১৭ বর্গ কিলোমিটারের অপূর্ব সুন্দর এই ছোট্ট দ্বীপটিতে দেখা পাবেন সাগরের নীলের সাথে আকাশের নীলের এক অপুর্ব মিতালী। সারি সারি নারিকেল গাছের এই দ্বীপটিকে নারিকেল জিঞ্জিরা নামে স্থানীয়রা ডেকে থাকেন। তবে এই দ্বীপটির আরো একটি নাম আছে আর সেটা ’দারুচিনি দ্বীপ’। তবে এখানে দারুচিনি খুজে পাবেন না কোথাও। এ নামের পেছনে আছে একটি ইতিহাস।
‘অলিভ রিডলে’ সহ আরো তিন প্রজাতির ছোট-বড় কচ্ছপের দেখা পাওয়া যায় এই দ্বীপের নির্জন বেলাভুমিতে। লাল কাঁকড়া সহ আরো তিন থেকে চার প্রজাতির ছোট ও বড় কাঁকড়ার দেখা পাবেন। যার মধ্যে কিছু আবার অসম্ভব রকমের সুন্দর দেখতে। অনেক ছোট-বড় স্টার ফিসের দেখা পাবেন এখানে সেই সাথে শতাধিক প্রজাতির পাখির আনাগোনা থাকে সবসময় যার মধ্যে অর্ধেক পরিযায়ী।
দেশের যে কোন প্রান্ত থেকে আপনি সেন্টমার্টিন যেতে চাইলে আপনাকে টেকনাফে অথবা কক্সবাজারে আসতে হবে। টেকনাফ থেকে কয়েকটি এবং ক্সকবাজার থেকে একটি জাহাজ সেন্টমার্টিন পর্যন্ত যাওয়া আসা করে। তবে কম খরচে সেন্টমার্টিন যেতে চাইলে আপনাকে অবশই টেকনাফ থেকেই জাহাজ ধরতে হবে। আপনি ট্রলারে চেপেও যেতে পারেন কিন্তু সেটা খুব একটা সুবিধাজনক হবে না।
যদি সম্ভব হয় টেকনাফে একটা দিন থেকে টেকনাফের নির্জন সৈকত দেখে পরের দিন সেন্টমার্টিন যেতে পারেন। যারা প্রকৃতির নির্জনতা পছন্দ করেন এবং সাগর পারের সাধারণ দৃশ্য দেখতে চান তাদের কাছে আশা করি টেকনাফের নির্জন বেলাভুমি অবশ্যই ভাল লাগবে।
সেন্টমার্টিন যাওয়ার সকল সম্ভাব্য রুটের বিস্তারিত তথ্য ও সেন্টমার্টিনের আবাসিক হোটেলের যাবতীয় তথ্য নিয়ে আজকের এই আয়োজন।
চট্টগ্রামের সিনেমা প্যালেস থেকে রাত ১২ টায় টেকনাফের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায় এস আলম এবং সৌদিয়া পরিবহনের বাস। এছাড়াও জিএসই মোড়, গরিবুল্লাশাহ মাজার ও দামপাড়া হতে কিছু পরিবহন চট্টগ্রাম থেকে টেকনাফ রুটে চলাচল করে।
আপনি চাইলে ঢাকা থেকে সরাসরি টেকনাফে যেতে পারবেন বাসে চড়ে। এ ক্ষেত্রে আপনাকে যেতে হবে ঢাকার ফকিরাপুল, সায়েদাবাদ অথবা কলাবাগান। এখান থেকে শ্যামলী, সেন্টমার্টিন পরিবহন, ঈগল, এস আলম, মডার্ন লাইন, গ্রীন লাইন সহ আরো বেশ কিছু বাস সরাসরি টেকনাফের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়।
পরিবহন ভেদে ১০ থেকে ১২ ঘন্টায় আপনি পৌছে যাবেন টেকনাফ। টিকিট মুল্য পড়বে ৯০০ টাকা থেকে ২,০০০ টাকা পর্যন্ত। যদি শুধু সেন্টমার্টিন ভ্রমণ করা আপনার উদ্দেশ্য থাকে তবে ঢাকা থেকে সরাসরি বাসে চেপে চলে যান টেকনাফ। রাত্রে রওনা দিয়ে সকাল ৮টার মধ্যে টেকনাফ পৌঁছে অনায়াসে সেন্টমার্টিনের জাহাজ ধরতে পারবেন।
