকে তাকাতেই বলে উঠল, ‘শোন দোস্ত, নতুন কোথাও গেলে সেখানকার স্পেশাল যা আছে চেখে দেখবি। কোক তো দুনিয়ার সবখানেই পাবি, এই সিঙ্গাপুর স্লিং কেবল সিঙ্গাপুর এয়ারেই সার্ভ করে। এমন সুযোগ মিস করতে নেই।’
রুমির কথা শুনে যতটা উৎসাহী হয়ে উঠেছিলাম, গ্লাসে চুমুক দিয়ে ততটাই আশাভঙ্গ হতে হলো। তিতকুটে স্বাদের এই পানীয় মোটেই মুখরোচক নয়। তাই যখন বললাম যে এটা ফিরিয়ে কোকই নেব, সঙ্গে সঙ্গে হা হা করে উঠল বেচারা।
‘কোক নিবি নে, স্লিং ফিরিয়ে দিয়ে কী করবি? এর চেয়ে আমিই শেষ করলাম তোর ড্রিংকস।’
‘তথাস্তু’ বলে জানালা দিয়ে বাইরে তাকালাম। ঢাকা বিমানবন্দর ছেড়েছি রাত সাড়ে ১২টার দিকে। চার ঘণ্টার ফ্লাইটের প্রায় শেষ প্রান্তে চলে এসেছি। প্লেনে কেন জানি ঘুম আসে না; অথচ বাস বা ট্রেনে দিব্যি ঘুমাতে পারি। আলোঝলমলে সিঙ্গাপুর শহরটাকে দেখা যাচ্ছে নিচে। পূর্বাকাশে সকালের চিহ্ন ফুটতে শুরু করেছে। পোতাশ্রয়ের চারপাশে নোঙর করে আছে অসংখ্য জাহাজ। ওপর থেকে দেখতে সবকিছুকেই কেমন জানি অন্য রকম লাগে। পাখিদের এই জন্যই হিংসে হয়।
চাঙ্গি বিমানবন্দরকে পৃথিবীর অন্যতম আধুনিক এবং দৃষ্টিনন্দন বিমানবন্দর হিসেবে বিবেচনা করা হয়। সেটা যে মোটেও কথার কথা নয়, তা বুঝতে পারলাম বিমানবন্দরে নেমেই। সত্যিই অসাধারণ। সিঙ্গাপুরে প্রচুর ভারতীয়র, বিশেষ করে দক্ষিণ ভারতীয়দের বাস। তামিল ভাষা এখানকার চারটি সরকারি ভাষার অন্যতম। হিন্দুদের দীপাবলি উৎসবের সময় বলেই কিনা বিমানবন্দরের ভেতরেই দীপাবলি উপলক্ষে কিছু অস্থায়ী স্থাপনা করা হয়েছে। ঝলমলে সব ডিউটি ফ্রি শপের সমাহার চারদিকে। সবচেয়ে আশ্চর্য হয়েছি সবুজের ছড়াছড়ি দেখে। একটা আবদ্ধ স্থাপনায় যে পরিমাণ গাছপালা লাগানো এবং পরিচর্যা করা হচ্ছে, সেটা সত্যিই দেখার মতো। জুয়েল চাঙ্গি ওয়াটারফল নামে একটা দারুণ ঝরনা আছে এয়ারপোর্টের ভেতরেই। ইমিগ্রেশনেও ঝামেলা নেই।
সব আনুষ্ঠানিকতা শেষে যখন বের হয়েছি, তখন চারপাশ সূর্যের আলোয় উদ্ভাসিত হয়ে উঠেছে। মোবাইল সিম কার্ড আর শহরের মানচিত্র সংগ্রহ শেষে আগে থেকেই ঠিক করা গাড়িতে চড়ে হোটেলে পৌঁছাতে ৩০ মিনিটের মতো লাগল।
অরচার্ড নামের যে হোটেল আমরা বুক করেছি, সেটির অবস্থান অরচার্ড রোডেই। একদম মরিশাস দূতাবাসের লাগোয়া হোটেল। পাশেই আছে থাইল্যান্ড আর পাকিস্তানের দূতাবাস। বেলা দুটোর আগে চেক–ইন সম্ভব নয় বিধায় আমি আর রুমি বেরিয়ে পড়লাম ডলার ভাঙাতে। রুমি যেহেতু আগেও এসেছে, তাই সিঙ্গাপুরের অলিগলি তার নখদর্পণে। এমনিতে আশপাশে মানি এক্সচেঞ্জের দোকান থাকলেও সবচেয়ে ভালো রেট পাওয়া যায় মোস্তফা মার্কেটে। লিটল ইন্ডিয়া নামক জায়গায় এর অবস্থান। নাম শুনেই বোঝা যায় জায়গাটাতে ভারতীয়দের আধিপত্য বিরাজমান। তবে বাংলাদেশিদের সংখ্যাও কম নয়। বাংলা খাবারের দোকান আছে বেশ কয়েকটা। এমন একটা রেস্টুরেন্টেই দুপুরের খাবার সেরেছি। দোকান মালিক বেশ সজ্জন ব্যক্তি।
