সিঙ্গাপুর একটি সমৃদ্ধ দেশ। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে পর্যটকরা সেখানে বেড়াতে যানন। সেখানকার জাদুঘর, জুরং বার্ড পার্ক, সরীসৃপ পার্ক, জুলজিক্যাল গার্ডেন, বিজ্ঞান কেন্দ্র, সেন্টোসা দ্বীপ, সংসদ ভবন, হিন্দু, চীনা ও বৌদ্ধ মন্দিরসহ চীনা ও জাপানি বাগানগুলো দেখার মতো।
জানলে অবাক হবেন, সিঙ্গাপুর বিশ্বের অন্যতম এক ব্যয়বহুল দেশ। আর সেদেশের কিছু নিয়ম আছে, যা প্রত্যেক পর্যটককে অবশ্যই মেনে চলতে হয়। আর না মানলে জেল-জরিমানা পর্যন্ত হতে পারে।
সিঙ্গাপুরে কোনো পাবলিক প্লেসে ময়লা-আবর্জনা ফেলা কঠোরভাবে নিষিদ্ধ। আপনি যদি সিঙ্গাপুরে ঘোরাঘুরি করেন কিংবা কিছু খান বা পান করেন তাহলে তা নির্দিষ্ট ডাস্টবিনে ফেলতে হবে।
ভুল করেও যদি আপনি পাবলিক প্লেসে কোনো ময়লা ফেলেন তাহলে প্রথমবার অপরাধের জন্য আপনাকে জরিমানা হিসেবে গুনতে হবে এসজিডি ১০০০ বা বাংলাদেশি টাকায় ৯২ হাজার ৭৬৭ টাকা।
সিঙ্গাপুর ভ্রমণে ধূমপায়ীদেরও সতর্ক থাকতে হবে। কারণ সিঙ্গাপুরে রাস্তা, বাস স্টপ, রেস্তোরাঁ, পার্ক, মলের মতো পাবলিক জায়গায় ধূমপান নিষিদ্ধ। আপনি যদি পাবলিক প্লেসে ধূমপান করতে গিয়ে ধরা পড়েন, তাহলে ন্যূনতম জরিমানা এসজিডি ২০০।
যা বাংলাদেশি অর্থে সাড়ে ১৮ হাজার টাকা। আর যদি আপনি ধূমপানের কারণে আদালতে দোষী সাব্যস্ত হন তাহলে, জরিমানা এসজিডি ১০০০ বা ৯২ হাজার ৭৬৭ টাকা গুনতে হতে পারে।
হ্যাঁ, সিঙ্গাপুরে চুইংগামও বেআইনি। শহর পরিষ্কার রাখতে এ নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। প্রথমবার অপরাধের জন্য জরিমানা এসজিডি ১০০০ বা বাংলাদেশি টাকায় ৯২ হাজার ৭৬৭ টাকা হতে পারে।
দ্বিতীয়বার অপরাধের জন্য, এসজিডি ২০০০ বা ১ লাখ ৮৫ হাজার ৫৬০ টাকা জরিমানা গুনতে হতে পারে। তবে নিকোটিন গাম বা ডেন্টাল গাম পর্যটক ও সাধারণ নাগরিকদের জন্য অনুমোদিত।
সিঙ্গাপুরের এমআরটি ট্রেন ও স্টেশনগুলোতে খাওয়া ও পান করা নিষিদ্ধ। এ কাজ করতে গিয়ে ধরা পড়লে, আপনাকে এসজিডি ৫০০ বা ৪৬ হাজার ৩৯০ টাকা জরিমানা দিতে হবে। সিঙ্গাপুরের র্যাপিড ট্রানজিট সিস্টেম অ্যাক্ট ১৯৮৭ এর অধীনে অব্যহত আছে এই নিষেধাজ্ঞা।
সিঙ্গাপুরে মাদকের বিরুদ্ধেও কঠোর আইন আছে। মাদকদ্রব্যের দখল থেকে চোরাচালান বা সেবনে কঠিন শাস্তি হতে পারে (কিছু ক্ষেত্রে মৃত্যুদণ্ড)।
আইস, হেরোইন বা গাঁজার মতো মাদক সেবনের ক্ষেত্রে একজনকে ন্যূনতম এক বছর থেকে ১০ বছরের কারাদণ্ডের সম্মুখীন হতে হয়। একই সঙ্গে এসজিডি ২০ হাজার বা ১৮ লাভ ৫৫ হাজার ৬০২ টাকা পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে।