1. [email protected] : Cholo Jaai : Cholo Jaai
  2. [email protected] : admin2024 :
শুক্রবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২৫, ১২:৪৮ অপরাহ্ন

সাগরের বুকে বিজয়ের হাতছানি

  • আপডেট সময় শুক্রবার, ২৪ জানুয়ারী, ২০২৫

কুয়াকাটা সৈকত ছেড়ে যেতে হবে ১৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে। বাহন স্পিডবোট, ট্রলার ও ট্যুরিস্ট বোট। সাগর বলে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। সে এখন তরঙ্গহীন। ঠিক যেমন নখ-দন্তহীন খাঁচায় পোষা সিংহ। তবে একটু বুঝেশুনে যাওয়া ভালো। অর্থাৎ যাওয়ার আগে দেখে নিতে হবে আবহাওয়ার বার্তা। যদিও শীতকালে সাগর অনেক নিরাপদ।

নাম রাখা হয়েছিল ভিক্টরি আইল্যান্ড। ২০১৭ সালের ডিসেম্বর মাসে সন্ধান পাওয়ায় এই নাম রাখা হয়েছিল দ্বীপটির। কিন্তু আইল্যান্ড বা দ্বীপ শব্দটি যেহেতু আমাদের স্মৃতিতে তেমন অনুরণন তোলে না, তাই সেগুলোকে মানুষ চর হিসেবেই ডাকে। তাই তো সাগরের বুক চিরে জেগে ওঠা এ নবীন দ্বীপের নাম স্থানীয় মানুষের ভাষায় চর বিজয়। এ যেন নতুন আশীর্বাদ। বর্ষায় ডুবে থাকলেও শীতে প্রকৃতি দুহাত উজাড় করে ওখানে সৌন্দর্য বিলায়। এ সময়ে পর্যটকদের আনাগোনায় আন্দোলিত হয় চর বিজয়ের মাটি। এটি কুয়াকাটায় ঘুরতে আসা পর্যটকদের জন্য বাড়তি আকর্ষণ।

কুয়াকাটা থেকে প্রায় ১৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বকোণে বঙ্গোপসাগরের বুকে জেগে উঠেছিল চর বিজয়। স্থানীয় জেলেদের কাছে হাইরের চর নামে পরিচিত এটি। দ্বীপটি বর্ষার ছয় মাস পানিতে ডুবে থাকে। পানি নেমে গেলে, বিশেষ করে শীত মৌসুমে দ্বীপের পুরো দখল নেয় লাল কাঁকড়া। তারা এখানকার স্থায়ী বাসিন্দা। এ ছাড়া সৈকতজুড়ে দেখা যায় নানা প্রজাতির অসংখ্য পরিযায়ী পাখির ওড়াউড়ি। লাল কাঁকড়া দেখবেন নাকি পাখি, সেটা ভাবতেই চলে যাবে অনেকটা সময়। যেদিকে তাকাবেন, দেখতে পাবেন অদ্ভুত সব মাছ।

যেহেতু ছয় মাস ডুবে থাকে, তাই বড় কোনো গাছ নেই এ দ্বীপে। শীতে জেগে ওঠা মাটিতে দেখা দেয় লতাগুল্ম। তাতে ফুটে থাকে বাহারি ফুল। ক্ষণস্থায়ী জীবনে যতটুকু পারে সৌন্দর্য বিলিয়ে যায়। সে সৌন্দর্য দেখার আদর্শ সময় শীতকাল।

ছবি: আজকের পত্রিকা

সাধু মার্টিনের দ্বীপ ছাড়া আমাদের দেশে পর্যটকেরা সাধারণত দ্বীপ ভ্রমণে যান না। অথচ পটুয়াখালীর ১০টি দ্বীপ শীতকালে ভ্রমণের জন্য উপযুক্ত। এই ১০ দ্বীপের একটি হলো চর বিজয়।

শীতের উজ্জ্বল রোদেলা দিনে চর বিজয় সব সৌন্দর্য নিয়ে অপেক্ষা করছে আপনার জন্য।

ছবি: আজকের পত্রিকা

যেভাবে যাবেন
কুয়াকাটা সৈকত থেকে ট্যুরিস্ট বোট, স্পিডবোট বা ট্রলার ভাড়া করে যেতে হবে ভিক্টরি আইল্যান্ড বা চর বিজয়ে। প্রতিদিন সকাল ও দুপুরে কুয়াকাটা জিরো পয়েন্ট থেকে এসব যানবাহন ছেড়ে যায় দ্বীপের উদ্দেশে। কুয়াকাটা ট্যুর গাইড অ্যাসোসিয়েশনের মাধ্যমে এসব বোট সহজে ভাড়া করা যায়।

ছবি: আজকের পত্রিকা

কোথায় থাকবেন
দ্বীপটি বর্ষায় তলিয়ে যায় বলে এখানে থাকার স্থায়ী কোনো ব্যবস্থা নেই। তবে উপজেলা প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে তাঁবুতে থাকা যাবে। তাঁবুর ব্যবস্থা করবে ট্যুর গাইড অ্যাসোসিয়েশন। খাওয়াদাওয়ার ব্যবস্থা করে নিতে হবে তাদের মাধ্যমে।

ভ্রমণের তথ্য

  • দ্বীপটিতে কোনো দোকানপাট নেই। তাই কুয়াকাটা থেকে শুকনা খাবার, পানি ও প্রয়োজনীয় জিনিস নিয়ে যেতে হবে।
  • সাগরের মাঝে হলেও দ্বীপটিতে মোবাইল ফোন নেটওয়ার্ক রয়েছে। ফলে যোগাযোগের কোনো সমস্যা নেই।
  • আবহাওয়া ও নিরাপত্তার জন্য উপজেলা প্রশাসন এবং কুয়াকাটা ট্যুর গাইড অ্যাসোসিয়েশনের পরামর্শ নিতে হবে।
  • পলিথিন ও প্লাস্টিকের পণ্য ব্যবহার করা যাবে না।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো ক্যাটাগরি
© All rights reserved © 2024 CholoJaai
Developed By ThemesBazar.Com