একদম খাস বাঙালি রান্না। সিঙ্গাপুরে রাস্তাঘাটে ধূমপান নিষেধ। কিছু জায়গা নির্দিষ্ট করে দেওয়া আছে, সেখানেই ধূমপায়ীরা ভিড় করেন। মোস্তফা মার্কেটের পাশেই এমন এক গোলচত্বর আছে। প্রতিদিন বিকেলে প্রবাসী বাংলাদেশিদের মিলনমেলায় পরিণত হয় জায়গাটুকু। দেশের বাইরে স্বদেশের স্বাদ নেওয়ার জন্য সবাই একত্র হয় এখানে।
সিঙ্গাপুর নামটা এসেছে মালয় শব্দ ‘সিঙ্গাপুরা’ থেকে। আবার সিঙ্গাপুরা এসেছে সংস্কৃত শব্দ ‘সিমহা’ (মানে সিংহ) ও ‘পুরা’ (মানে শহর) থেকে। সিংহের শহর সিঙ্গাপুর। যদিও এর প্রাচীন নাম ছিল ‘তেমাসেক’, যার অর্থ সমুদ্রের শহর। সিঙ্গাপুরের স্বাধীনতার ইতিহাসও চমকপ্রদ। একটা দেশ স্বাধীনতা চায়নি, জোর করে তাদেরকে স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছিল এই ভেবে যে এই দেশের ভবিষ্যৎ বলে কিছু নেই। অথচ সেই দেশটিই আজ পৃথিবীর বুকে অন্যতম ধনী রাষ্ট্র হিসেবে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে। ১৯৬৫ সালে মালয়েশিয়ার (তৎকালীন মালয়) প্রধানমন্ত্রী টুংকু আবদুল রহমান মালয়েশিয়া কনফেডারেশন থেকে সিঙ্গাপুরকে বের করে দেন। এর প্রেক্ষাপটে অনেক কাহিনি আছে। সংক্ষেপে আলোচনা করা যাক।
সিঙ্গাপুর ব্রিটিশ শাসনাধীনে ছিল ১৪৪ বছর। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জাপানি বাহিনীর হাত থেকে শহর রক্ষায় ব্যর্থতার পর থেকেই ব্রিটিশ শাসনের ওপর সিঙ্গাপুরবাসী আস্থা হারায়। ওদিকে ব্রিটিশ সরকারও চায়নি আর সিঙ্গাপুরের দায়িত্ব নিজেদের কাঁধে রাখতে। তাদের ইচ্ছা ছিল সিঙ্গাপুর মালয়েশিয়ার সঙ্গে একীভূত হয়ে যাক। সিঙ্গাপুরের দায়িত্বে নিয়োজিত পিপলস অ্যাকশন পার্টির (পিএপি) সেক্রেটারি জেনারেল লি কুয়ান ইউয়েরও ইচ্ছা ছিল তাই। এর পেছনে কারণও ছিল যথেষ্ট। প্রথমত, ব্রিটিশদের সিঙ্গাপুর থেকে পুরোপুরি বিতাড়ন করা তাহলে সম্ভব হবে। দ্বিতীয়ত, সিঙ্গাপুরে বেকারত্বেও হার অনেক বেড়ে গিয়েছিল। মালয়েশিয়া যেহেতু তখন অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী দেশ, তাই মালয়েশিয়ার অঙ্গীভূত হতে পারলে বেকারত্ব সমস্যার একটা সুরাহা হবে। তৃতীয়ত, যেহেতু মালয়েশিয়া কমিউনিস্টবিরোধী দেশ, একীভূত হলে সিঙ্গাপুরের কমিউনিস্টদেরও দমন করা যাবে। এর সঙ্গে যোগ হয় ইন্দোনেশিয়ার আগ্রাসনের আশঙ্কা।
মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী টুংকু আবদুল রহমান শুরুতে এই একীভূত হওয়ার বিরোধী ছিলেন। ওনার ভয় ছিল সিঙ্গাপুরে যেহেতু চীনা বংশোদ্ভূত লোকজনের সংখ্যা বেশি, মালয় জাতির লোকজন সেখানে সংখ্যালঘু থাকবে এবং উনি চাইলেই নিজের ইচ্ছেমতে সিঙ্গাপুরকে চালাতে পারবেন না। তারপরও তিনি ব্রিটিশ প্রস্তাবে রাজি হন। সে জন্য ব্রিটিশদের কাছ থেকে সিঙ্গাপুরের পাশাপাশি সাবাহ ও সারাওয়াক প্রদেশের দায়িত্ব গ্রহণ করেন এবং মালয়, উত্তর বোর্নিও, সারাওয়াক, সিঙ্গাপুর মিলে মালয়েশিয়া কনফেডারেশন গঠনের সিদ্ধান্ত হয়। সে অনুযায়ী এক আড়ম্বরপূর্ণ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ১৯৬৩ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর মালয়েশিয়ার সঙ্গে অঙ্গীভূত হয় সিঙ্গাপুর।
এ পর্যন্ত শুনে তো মনে হবে সবাই মিলে এক সুখী পরিবারের গল্প শুনছি, কিন্তু ঝামেলা শুরু হতে সময় লাগেনি। আবদুল রহমানের রাজনৈতিক দল ইউনাইটেড মালয় ন্যাশনাল অর্গানাইজেশন (ইউএমএনও), সেটির মূলনীতি ছিল ‘মালয় মালয়েশিয়া’, অর্থাৎ মালয়েশিয়ায় প্রাধান্য থাকবে মালয় জাতির লোকজনের এবং এই প্রাধান্য সংবিধান দ্বারা স্বীকৃত ছিল। কিন্তু লি কুয়ান ইউর দল পিএপির মূলনীতি ছিল ‘মালয়েশিয়ান মালয়েশিয়া’, অর্থাৎ দেশে প্রতিটি জাতিগোষ্ঠীর স্বার্থ সমানভাবে সংরক্ষিত থাকবে। আবার বন্দর ব্যবহারের মাধ্যমে সিঙ্গাপুরের উপার্জিত আয়ের ৪০ শতাংশ মালয়েশিয়ার কেন্দ্রীয় সরকারকে দেওয়ার কথা ছিল, বিনিময়ে সিঙ্গাপুর পাবে পুরো দেশে কমন মার্কেট ইকোনমির সুবিধা। সেখানেও আবদুল রহমান বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা দেওয়া শুরু করেন। এর জবাবে লি কুয়ান ইউও কেন্দ্রীয় সরকারকে টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানায়। ইউএমএনও সিঙ্গাপুরের মালয়দের স্থানীয় চায়নিজদের বিপক্ষে খেপিয়ে তোলে। ফলাফল ১৯৬৪ সালের জাতিগত দাঙ্গা এবং সাধারণ মানুষের মৃত্যু।
এমনিতেই লি কুয়ান ইউকে পছন্দ করতেন না টুংকু আবদুল রহমান; এবার তিনি পার্লামেন্টের মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নেন যে সিঙ্গাপুরকে মালয়েশিয়া থেকে বের করে দেওয়া হবে। লি কুয়ান ইউ শেষ চেষ্টা করলেও দেশ দুটির আলাদা হওয়া ঠেকাতে পারেননি। একীভূত হওয়ার দুই বছরের কম সময়ে ১৯৬৫ সালের ৯ আগস্ট লি কুয়ান ইউ অশ্রুসিক্ত কণ্ঠে সিঙ্গাপুরের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। আবদুল রহমান কি আর ভেবেছিলেন যেই সিঙ্গাপুরকে তিনি অবহেলা করে ছুড়ে ফেলছেন, সেই সিঙ্গাপুরই একদিন তাঁর দেশকেও অর্থনৈতিক এবং সামাজিক সব সূচকেই ছাড়িয়ে যাবে?