ঢাকা থেকে সকড় পথে অথবা আকাশ পথে কক্সবাজার হয়ে সেন্টমার্টিনের জাহাজে উঠতে পারবেন অথাবা এখান থেকে টেকনাফ হয়ে সেন্টমার্টিনের জাহাজে উঠতে পারবেন। সড়ক পথে সময় লাগবে ১২ ঘন্টার কিছু বেশি আর ঢাকা থেকে টেকনাফ যে সকল পরিবহনগুলো চলাচল করে তার সবগুলোই কক্সবাজারেও পরিবহন পরিচালনা করে। ননএসি বাসের ভাড়া ৮০০ টাকা এবং এসি বাসের ভাড়া ১৫০০ টাকা থেকে ২৫০০ টাকা।
তবে যারা সেন্টমার্টিন যাওয়ার উদ্দেশ্যে কক্সবাজার আসেন তারা মুলত আকাশ পথই ব্যবহার করেন। ঢাকা থেকে কক্সবাজার সহ দেশের অভ্যান্তরীণ রুটে বিমানের আসন ভাড়া এবং বুকিং সংক্রান্ত তথ্য
আপনি যদি কক্সবাজার ভ্রমন করে অথাব কক্সবাজার থেকে সেন্টমার্টিন যেতে চান তবে খুব সকালে লোকাল বাস/মাইক্রো/জিপ/সিএনজি ভাড়া করে ৯ টার মধ্যে চলে যান টেকনাফ। সিএনজি ভাড়া পড়বে জনপ্রতি ২৫০ এবং বাস ভাড়া পড়বে জনপ্রতি ১৫০ টাকা করে।
উচু নিচু রাস্তা এবং বর্তমানে চেকিংয়ের কারনে টেকনাফ যেতে প্রায় দুই ঘন্টা সময় লেগে যায় তাই দেরি না করে ভোরে (৬টার মধ্যে) টেকনাফের উদ্দেশ্যে রওনা হয়ে যান।
বর্তমানে কক্সবাজার থেকে এম ভি কর্নফুলী এক্সপ্রেস ক্রজ শিপ এবং চট্রগ্রাম থেকেও সরাসরি পাঁচ তারকা সমমানের ক্রুজ শিপ এম ভি বে ওয়ান চলাচল শুরু করেছে সেন্টমার্টিন পর্যন্ত। কক্সবাজার থেকে সময় লাগে মাত্র ২.৫ ঘন্টা। এবং চট্রগ্রাম থেকে সময় লাগে ১০ ঘন্টা।
সিঙ্গেল কেবিন ১জন এবং প্রতি টুইন বেড, ভি আই পি ও ভি আই পি কেবিনের জন্য ২ জন প্রযোজ্য। ৫ বছরের নিচে ফ্রি তার উপরে অতিরিক্ত প্রতি জনের জন্য আলাদা টিকেট কেটে নিতে হবে। ফেরার (রিটার্ন) তারিখ টিকেট সংগ্রহের সময়ই উল্লেখ করতে হবে। উল্লেখ্য যে, পর্যটন মৌসুম অর্থাৎ ডিসেম্বর এবং জানুয়ারী মাসের ক্রয় কৃত জাহাজের টিকেট অফেরতেযোগ্য।
১৪ জানুয়ারি ২০২১ তারিখ হতে চট্টগ্রামের নেভাল বীচ ওয়াটার বাস ঘাট থেকে সরাসরি সেন্টমার্টিন রুটে সপ্তাহে তিন দিন চলাচল করবে বিলাসবহুল সমুদ্রগামী জাহাজ এম ভি বে ওয়ান। বিলাশবহুল এই শিপে আন্তর্জাতিক মানের রেস্টুরেন্ট, প্রেসিডেন্সিয়াল সুইট, সুইমিংপুল, ড্যান্স বার, কনফারেন্স হল ও স্যুটসহ রাত্রীযাপনের সু-ব্যবস্থা। চট্টগ্রাম নেভাল বীচ ওয়াটার বাস ঘাট থেকে সেন্টমার্টিনের উদ্দেশে জাহাজটি যাত্রা করবে।
সময়সূচীঃ
চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে যাবেঃ রাত্র ১১টা (বৃহস্পতিবার, শুক্রবার, শনিবার) এবং
সেন্টমার্টিন থেকে ছেড়ে আসবেঃ দুপুর ১ টায় (শুক্রবার, শনিবার, রোববার)।
ভাড়ার তালিকাঃ (রাউন্ড ট্রিপি)
৩০০০ টাকা থেকে শুরু করে ৫০,০০০ টাকা পর্যন্ত।
টিকিট বুকিং ও ভাড়া সক্রান্ত বিস্তারিত তথ্যঃ
এম ভি কর্নফুলী এক্সপ্রেস জাহাজটি প্রতিদিন কক্সবাজার শহরের নুনিয়ারছড়াস্থ বিআইডব্লিউটিএ ঘাট থেকে সেন্টমার্টিনের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাবে। উত্তর বাঁকখালী নদী পার হয়ে বঙ্গোপোসাগরে উঠবে জাহাজটি। এরপর মেরিন ড্রাইভের রাস্তার সাথে সমান্তরাল সমুদ্রপথ ধরে সেন্টমার্টিন পৌঁছাবে।
সময়সূচীঃ
কক্সবাজার থেকে ছেড়ে যাবেঃ সকাল- ৭টায় এবং
সেন্টমার্টিন থেকে ছেড়ে আসবেঃ বিকাল ৩ টায়।
ভাড়াঃ
২০০০ টাকা থেকে শুরু করে ৮,০০০ টাকা পর্যন্ত।
নভেম্বরের ১ তারিখ থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত প্রতিদিন টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিনে সকাল থেকে যাওয়া-আসা করে কেযারী বে ক্রুজ এন্ড ডাইন, কেয়ারী সিন্দাবাদ, এম ভি বে ক্রুজ ১, এম ভি ফারহান, দ্যা আটলান্টিক ক্রুজ। সময় লাগে দুই ঘণ্টা থেকে আড়াই ঘন্টা। আর জাহাজের টিকেট সাধাণত একসাথে যাওয়া-আসা হয়ে থাকে। তাই টিকেট করার সময়ই আপনাকে উল্লেখ করতে হবে কবে ফিরবেন।
কিছু ট্রলারও যাওয়া আসা করে নিয়মিত, তবে যাদের পূর্ব অভিজ্ঞতা নেই এবং যারা কিছুটা দুর্বল চিত্তের মানুষ তাদের ট্রলারে চড়ে সাগড় পাড়ি দিয়ে সেন্টমার্টিনে যাওয়াটা উচিৎ হবে না।
জাহাজের শ্রেনীভেদে টিকেট ভাড়া ৫৫০ টাকা থেকে ১,৫০০ টাকা করে (যাওয়া এবং আসা)। টেকনাফের নাফ নদীর জেটি ঘাট থেকে জাহাজগুলো ছেড়ে যায় সকাল ৯.০০ থকে ৯.৩০ মিনিটের মধ্যে এবং সেন্টমার্টিন থেকে ফিরে আসে বিকাল ৩.০০ থেকে ৩.৩০ মিনিটের মধ্যে। ট্রলারে করেও যাওয়া আসা করা যায় তবে তা খুবই বিপদজনক।
বর্তমানে অনলাইনে অগ্রিম টিকেট কাটার সুযোগ পাবেন শুধুমাত্র কেয়ারিতে। অন্য যে সাভির্স গুলো আছে তাদের অনলাইন টিকিট বুকিং সুবিধা নাই। আপনাকে সরাসরি তাদের অফিসে থেকে অগ্রিম টিকেট নিতে হবে। বিভিন্ন এজেন্টদের কাছে সেন্টমার্টিন যাওয়ার জন্য জাহাজের অগ্রিম টিকেট নিতে পারবেন।
টেকনাফে জাহাজ ঘাট থকে সংশ্লিষ্ট জাহাজের টিকেট সংগ্রহ করতে পারবেন। তবে পিক সিজনে যদি ভ্রমণের সিন্ধান্ত নেন তবে আগেই টিকেট কাটার ব্যবস্থা করে ফেলা ভাল হবে। এছাড়া টিকিট সংক্রান্ত তথ্যের জন্য নিচের ঠিকানায় যোগাযোগ করতে পারবেন।
