আমাদের দেশের হিল স্টেশনগুলোর মধ্যে একটা কমন জায়গা চোখে পড়বে, আর সেটা হল সেখানকার মল রোড। হ্যাঁ, পাহাড়ি হিল স্টেশনের মতো আকর্ষণীয় জায়গায় এত ভিড় দেখা যাবে না, যেমনটা হয় সেখানকার মল রোডে। যখনই পর্যটকরা কিছু কিনতে বা খেতে যেতে চান, তাঁরা সরাসরি পাহাড়ি স্টেশনের এই মন রোডে গিয়ে পৌঁছন। আপনি নিশ্চয়ই ভাবছেন যে, প্রতিটি হিল স্টেশনে একটি মল রোড কী ভাবে সম্ভব, এর ইতিহাস কেমন ছিল এবং এর নাম মল রোড কেমন ছিল। এই ধরনের প্রশ্ন মাথার মধ্যে ঘুরপাক খাওয়া স্বাভাবিকও। তা হলে আসুন, দেখে নেওয়া যাক এই প্রতিবেদনটি, যেখানে আপনি খুঁজে পাবেন এই সমস্ত প্রশ্নের উত্তরই। (All photo credit: istock.com)
১৭ শতকে মল শব্দের অর্থ মূলত একটি প্রমেনাড বা রাস্তার একটি অংশ যেখানে মানুষ ছুটির দিনে সময় কাটাতে পছন্দ করত। ১৮ শতকে ভারতে মল রোড ছিল সৈন্যদের আবাসস্থল। সেই সময়ে মল রোডের অর্থ ছিল ‘বিবাহিত দম্পতিদের বসবাসের স্থান’।
মল রোডে গিয়ে শপিং বা রেস্টুর্যান্ট হপিং করা ছাড়া ভারতের যে কোনও জনপ্রিয় হিল স্টেশনে ভ্রমণ এক প্রকার অসম্পূর্ণ। বেশির ভাগ রেস্তরাঁ, কেনাকাটার দোকান এই মলের রাস্তার পাশে অবস্থিত। এ সব স্থানে জরুরি যানবাহন ছাড়া অন্য কোনও যানবাহন চলাচলের অনুমতি নেই।
ভারতের সবচেয়ে বিখ্যাত মল রোডগুলির মধ্যে একটি, সিমলা মল রোড হল শহরের একটি প্রধান আড্ডা এবং কেনাকাটার অঞ্চল। সিমলার মল রোড চিত্তাকর্ষক ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক ভবনে ভরে আছে।
মুসৌরি মল রোডের দৃশ্য আপনাকে ব্রিটিশ আমলে ফিরিয়ে নিয়ে যাবে। এখানে আসা ভ্রমণকারীদের মধ্যে মল রোড বেশ বিখ্যাত। এখান থেকে দুন উপত্যকার নয়নাভিরাম দৃশ্য দেখা যায়। এর পাশাপাশি এই মল রোড খুব সুন্দর আড্ডা দেওয়ার জায়গা বলেও পরিচিত।
দার্জিলিং -এর চৌরাস্তা বা মল হল সেই জায়গা যেখানে আপনি সবচেয়ে সুন্দর এবং অ্যান্টিক জিনিসের দোকান পাবেন। দার্জিলিং -এর মল রোডও একটি বিখ্যাত পর্যটন স্পট।
নৈনিতালের মল রোড বিখ্যাত নৈনি লেকের বিপরীতে অবস্থিত। এখান থেকে আপনি নৈনি লেকে বোটিং করতে পারেন। শুধু তাই নয়, চার পাশের পাহাড় মল রোডের সৌন্দর্যকে আরও বাড়িয়ে দেয়। এই দেড় কিলোমিটার দীর্ঘ রাস্তাটি ম্যাপল গাছে ভরা এবং শরৎ কালে দেখতে লাগে অপূর্ব।
এই মল রোড হল সেই জায়গা যেখানে আপনি সুস্বাদু খাবার এবং স্থানীয় স্যুভেনির কিনতে পারবেন। ব্যস্ত পর্যটন শহরগুলো দেখার জন্যও এটি একটি উপযুক্ত জায়গা।