1. [email protected] : Cholo Jaai : Cholo Jaai
  2. [email protected] : admin2024 :
শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০২:৫২ পূর্বাহ্ন

ঘুরে আসুন মেঘের রাজ্য সাজেক ভ্যালি

  • আপডেট সময় বুধবার, ২ অক্টোবর, ২০২৪

অপরূপ সৌন্দর্যের লীলাভূমি রাঙামাটির সাজেক ভ্যালি। সবুজ পাহাড়ে ঘেরা চারপাশ। সকালে সূর্য ওঠার আগে পাহাড়ের ভাঁজে ভাঁজে জমে থাকে মেঘ। এসব মেঘের ওড়াউড়িতে যেন মেঘ আর পাহাড়ের লুকোচুরি খেলা হয়। এই পাহাড়প্রকৃতি ক্ষণে ক্ষণে রূপ বদলায়। কখনো তীব্র শীত আবার চোখের পলকে চারপাশে মেঘের আনাগোনা। যেন অন্য রকম এক প্রকৃতির খেলা।

যেদিকে তাকাই, প্রকৃতিতে ভরা সব পাহাড়। এ যেন মেঘের উপত্যকা, মেঘেদের রাজ্যে নিজেকে হারিয়ে খুঁজে ফেরা। আর পেঁজা মেঘের ওপর পঙ্খিরাজ ঘোড়া নিয়ে ছুটে চলতে মন চাইবে যে কারও। তাই এমন প্রকৃতি মন কেড়ে নেয় অনায়াসে।

প্রকৃতির নৈসর্গিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি সাজেক ভ্যালি। রাঙামাটি জেলার বাগাইছড়ি উপজেলায় অবস্থিত সাজেক বাংলাদেশের বৃহত্তম ইউনিয়ন, যার আয়তন ৭০২ বর্গমাইল। ভারতের ত্রিপুরা-মিজোরাম সাজেকের সীমান্তবর্তী এলাকা। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে সাজেকের উচ্চতা ১ হাজার ৮০০ ফুট। খাগড়াছড়ি দীঘিনালা থেকে সাজেকের দূরত্ব মাত্র ৪০ কিলোমিটার। খাগড়াছড়ি থেকে যাতায়াত অনেক সুবিধাজনক হওয়ায় ভ্রমণপিপাসুরা দীঘিনালা থেকেই সাজেক যেতে বেশি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন।

Dhaka Post

যেভাবে যাবেন সাজেক
প্রথমে আপনার শহর থেকে আসা গাড়িতে করে খাগড়াছড়ির প্রাণকেন্দ্র শাপলা চত্বর গাড়ি থেকে নামতে হবে। তারপর ফ্রেশ হওয়ার জন্য রয়েছে বিভিন্ন আবাসিক হোটেল। নাশতা করার জন্য রয়েছে রেস্টুরেন্ট। এরপর চত্বরের পাশেই রয়েছে সাজেক যাওয়ার জন্য গাড়ির কাউন্টার। সেখান থেকে রিজার্ভ দেওয়া হয় সাজেকগামী চাঁদের গাড়ি, পিকআপ, মাহেন্দ্র ও সিএনজিচালিত অটোরিকশাসহ বিভিন্ন গাড়ি।

সাজেক যাওয়া গাড়িগুলো সিএনজি থেকে শুরু করে পিকআপ পর্যন্ত রিজার্ভ করে নিতে পারবেন। সাজেক এক রাত যাপন চাঁদের গাড়ি ৬ হাজার ৬০০ টাকা। খাগড়াছড়িসহ ঘুরলে ৮ হাজার ১০০ টাকা। পিকআপ রাত্রিযাপন ৭ হাজার ৭০০ টাকা। খাগড়াছড়িসহ ৯ হাজার ৭০০ টাকা। যদি দুই-তিনজন আসেন, তাহলে রয়েছে সিএনজির কাউন্টার। এক রাত থাকাসহ সিএনজি হলে ৪ হাজার ৫০০ টাকায় পাওয়া যায়।