ঢাকা অফিসঃ
কেয়ারি প্লাজা (৫ম তলা),
৮৩ সাত মসজিদ রোড, ৮/এ, ধানমন্ডি, ঢাকা ১২০৯
যোগাযোগঃ 01817-148735; 01814-658270; 01841-094179; 01712114009
কক্সবাজার অফিসঃ
উর্মি গেষ্ট হাউজ (নিচ তলা),
কলাতলী রোড, কক্সবাজার।
যোগাযোগঃ 01817-210421,01817-210422,01817-210423, 01817-210424
টেকনাফ অফিসঃ
কেয়ারি ঘাট, দমদমিয়া
টেকনাফ, কক্সবাজার।
যোগাযোগ: 01819-379083,01817-210428, 01811-4184790
অনলাইনে কেয়ারি জাহাজের টিকেট বুকিংঃ www.kearitourismbd.com
হট লাইনঃ +88 01971 591127
ঢাকা অফিসঃ +880 1776284601, +880 1827167817
কক্সবাজার অফিসঃ +880 1944 797528, +880 1779 181872, +880 1820 248205
চৌধুরী গ্রুপ অফ ইন্ডাট্রিজ (প্রাঃ) লিঃ
লেভেল ১৪, ৫৫/বি নোয়াখালী টাওয়ার
পুরানা পল্টন, ঢাকা।
যোগাযোগঃ 01714-634762
আপনি যদি মাছ খেতে পছন্দ করেন তবে সেন্টমার্টিন আপনার জন্য সেরা একটি জায়গা। এখনে কোরাল, সুন্দরী পোয়া, ইলিশ, রূপচাঁদা, লবস্টার, কালাচাঁদা সহ অনেক ধরনের ও স্বাদের মাছ পবেন। ইচ্ছে করলে নিজে বাজার থেকে পছন্দ করে কিনে বারবিকিউ করতে পারবেন হোটেলেই। রিসোর্ট গুলোরও রয়েছ নিজস্ব বারবিকিউ করার ব্যবস্থা।
আরো রয়েছে শুটকি মাছে ভান্ডার, লইট্টা, ছুড়ি, রূপচাঁদা, কাচকি যা চাইবেন তাই পাবেন। খাওয়ার ইচ্ছা হলে চলে যান হোটেল সেন্টমার্টিন, কুমিল্লা রেস্টুরেন্ট, রিয়েল রেস্তোরাঁ, হাজী সেলিম পার্ক, কেয়ারি মারজান রেস্তোরাঁ, সেন্টমার্টিন টুরিস্ট পার্ক, বিচ পয়েন্ট, হোটেল আল্লার দান, বাজার বিচ, আসাম হোটেল, সি বিচ, হোটেল সাদেক ইত্যাদি।
তবে খাওয়া শুরু করার আগে একটু যাচাই করে নেবেন। আর যেই জিনিসটা সেন্টমার্টিনের সবচেয়ে প্রসিদ্ধ সেটা খেতে কিন্তু একেবারেই ভুলবেন না। জি, সেন্টমার্টিনের মিষ্টি ডাবের কথা বলছি। সেন্টমার্টিন যাবেন আর এখানকার মিষ্টি ডাব না খেয়ে চলে আসবেন তা একেবারেই হবেনা। অন্তত একটা ডাব সকলেরই চেখে দেখা উচিৎ।
দারুচিনি দ্বীপে যাবেন আর সেখানে দুটো দিন থাকবেন না এটা খুবই কষ্টদায়ক হবে তাদের জন্য, যারা পরিকল্পনা করেছেন সকালে গিয়ে দুপুরে ফিরে আসবেন। তবে সেন্টমার্টিনে অবস্থান করার জন্য হোটেল বা রিসোর্ট ঠিক করতে অনেকেই সমস্যায় পড়েন বা গিয়ে থাকার জায়গা মেলাতে পারেন না। তাদের সুবিধার্থে কিছু হোটেল ও রিসোর্টের তথ্য তুলে দেওয়ার চেষ্টা করছি।
সেন্টমার্টিন বীচ সংলগ্ন জাহাজ ঘাটের বাম পাশে কোরাল ভিউ রিসোর্টটি গড়ে উঠেছে। এখানে সি ভিউ রুমের ভাড়া ২,৫০০ থেকে ৬,০০০ টাকা।
