বাঙালি মাত্রই ঘুরতে যেতে ভালোবাসে। কাজের ফাঁকে টুকরো ছুটি জমিয়ে ছোট্ট করে দিঘা, পুরী কিংবা দার্জিলিং ট্রিপ হয়েই যায় মাঝে মধ্যে। এছাড়া বছরে অন্তত একবার ১০-১২ দিনের বড় ট্রিপও হয়। তবে অনেকেই ছোট ট্রিপে না গিয়ে ছুটি এবং টাকা দুটোই জমিয়ে বিদেশে যাওয়ার পরিকল্পনা করেন। বাঙালিদের কাছে অল্প খরচে বিদেশ ভ্রমণের অন্যতম পছন্দের ঠিকানা হল মালদ্বীপ, বালি, থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর ইত্যাদি। তবে একটু অন্যরকম জায়গায় ঘোরার ইচ্ছে থাকলে আপনার পরবর্তী গন্তব্য হতে পারে মধ্য এশিয়ার কাজাখাস্তান।
এটি বিশ্বের বৃহত্তম সার্বভৌম রাষ্ট্র যার কোনওদিকেই কোনও সমুদ্র নেই। পৃথিবীর জনপ্রিয় পর্যটনস্থলের তালিকায় পড়ে না এই দেশ। তবে ইতিহাসপ্রেমী মানুষজনের কাছে কাজাখাস্তান এক অন্যরকম আকর্ষণ হয়ে উঠতে পারে। মহামূল্যবান খনিজ সম্পদে পরিপূর্ণ এই দেশটি সৌন্দর্যে টেক্কা দিতে পারে বহু তাবড় ট্যুরিস্ট স্পটকেও। সবুজ গাছে ঘেরা পর্বতশ্রেণি, মালভূমি, টলটলে নীলচে সবুজ জলের হ্রদ, চোখ ধাঁধানো সুন্দর ঐতিহাসিক স্থাপত্য, মসজিদ স্মৃতিস্তম্ভ- সব মিলিয়ে ঐতিহ্য আর আধুনিক জীবন যেন হাত ধরাধরি করে চলে এই দেশে। যাতায়াতের প্লেন ভাড়া মিলিয়ে আপনার বিদেশ ভ্রমণের বাজেট যদি অন্তত ১ লক্ষ টাকা হয়, তাহলে সামনের ছুটিতে নিশ্চিন্তে ঘুরে আসুন এই দেশে। ৫-৬ দিনের ট্রিপে স্মৃতি আর অভিজ্ঞতার ঝুলি, দুইই আরও সমৃদ্ধ হবে।
গুরুত্বপূর্ণ শহর, যেগুলিতে না গেলেই নয়:
আলমাটি, আস্তানা, শ্যামকেন্ট, বাইকোনুর, সেমে, আকতাউ, কারাগান্ডা, তুর্কিস্তান, আকতোবে।
কী দেখবেন/ কোথায় যাবেন:
আরাল পর্বতমালা, বাইকোনুর কসমোড্রোম, কাইন্ডি লেক, বাইজানসে ঘোস্ট টাউন, বলস উপত্যকা, দ্য লাস্ট ওয়াইল্ড অ্যাপল ফরেস্ট (ফুজি এবং গ্র্যানি স্মিথ আপেল পাওয়া যায়), জারকেন্ট মসজিদ, চ্যারিন ক্যানিয়ন, জেলিওনি বাজার, অ্যাসেনশন ক্যাথেড্রাল, সৌরানের ধ্বংসাবশেষ, বলবল্স অফ ওস্কেমেন, স্ট্রঙ্গার দ্যান মেন স্মৃতিস্তম্ভ, আলঝিআর মিউজিয়াম-মেমোরিয়াল কমপ্লেক্স, লেক বলখাশ যা বিশ্বের বৃহত্তম হ্রদগুলির মধ্যে একটি। সিল্ক রুট দেখতেও ভুলবেন না। এছাড়া কাজাখাস্থানে রয়েছে ১৪টি জাতীয় উদ্যান, ১০টি প্রাকৃতিক সংরক্ষণ কেন্দ্র, ৭টি রিজার্ভ ফরেস্ট- যা বন্যপ্রাণী দেখার সেরা ঠিকানা।