‘সিঙ্গাপুর ইজ এ ফাইন সিটি।’
আনমনে ভাবছিলাম, সংবিৎ ফিরেছে ড্রাইভারের কথায়। দক্ষিণ ভারতের তামিলনাড়ুর অধিবাসী রজত সিঙ্গাপুরে আছে বছর আটেক হয়ে গেল। ওর কথায় সায় দিতেই সহাস্যে জানাল, এই ফাইন মানে ‘চমৎকার’ না, এই ফাইন মানে ‘জরিমানা’। সিঙ্গাপুরে ট্রাফিক আইন খুব কঠিন। কেউ আইন ভঙ্গ করলেই ডিমেরিট পয়েন্ট আর জরিমানার কবলে পড়তে হয়। রজত ‘গ্র্যাব’ চালায়। বাংলাদেশে যেমন উবার কিংবা পাঠাও, সিঙ্গাপুরে তেমনি গ্র্যাব। ট্যাক্সি ভাড়া অনেক বেশি বিধায় গ্র্যাবই ভরসা। ফেরার পথে গ্র্যাব ডেকেছিলাম। রজতের কাছে আরও জানা গেল যে সিঙ্গাপুরের ট্যাক্সি কিংবা গ্র্যাব ড্রাইভারদের শতকরা ৮০ ভাগই ভারতীয়। পরের কয়েকটা দিনে সেটার সত্যতা চোখে পড়েছে।
সন্ধ্যায় সেই গ্র্যাবে চেপেই এসেছি সিঙ্গাপুরের বিখ্যাত ল্যান্ডমার্ক মার্লিওনের মূর্তি দেখতে। ইন্টারনেটে সিঙ্গাপুর লিখে সার্চ দিলেই সিঙ্গাপুরের এই অফিশিয়াল মাস্কটের ছবি আসে সবার আগে। অর্ধেক মাছ আর অর্ধেক সিংহ আকৃতির মূর্তিটির নাম এসেছে ‘মার’ মানে সাগর এবং ‘লায়ন’ মানে সিংহ থেকে। এর ডিজাইন করেছিলেন সিঙ্গাপুর ট্যুরিজম বোর্ডের কর্মকর্তা আলেক ফ্রেসার ব্রানার। স্থপতি লিম নাং সেং এটি তৈরি করেন ১৯৭২ সালে এবং সে বছরই সিঙ্গাপুর নদীমুখে এটিকে প্রতিস্থাপন করেন লি কুয়ান ইউ। সাদা মূর্তিটির ওপরের মুখায়বব সিংহের যেখান থেকে অনবরত পানি পড়ছে। মেরিনা উপসাগরের এক পাশে মূর্তিটির অবস্থান, অন্য পাশে আছে বিলাসবহুল মেরিনা বে স্যান্ডস হোটেল। এই হোটেলের নিচতলার ক্যাসিনো তো জগদ্বিখ্যাত। বাংলাদেশ থেকে অনেক পয়সাওয়ালা সেখানে জুয়া খেলতে যান। বাংলাদেশ সরকার একবার দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়েছিল। তখন সরকারি দলের বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয় যাঁরা কিনা নিয়মিত এই ক্যাসিনোতে হাজিরা দিতেন এবং সেই আদলে বাংলাদেশেও ক্যাসিনো চালাতেন। বলাই বাহুল্য, একটা নির্দিষ্ট সময় পর তাঁরা জেল থেকে বেরিয়েও যান।
প্রতিদিন রাত আটটায় মেরিনা বে স্যান্ডস হোটেলে লেজার শো হয়। টিকিট কেটে হোটেলের ২৮ তলায় উঠে লেজার শো উপভোগের সুবন্দোবস্ত আছে। আমাদের মতো গরিবদেরও নিরাশ হওয়ার কারণ নেই। মার্লিওনের মূর্তির পাশে উপসাগরের বিরাট একটা অংশ বাঁধাই করা আছে। স্টারবাকস থেকে এক কাপ কফি কিনে সেই শানবাঁধানো চত্বরে বসে মিউজিকের তালে তালে লেজার শো উপভোগ করতে করতে ভাবছিলাম, সদিচ্ছা থাকলে একটা দেশকে কীভাবে অল্প সময়েই পাল্টে ফেলা যায়। লি কুয়ান ইউর কোনো প্রতিমূর্তি সিঙ্গাপুরের রাস্তাঘাটে আমাদের চোখে পড়েনি। কিন্তু তিনি নিশ্চিতভাবেই অমরত্ব অর্জন করেছেন এবং প্রতিটি সিঙ্গাপুরবাসীই সেটি অনুভব করে।