যোগাযোগঃ 01980 004777, 01980 004778
সেন্টমার্টিন পৌছে বাজারের ভেতর দিয়ে এগিয়ে ব্লু মেরিন রিসোর্ট পার হয়ে উত্তর দিকে এগিয়ে চোখে পড়বে প্রাসাদ প্যারাডাইস। এখানে রয়েছে ছোট বড় মিলিয়ে ১৬ টি রুম, রুম ভাড়া পড়বে ২,০০০ টাকা থেকে ৫,০০০ টাকা।
যোগাযোগঃ 01995 539248, 01883 626003
দ্বীপের দক্ষিণে বীচ সংলগ্ন কোণাপাড়ায় অবস্থিত নীল দিগন্তে রিসোর্ট। এই রিসোর্টটি জেটি থেকে বেশ খানিকটা দূরে অবস্থিত। এখানে নানা ধরণের কটেজ টাইপ রুম রয়েছে। প্রতিটি রুমের জন্য ভাড়া পড়বে ১,৫০০ টাকা থেকে ৫,০০০ টাকার মধ্যে।
যোগাযোগঃ 0173 005 1004
প্রাসাদ প্যারাডাইস সংলগ্ন উত্তর বিচে অবস্থিত প্রিন্স হেভেন রিসোর্ট। এখানে রয়েছে মোট ২৪ টি কক্ষ ও সাথে একটি রেস্টুরেন্ট। প্রিন্স হেভেন রিসোর্টে রাত্রী যাপনের জন্য রুম ভাড়া পড়বে ১,৫০০ টাকা থেকে ৩,৫০০ টাকা।
যোগাযোগঃ 01995 539 246, 01883 626 002
বর্তমান নাম ’দি আটলান্টিক রিসোর্ট’ এবং পূর্বের নাম লাবিবা বিলাস রিসোর্ট আর এই রিসোর্টের অবস্থান দ্বীপের পশ্চিম বীচে। এখানে রাত্রি যাপনের জন্য রয়েছে মোট ৪৩ টি কক্ষ। এখানে থাকতে আপনাকে খরচ করতে হবে ৩,৫০০ টাকা থেকে ১২,০০০ টাকা পর্যন্ত।
যোগাযোগঃ 01700 969 212, 01834 267 922
পশ্চিম বীচের একেবারে শেষ প্রান্তে অবস্থিত ড্রিম নাইট রিসোর্টের প্রতি কক্ষে রয়েছে ২ জন থেকে ৪ জনের রাত্রিযাপনের সুযোগ। এখানে রাত্রি যাপন করতে আপনার ভাড়া পড়বে ১,৫০০ থেকে ৩,৫০০ টাকা পর্যন্ত।
যোগাযোগঃ 01825 656326, 01730 235002
নজরুল পাড়া, যেটার অবস্থান দ্বীপের দক্ষিণ বীচে, এখানে অবস্থিত নান্দ্যনিকতায় অনন্য সায়রী ইকো রিসোর্ট। এখানে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে রয়েছে ১৮ টি রুম। রুম ভাড়া পড়বে ১,৫০০ টাকা থেকে ৩,০০০ হাজার টাকা।
যোগাযোগঃ 01610 555500
এছাড়াও আরো রয়েছে রিয়াদ গেস্ট হাউজ, হোটেল স্বপ্ন প্রবাল, শ্রাবণ বিলাস, কোরল ব্লু, মারমেইড, সি ইন, হোটেল সাগর পাড়, পান্না রিসোর্ট, সি প্রবাল, সানসেট ভিউ ইত্যাদি। তবে এখানে যখন পর্যটন মৌসুম তখন প্রায় প্রতি বাড়িতে গেষ্ট থাকার জন্য অনুমোদন করে।
আপনি চাইলে বাড়ির মালিকের সাথে সরাসরি আলাপ করে থাকার সুবিধা পেতে পারেন। যদিও মৌসুম অনুযায়ী ভাড়ার তারতম্য হয়, তবে মোটামুটি ২০০ টাকা থেকে ৫০০ টাকা হলেই আপনি সেন্টমার্টিনে রাত্রি যাপনের জন্য মোটামুটি একটি ভাল রুম পেতে পারবেন।