সব প্রস্তুতি শেষে এবার সাজেকের উদ্দেশে রওনা দিয়ে প্রথমে আপনাকে যেতে হবে বাঘাইহাট আর্মি চেকপোস্টের সামনে। গাড়ির চালকসহ সেখানে সবার তথ্য দিয়ে টোকেন নিতে হবে। এরপর শুরু হবে সেখান থেকে সকাল ১০টায় এসকট। এসকটের গাড়ির পেছনে যেতে হবে মাচালং আর্মি চেকপোস্টে। সেখান থেকে পরিবর্তন হবে এসকটের গাড়ি। সেই গাড়ির পেছনে যেতে হবে সাজেক ভ্যালি পর্যন্ত। ভেতরে ঢুকতেই রয়েছে প্রবেশ ফি টিকিট কাউন্টার। টিকিট নিয়ে প্রবেশ করতে হবে ভেতরে।

প্রতিজন পর্যটকের জন্য ২০ টাকা, চাঁদের গাড়ির জন্য ১০০ টাকা এবং মোটরসাইকেল হলে ৫০ টাকার টিকিট নিয়ে প্রবেশ করতে হয় ভেতরে। বের হওয়ার সময় সেই টিকিট ফিরিয়ে দিতে হয় সেখানে।

Dhaka Post

সাজেকে রাত যাপন করবেন কোথায়

প্রকৃতিঘেরা সাজেক ভ্যালিতে রয়েছে নানা রকম রিসোর্ট। কাঠের, বাঁশের, টিনের ও পাকা অসংখ্য কটেজ। এর মধ্যে পাকা কটেজ রয়েছে উন্নত মানের। এগুলো এক রাতের ভাড়া ৬ থেকে ১৪ হাজার টাকা পর্যন্ত। কাঠের তৈরি কটেজে রয়েছে ৩ থেকে ৬ হাজার টাকায়। বাঁশের তৈরি কটেজ রয়েছে ২ থেকে ৪ হাজার টাকায়। সব পর্যটক তাদের চাহিদা অনুসারে রাত যাপন করতে পারবেন। থাকতে গেলে কোনো বাধার মুখে পড়তে হয় না পর্যটকদের। নিজেদের স্বাধীনতার মধ্যে থাকতে পারে রিসোর্টে।

এই রিসোর্টগুলো থেকে দেখা যায় প্রকৃতিঘেরা নয়নাভিরাম পাহাড়। সেসব পাহাড়ে ভোর হলেই দেখা মেলে মেঘের আনাঘোনা। পর্যটকরা এমন মনকাড়া দৃশ্যের জন্যই অপেক্ষা করে থাকেন।

যা খাবেন সাজেকে
সেখানে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের রেস্টুরেন্ট। সবাই পছন্দ অনুসারে যেকোনো হোটেলে খেতে পারবে। কিন্তু নির্দিষ্ট কিছু খাওয়ার ছাড়া তেমন কিছু পাওয়া যায় না সেখানে। তবে খেতে হলে আগে থেকেই অর্ডার করতে হয় চাহিদা অনুসারে।

সকালের নাশতায় ভুনা খিচুড়ি আর রসালো ডিম অথবা পরোটা, ডিমভাজি, ডাল, চা খেতে পারবেন। দুপুরে রয়েছে দেশি মুরগি, মিক্সড সবজি, আলুভর্তা, ডাল, ভাত একটি প্যাকেজ। অন্য কিছু খেতে ইচ্ছে হলে আগে থেকেই রেস্টুরেন্ট কর্তৃপক্ষের কাছে অর্ডার করে রাখতে হবে চাহিদা অনুসারে। রাতে থাকে বারবিকিউ, পরোটা, সস, সালাদ, কোক অথবা ভেম্বো চিকেন, মিক্সড সবজি, আলুভর্তা, ডাল, ভাত ও ভেম্বো বিরিয়ানি। তবে সাজেকে খাওয়ার জন্য সবকিছুই আগে থেকে অর্ডার দিতে হয়। এ ছাড়া কোনো কিছুই তৈরি করা পাওয়া যায় না।

