সবুজ অরণ্য আর ছোট-বড় পাহাড়ে ঘেরা রাঙ্গামাটি যেন কোনো শিল্পীর তুলিতে আঁকা রূপকথার এক স্থান। রাঙ্গামাটির নাম শুনতেই অনেকের চোখে ভেসে ওঠে কাপ্তাই লেকের দৃশ্য। মনোমুগ্ধকর প্রাকৃতিক দৃশ্যমণ্ডিত এক স্থান হলো কাপ্তাই।
এর আশপাশের পাহাড়, লেক, সবুজ প্রকৃতি উপভোগ করতেই পর্যটকরা ভেড়েন স্থানটিতে। চাইলে একদিনেই অল্প খরচে ঘুরে আসতে পারবেন কাপ্তাই লেকসহ এর আশপাশের বিভিন্ন পর্যটনকেন্দ্র।
ঢাকা থেকে কাপ্তাই লেকে যেতে হলে সরাসরি যেতে পারবেন বাসে। যানজট না থাকলে পৌঁছাতে পারবেন ৭-৮ ঘণ্টার মধ্যেই। নন-এসি বাসে ভাড়া পড়বে ৫০০-৭০০ টাকা, আর এসি বাসে ৯০০-১০০০ টাকার মধ্যেই যেতে পারবেন সেখানে।
ট্রেনে কাপ্তাই লেক সরাসরি যাওয়ার ব্যবস্থা নেই। তবে ট্রেন ভ্রমণ করতে চাইলে চট্টগ্রাম পর্যন্ত রেলপথে যেতে হবে। তারপর পরিবহন পরিবর্তন করে কাপ্তাই পৌঁছাতে পারবেন।
ঘণ্টাপ্রতি ভাড়া পড়বে ২০০-৩০০ টাকা। কায়াকিংয়ের সুব্যবস্থাও আছে সেখানে। আরও দেখতে পারেন ঝুলন্ত ব্রিজ, শুভলং ঝরনা, ক্যাবল কারে যেতে পারেন শেখ রাসেল ইকোপার্কে।
>> কাপ্তাই বাঁধ
>> কর্ণফূলী পানিবিদ্যুৎ কেন্দ্র
>> নেভি ক্যাম্প পিকনিক স্পট
>> জুম রেস্তোরাঁ পিকনিক স্পট
>> ওয়াগ্গাছড়া টি
>> চিৎমরম বৌদ্ধ মন্দির
>> নিসর্গ পড হাউজ ইত্যাদি।
চাইলে একদিনেই ঘুরে আসতে পারবেন কাপ্তাই লেকে। আর রাত কাটাতে চাইলে সরকারি রেস্ট হাউজের কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আগে থেকেই কথা বলে রাখবেন।
এ ছাড়া সেনাবাহিনী, পিডিবি ও বন বিভাগেরও কিছু রেস্ট হাউজেও থাকতে পারবেন। তবে তা অনুমতিসাপেক্ষে। কয়েকটি পিকনিক স্পট, যেমন- লেক শোর, লেক প্যারাডাইস, জুম রেস্তোরাঁয়ও থাকতে পারবেন। তবে অর্থ বেশি খরচ হবে। চাইলে নিসর্গ পড হাউজেও থাকতে পারবেন।
এই লেক ঘিরে বেশকিছু রেস্তোরাঁ গড়ে উঠেছে। এগুলো থেকেই খাবার কিনে খেতে পারবেন। এসব রেস্তোরাঁয় তাজা মাছ খেতে পারবেন।
সকাল ১০টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত এসব হোটেলে কম মূল্যেই খাবার পাবেন। কাপ্তাইয়ের কাছাকাছি কয়েকটি জনপ্রিয় রেস্তোরাঁ হলো- লেক শোর হোটেল, জুম রেস্তোরাঁ, প্যারাডাইস ক্যাফে।