রাতারগুল সোয়াম্প ফরেস্ট সিলেটের গোয়াইনঘাটের ফতেহপুর ইউনিয়নে অবস্থিত বাংলাদেশের একটি মিঠাপানির জলাবন। একসময় বাংলাদেশের একমাত্র জলাবন হিসেবে মনে করা হতো রাতারগুলকে।
পৃথিবীতে মিঠাপানির যে ২২টি মাত্র জলাবন আছে, “রাতারগুল জলাবন” তার মধ্যে অন্যতম।
এই জলাবনের আয়তন ৩,৩২৫.৬১ একর।
চিরসবুজ এই বন গোয়াইন নদীর তীরে অবস্থিত এবং চেঙ্গির খালের সাথে একে সংযুক্ত করেছে। এখানে সবচেয়ে বেশি জন্মায় করচ গাছ।
এখানকার গাছপালা বছরে ৪ থেকে ৭ মাস পানির নিচে থাকে। বর্ষাকালে এই বন ২০–৩০ ফুট পানির নিচে নিমজ্জিত থাকে। বাকি সারা বছর পানির উচ্চতা ১০ ফুটের মতো থাকে।
বনের দক্ষিণ দিকে রয়েছে দুটি হাওর: শিমুল বিল হাওর ও নেওয়া বিল হাওর।সিলেট শহর থেকে এর দূরত্ব প্রায় ২৬ কিলোমিটার।
এই বনে সাপের আবাস বেশি, আছে জোঁকও। শুকনো মৌসুমে বেজিও দেখা যায়। এছাড়া রয়েছে বানর, গুই সাপ।পাখির মধ্যে আছে সাদা বক, দেশি কানিবক, মাছরাঙ্গা, টিয়া, বুলবুলি, পানকৌড়ি, ঢুপি, ঘুঘু, চিল এবং বাজপাখি। শীতকালে রাতারগুলে বালিহাঁসসহ প্রচুর পরিযায়ী পাখি আসে।
এর ৫০৪ একর এলাকাকে বাংলাদেশ সরকার ১৯৭৩ সালে বন্যপ্রাণীর অভয়ারণ্য হিসেবে ঘোষণা করে। এছাড়াও ৩১ মে ২০১৫ তারিখে বাংলাদেশের বন অধিদপ্তর ২০৪.২৫ হেক্টর বনভুমিকে বিশেষ জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ এলাকা হিসবে ঘোষণা করে।