Dhaka Post

সকালে খাবার প্যাকেজ অনুসারে ৮০ থেকে ১২০ টাকায় প্রতিজনের খাবার, দুপুরে ২২০ থেকে ২৫০ টাকায় প্যাকেজ, রাতের খাবারে ২২০ থেকে ২৫০ টাকায় পাওয়া যায়। তবে বাড়তি খাবার প্যাকেজের সঙ্গে নিতে চাইলে নেওয়া সম্ভব। টাকা দিতে হবে অর্ডার করা সব খাবারের। এ ছাড়া ভেম্বো চিকেন প্রতিটি দিয়ে খেতে পারে চারজন। যার মূল্য ৬০০ থেকে ৭৫০ টাকা। ভেম্বো বিরিয়ানি একটি দিয়ে খেতে পারে দুজন। যার মূল্য ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা।

সাজেকে কী দেখবেন
প্রথমে সাজেক পৌঁছে রিসোর্টে উঠবেন। সেখানে নিজের সব জিনিসপত্র রেখে ফ্রেশ হয়ে রেস্টুরেন্টে খাবেন। এরপর চারটার দিকে যাবেন সাজেকের সবচেয়ে উঁচু কংলাক পাহাড়। যেখান থেকে দেখা মেলে সাজেকের পুরো চিত্র। আর মন ভরে দেখতে পারবেন সূর্যাস্ত। এবার কংলাক থেকে ফিরে আসবেন হেলি পেইড। সেখানে হয় সব পর্যটকের মিলন মেলা। সবাই মিলে আনন্দে মেতে ওঠে এই মাঠে। অনেক পরিচিত লোকের দেখা মেলে হেলিপেডে। তার চারপাশে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের খাবারের দোকান। সূর্যাস্তের পর সবাই সেখানেই নাশতা সেরে পেলেন।

হেলিপেড ঘোরা শেষে সবাই রিসোর্টে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে আবার বের হয় রাতের দৃশ্য উপভোগ করতে। একটু ঘোরাঘুরি শেষে রাতের বারবিকিউ পার্টিতে গানবাজনা করে আনন্দে মেতে ওঠে। এবার খেয়ে আবার ঘুরতে বের হয়। অনেকে বিভিন্ন জায়গায় বসে আড্ডা দেয় অর্ধরাত পর্যন্ত। তারপর কটেজে গিয়ে ঘুমানোর পালা।

যেভাবে করবেন বিলাস
সকালে সূর্য ওঠার আগেই ঘুম থেকে উঠে আপনার চোখে দেখা মিলবে চারপাশজুড়ে ঘন মেঘ। এই মেঘের বুক থেকে ভেসে আসে লাল বর্ণের সূর্য। মনে হয় যেন মেঘের ভেতর থেকে সূর্য হাসি দিচ্ছে। এমন দৃশ্য উপভোগ করতে পারবেন পুরো সাজেকে। সেখানে রয়েছে সকালে ঘোরার জন্য ঝাড় ভজ পার্ক ও স্টোন গার্ডেন নামের দুটি জায়গা। টিকিট নিয়ে ভেতরে প্রবেশ করে দেখতে পারবেন প্রকৃতিময় পাহাড়ঘেরা মনমাতানো মেঘ। এখানে রয়েছে বসার স্থান ও ছবি তোলার অনেক দৃশ্য।

Dhaka Post

এই উপভোগ শেষ করে রিসোর্টে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে সকালের নাশতা সারবেন। তারপর ফেরার পালা সাজেক ভ্যালি থেকে। আসতে হবে খাগড়াছড়ি শহরে। এখানে রয়েছে অনেক আদিবাসী রেস্টুরেন্ট। সেখান থেকে আদিবাসীদের নানা রকম বাহারি রান্না করা খাবার খেতে পারবেন নিজের পছন্দ অনুসারে। দুপুরের খাবার শেষে ঘুরতে পারবেন আলুটিলা, রিছাং ঝরনা, হর্টিকালচার পার্ক ঘুরে সন্ধ্যা নামলে বাজারে এসে বিভিন্ন বার্মিজ মার্কেট। তারপর রেস্টুরেন্টে গিয়ে রাতের খাবার শেষে আপনার গন্তব্য পৌঁছানোর পালা। এ জন্য রয়েছে নানা রকমের গাড়ি।

