নভেম্বর মাসেই আবহাওয়া এতটাই পরিস্কার থাকে যে ভোরের দিকে নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনে পোঁছবার আগে, কিষানগঞ্জ স্টেশন পার হবার পরেই ট্রেনের জানালা দিয়ে উত্তর দিগন্তে কাঞ্চনজঙ্ঘার ভুবনমোহিনী রূপ দৃষ্টিপথে ধরা দেয়। শীতকাতুরে না হলে পুরো শীতকালটাই দার্জিলিং ভ্রমণের জন্য আদর্শ।
ভাগ্য সুপ্রসন্ন হলে তুষারপাত দেখার সুযোগও হয়ে যেতে পারে। শীতের রোদে মাখামাখি হয়ে অলস পদক্ষেপে দার্জিলিং শহরে ঘোরাঘূরির মজাই আলাদা। কমলালেবু খেতে ম্যল থেকে হালকা উতরাই পথে চিড়িয়াখানার দিকে যেতে ভালোই লাগাবে।
অনভ্যাসের হাঁটাহাঁটিতে ক্লান্তি বোধ করলে পথ সংলগ্ন চায়ের দোকানে বসে পড়লেই হল।
চায়ের চায়ের কাপ হাতে নিয়ে পর্যটকবিরল শীতের দার্জিলিংয়ের শান্তশ্রী অনুভব করা যাবে অতি সহজেই আামি দার্জিলিং আটবার সফরে গিয়েছি এর মধ্যে চারবারই নভেম্বর মাসে ভ্রমণে গিয়েছি সত্যিই নভেম্বর মাসটি উত্তম সময় দার্জিলিং দেখার মত অনেক কিছুই রয়েছে মপর মধ্যে বিশেষ আকর্ষণ চুন্নু সামার ফস ও রোপওয়ে।
কীভাবে বেড়াবেন
দার্জিলিং এবং ধারেকাছের দর্শনীয় স্থানগুলি দেখার জন্য সবচেয়ে ভালো উপায়টি হল গোর্খা হিল কাউন্সিলের পর্যটনবিভাগ পরিচালিত কন্ডাক্টেড ট্যুরে সামিল হওয়া। ম্যলের কাছে সিলভঅর ফার বিল্ডংয়ে অবস্থিত এদের অফিস থেকে বিভিন্ন ধরনের ট্যুর পরিচালিত হয়। উল্লেখযোগ্য কয়েকটি ট্যুরের বিবরণ দেওয়া হল
১)টাইগার হিল ট্যুর এই ট্যুরে দেখানো হয় সানরাইজ ভিউ পয়েন্ট সামতেন চোলিং গুম্ফা বাতাসিয়া লুপ ইত্যাদি।
২) ফাইভ পয়েন্ট ট্যুরে দেখানো হয়, জাপানি পিস প্যাগোডা লালকুঠি আাভা আর্ট গ্যালারি, ন্যাচারাল হিষ্ট্রি মিউজিয়াম।
৩) সেভেন পয়েন্ট ট্যুরে দেখানো হয় হিমালয় মাউন্টেনিয়ারিং ইনস্টিটিউট চিড়িয়াখানা টিবেটান রিফিউজি সেন্টর রঙ্গিতভ্যালিরোপওয়ে, হ্যাপিভ্যালি চা-বাগান তেনজিং রক এবং লেবং রেসকোর্স
৪) রক গার্ডেন ট্যুরে দেখানো হয় রক গার্ডেন এবং গঙ্গামায়া পার্ক।
৫) মিরিক ট্যুরে দেখানো হয় জোড়পোখরি পশুপতিনগর এবং মিরিক লেক। দার্জিলিং সফরে গেলে অবশ্যই একদিনের জন্য হলেও মিরিকে ভ্রমণে করবেন কারণ মিরিকও পর্যটকদের আকৃষ্ঠ করে বিশেষ করে, লেক ও চা-বাগান।