ইনানী সৈকতের আগেই পড়বে রেজু খাল। এর উৎপত্তি মিয়ানমারে। এখানে রয়েছে কায়াকিংয়ের ব্যবস্থা। দুজনের আধা ঘণ্টা কায়াকিংয়ের জন্য দিতে হবে ২৫০ টাকা। এর পরেই আছে সালসা সৈকত, যেখানে নানা রকম স্থানীয় ফল দিয়ে বুফের মতো করে পরিবেশন করা হয়। একে কাঁকড়া বিচও বলা হয়ে থাকে।
এখানে আরো আছে প্যারাসেইলিংয়ের ব্যবস্থা। রেজু খালের অনেকটা অংশ কাঠের সেতু বেয়ে পার হয়ে যেতে হবে সালসা বিচের প্যারাসেইলিং পয়েন্টে। সেতু পার করেই দুপাশে ঝাউবনের মধ্য দিয়ে যেতে হয় সমুদ্রসৈকতে। এর দৃশ্য অন্য সব সৈকতের চেয়ে নিঃসন্দেহে আলাদা।
দরিয়ার নগর সৈকত
এখানেও আছে প্যারাসেইলিংয়ের ব্যবস্থা। সূর্যাস্তের সময় প্যারাসেইলিং দারুণ এক অভিজ্ঞতা হতে পারে। পারাসেইলিংয়ের খরচ দুই থেকে আড়াই কিলোমিটারের জন্য ২০০০ টাকা আর আড়াই থেকে তিন কিলোমিটারের জন্য ২৫০০ টাকা।
সি পার্ল ওয়াটার পার্ক
সি পার্ল ওয়াটার পার্ক যেতে হলে কলাতলী বাসস্ট্যান্ড থেকে হোটেল সি ক্রাউন গিয়ে বাস ধরতে হবে। সেখান থেকে পার্কের উদ্দেশে সকাল সাড়ে ১০টায় বাস ছেড়ে যায়। জনপ্রতি ভাড়া ৩০ টাকা। এছাড়া অটোরিকশা বা মাইক্রোবাসেও যাওয়া যাবে। সেজন্য ভাড়াও পড়বে বেশি। ওয়াটার পার্কের টিকিট জনপ্রতি ৬০০ টাকা। টিকিটের সঙ্গে থাকবে আটটি রাইড—থান্ডারবোল, ওপেন স্লাইড, মাল্টিল্যান্ড, উইন্ড স্টর্ম, কামাকাজি রাইড ও অ্যাকুয়ালোভ।
এ ছাড়া রয়েছে নয়নাভিরাম আরো পর্যটন স্পট। তাই যাওয়ার আগে জেনেশুনে যাবেন। যারা ইতিমধ্যে ঘুরে এসেছেন তাদের থেকে অভিজ্ঞতা শুনবেন। তাহলে আপনার ভ্রমণ আরো আনন্দদায়ক হবে।