ট্যুরিস্ট গাইড
এ ছাড়া সব খরচ ছাড়া সাজেক ঘুরে বেড়াতে চাইলে নিতে পারেন ট্যুরিস্ট গাইড। তারা আপনার পছন্দ অনুসারে সবকিছু করে দেবে। ভোর রাতে খাগড়াছড়ির শাপলা চত্বর থেকে দায়িত্ব বুঝে নিয়ে আবার যাওয়ার সময় পর্যন্ত সবকিছু করবে এই গাইড। তাই নিজের কোনো সমস্যা থাকলে ট্যুর এজেন্সির মাধ্যমে আসতে পারেন পাহাড়ে।

সাজেক ঘুরতে আসা পর্যটক পিয়াস কান্তি রায় ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমার খুব ভালো লাগে পাহাড়প্রকৃতি। দ্বিতীয়বারের মতো সাজেক এসেছি। যতই আসি, আমার মন ভরে না। যখনই সুযোগ পাব পাহাড়ে বেড়াতে আসব।

সাজেক আসতে কোনো সমস্যায় পড়তে হয়েছে কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, পথে আমার কোনো সমস্যা হয়নি। খুবই শান্তিমতো আসতে পেরেছি। এখানে এসেও থাকা-খাওয়া নিয়ে কোনো সমস্যা নেই। এখানকার মানুষ খুব সম্মান করে। সবকিছু মিলে খুবই মজা পাচ্ছি।

স্বামীকে নিয়ে প্রথমবারের মতো সাজেক ঘুরতে এসেছেন প্রীতিলতা রায় স্বর্ণা। তিনি বলেন, আমার সম্প্রতি বিয়ে করেছি। তাই প্রথম ঘুরতে এসেছি। আমার এত ভালো লাগছে যে বলে বোঝানোর ভাষা নেই। ঘুরতে এসে আমরা কোনো সমস্যায় পড়িনি। এখানকার সবকিছুই অনেক ভালো। সাজেক ঘুরতে এসে শুধু গাড়ি, রিসোর্ট দেখে নিতে পারলে আর কোনো সমস্যা হয় না। তাই আমি বলব যে কেউ পাহাড় দেখতে চাইলে সাজেক ঘুরে যেতে পারেন।

Dhaka Post

নোয়াখালী থেকে মোটরসাইকেল নিয়ে ঘুরতে আসা ইসমাইল হোসেন বলেন, আমরা পাহাড়ি পথে এই প্রথম বাইক নিয়ে ঘুরতে এসেছি। আমাদের খুব ভালো লাগছে। প্রকৃতি উপভোগ করতে পেরেছি খুব ভালো করে। রাস্তায় আমাদের বাইক চালাতে কোনো সমস্যা হয়নি। যেহেতু পাহাড়ি পথ, একটু দেখেশুনে চালাতে পারলেই হয়। সাজেক এসে নিজের পছন্দের রিসোর্টে উঠেছি। আমাদের যে বাজেট, তা অনুসারে খুব ভালোভাবে থাকতে পেরেছি। এখানে সব ধরনের মানুষের জন্য খুব ভালো ব্যবস্থা রয়েছে থাকা খাওয়ার।

বিলাশ রিসোর্টের ম্যানেজার ঢাকা পোস্টকে বলেন, সাজেক ভ্যালির মূল জায়গা রুইলুই পাড়াতে অবস্থিত আমাদের রিসোর্ট। আমাদের এখানে রয়েছে ভিআইপি ও নন-ভিআইপি দুই রকমের রুম। প্রতি রুমের ভাড়া ৪ থেকে ৬ হাজার টাকা। যে যার চাহিদা অনুসারে থাকতে পারবেন আমাদের রিসোর্টে। আমরা চেষ্টা করি পর্যটকদের সর্বোচ্চ সেবা দিতে। কারণ, সবাই আমাদের মেহমান। তাই আমরা সেভাবে সেবা দিয়ে থাকি। যাতে আমাদের সেবায় অসন্তুষ্ট না হন কেউ।

