1. [email protected] : Cholo Jaai : Cholo Jaai
  2. [email protected] : admin2024 :
বুধবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:৩২ অপরাহ্ন

নিঝুম দ্বীপ চিত্রা হরিণের রাজ্যে

  • আপডেট সময় বুধবার, ১৬ অক্টোবর, ২০২৪
Spotted deer in the National Park of Nijhum Dwip (Nijhum Island), in the shallow estuary of the Bay of Bengal, south of Noakhali district, Bangladesh. The Forest Department of Bangladesh created mangrove forests on the island and in 2001 declared it as National Park. The main attraction of the park is a herd of 25000 spotted deer. (Photo by: Mustafiz Mamun/Majority World/Universal Images Group via Getty Images)

কামলার চর, বল্লার চর, চর ওসমান ও চর মুরি নামের চারটি দ্বীপ ও কয়েকটি চরের সমন্বয়ে গঠিত নিঝুম দ্বীপ। এই দ্বীপের আয়তম প্রায় ১৪ হাজার ৫০ একর। বর্ষাকালে জায়গাটি ধারণ করে ভিন্ন এক রূপের। আর শীতকালে নিঝুম দ্বীপে সরালি, জিরিয়া, লেনজা, পিয়ং, রাঙ্গামুড়ি, চখাচখি, ভূতিহাঁস, রাজহাঁস, কাদাখোঁচা, বাটান, জিরিয়া, গুলিন্দা, গাংচিল, কাস্তেচরা, পেলিক্যান ইত্যাদি হাজারো অতিথি পাখির আগমন ঘটে।

নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলায় অবস্থিত বঙ্গোপসাগরের ছোট্ট এই দ্বীপে হরিণের সংখ্যা প্রায় ৪০ হাজার। হরিণ দেখতে ভোরে উঠে স্থানীয় গাইডের সাহায্য নিতে পারেন। নিঝুম দ্বীপের মতো দেশের অন্য কোথাও একসঙ্গে এত চিত্রা হরিণ দেখা যায় না। আর পাখি দেখতে চাইলে পার্শ্ববর্তী দ্বীপ কবিরাজের চর ও দমার চর উত্তম জায়গা। নিঝুম দ্বীপে দেখা মিলে প্রায় ৩৫ প্রজাতির বিভিন্ন পাখির।

নিঝুম দ্বীপ গেলে আপনি একসঙ্গে পাবেন– সমুদ্র সৈকত, দ্বীপের অন্য এক পাশে সেন্টমারটিনের অনুভূতি! এখানে রয়েছে সুন্দরবনের ম্যানগ্রোভ ফরেস্টের ছোঁয়া, নিঝুম দ্বীপের জাতীয় উদ্যান, হরিণের পাল দেখার সুযোগ। সেই সঙ্গে ভরপুর প্রাকৃতিক দৃশ্য তো আছেই।

নির্দেশনা

ঢাকার সদরঘাট সন্ধ্যা ৫টা ৩০মিনিটে এমভি ফারহান-৩ বা ফারহান-৪ লঞ্চে উঠে সকাল ৬টায় হাতিয়া। সেখান থেকে মাছ ধরা লঞ্চে সোজা নিঝুম দ্বীপ অথবা বাইকে (৩০০/৪০০টাকা) করে চলে যান ঘাটপার। সেখান থেকে নৌকায় নিঝুম দ্বীপ। এবার মূল বাজারে যাবার পালা। তাই আবার বাইকে করে চলে যান একদম আসল নিঝুম দ্বীপের নামারবাজার।

থাকার জন্য নিঝুম দ্বীপে বর্তমানে ভালো মানের হোটেল আছে। এরমধ্যে অন্যতম হোটেল দিপান্তর। ডাবল বেড প্রতি রাত ৯০০ টাকা ভাড়া (চার/ছয় জন সহজেই থাকা যাবে)।

হোটেলের কাছেই অনেক খাবার দোকান পাবেন, দামও খুব বেশি নয়। সকালে পাবেন পরোটা/রুটি, দুপুরে ভাত আর টাটকা মাছ, মুরগী, সবজি, ডাল। সন্ধায় লুচি, আর রাতে দুপুরের মতোই। এছাড়া রাতে বারবিকিউ করতে পারেন সমুদ্রের পাড়ে। শীতকালে গেলে ওখানে সকালে/সন্ধায় ফ্রেশ খেজুরের রস খেতে পারবেন, দাম গ্লাস প্রতি ১৫/২০টাকা।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো ক্যাটাগরি
© All rights reserved © 2024 CholoJaai
Developed By ThemesBazar.Com