রুইলুই পাড়ায় অবস্থিত কফি হাউসের মালিক জুলি লুসাই বলেন, আমি সকাল-সন্ধ্যা দুই বেলা এই দোকান খোলা রাখি। পর্যটকরা তাদের চাহিদা অনুসারে চা, কফি খান এখানে। চেষ্টা করি সর্বোচ্চ সেবা দিতে। কারণ, তারা অনেক দূর থেকে আসেন আমাদের পাহাড়ে। তাই তাদের সম্মানে ভালো সেবা দিয়ে থাকি।

খোয়ালবুক রিসোর্ট ও রেস্টুরেন্টের ম্যানেজার রাসেল চাকমা বলেন, আমাদের রিসোর্টে দুই ধরনের রুম রয়েছে। যে কেউ চাইলে আমাদের এখানে থাকতে পারে। এখানে প্রতি রুমের ভাড়া ৬ থেকে ৮ হাজার টাকা। এ ছাড়া সভা, সেমিনার ও গানবাজনা করার জন্য রয়েছে একটি উন্মুক্ত জায়গা। এর পাশাপাশি রয়েছে খাবারের ব্যবস্থা। আমাদের রেস্টুরেন্টে একসঙ্গে ৫০ জন লোক বসে খেতে পারেন। তাই বড় ধরনের কোনো ট্যুর হলে খাওয়ায় কোনো সমস্যা হয় না।

Dhaka Post

সাজেকে যে বিষয়গুলো অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে
* জাতীয় পরিচয়পত্র সঙ্গে রাখবেন
* প্রয়োজনের বাইরে পানি নষ্ট করা যাবে না
* সেনা ক্যাম্পের সামনে ও ক্যাম্পের ছবি তোলা নিষেধ
* আদিবাসীদের ছবি তুলতে অনুমতি নিতে হবে
* পাহাড়ে ব্যহারের জন্য রবি, এয়ারটেল, টেলিটক সিম নিয়ে যাওয়া
* সাজেক যেতে অবশ্যই নিজে দেখে গাড়ি ভাড়া করবেন
* দুদিন আগে থেকে হোটেল-কটেজ ভাড়ার বিষয়ে যোগাযোগ করা
* যারা মোটরসাইকেল নিয়ে ঘুরতে আসেন, তারা নিয়ম মেনে গাড়ি চালাতে হবে
* যতটুকু সম্ভব সতর্ক থেকে ধীরগতিতে গাড়ি ওভারট্যাক না করা
* যারা নিজের গাড়ি নিয়ে আসবেন, অবশ্যই অভিজ্ঞ চালক নিয়ে আসবেন
* গাড়ির সবকিছু চেক করে নিয়ে আসবেন। যাতে পাহাড়ে এসে আটকে না পড়েন
* পাহাড়ি এলাকায় নির্দিষ্ট স্থান ছাড়া কোথাও গাড়ি মেরামত করার সুযোগ নেই

Dhaka Post

সাজেকের পাশাপাশি অন্যান্য দর্শনীয় স্থান
সাজেক গিয়ে পাশাপাশি উপভোগ করতে পারবেন সাজেক রুইলুই পাড়ার দৃশ্য, কংলাক পাহাড়ের মনোরম প্রকৃতি, ঝারভোজ পার্ক, স্টোন গার্ডেন পার্ক। সকালে চারপাশে মেঘের খেলা। সূর্যাস্ত ও সূর্যোদয়। এ ছাড়া সাজেক এলে দেখতে পারবেন খাগড়াছড়ির পাহাড়ে প্রকৃতি ভরা আলুটিলা, রিসাং ঝরনা, হর্টিকালচার পার্ক, মায়াবিনী লেক, অরণ্য কুটিরসহ বিভন্ন পর্যটনকেন্দ্র।

তবে সব দৃশ্য ঘুরে দেখতে হলে অবশ্যই আপনাকে সাজেকে এক রাত এবং খাগড়াছড়ি এক রাত যাপন করতে হবে। তাহলে নিজের মনমতো ঘুরে সব দৃশ্য উপভোগ করে তৃপ্তি নিয়ে ধরতে পারবেন বাড়ির পথ।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো ক্যাটাগরি
© All rights reserved © 2024 CholoJaai
Developed By ThemesBazar.Com