1. [email protected] : Cholo Jaai : Cholo Jaai
  2. [email protected] : admin2024 :
বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:০১ অপরাহ্ন

ঘুরে আসুন মেঘ, পাহাড় আর ঝর্ণাধারার দেশ ‘জাফলং’

  • আপডেট সময় বুধবার, ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

মেঘ-পাহাড়ের দেশ জাফলং। পাহাড়ের সাথে আকাশের মিতালী এবং প্রবাহিত ঝর্ণাধারা এ যেন প্রকৃতির এক অনন্য সৃষ্টি। পিয়াইন নদীর তীরে স্তরে স্তরে সাজানো পাথরের স্তুপ জাফলংকে করেছে আরো আকর্ষণীয়। সিলেটের খাসিয়া জৈন্তা পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থিত জাফলং প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অপরূপ লীলা ভূমি।

ঝুলন্ত ডাউকি ব্রিজ, নদীর স্বচ্ছ হিমেল জল, উঁচু পাহাড়ে গহীন অরণ্য ও শুনশান নীরবতার কারণে পর্যটকদের কাছে জাফলং ভ্রমণের জন্য এক অনন্য স্থান। জাফলংকে শুধু ‘প্রকৃতির কন্যা’ নামেই অবিহিত করা হয় না। নানা নাম রয়েছে জাফলংয়ের। বিউটি স্পট, সৌন্দর্যের রাণি, এসব অভিধা দেওয়া হয়েছে জাফলংয়ের। প্রতিদিন তাই অগণিত ভ্রমনার্থীর পদভারে মুখরত হয়ে উঠে জাফলং।

সিলেট শহর থেকে ৬২ কিলোমিটার উত্তর পূর্বদিকে গোয়াইনঘাট উপজেলায় জাফলং এর অবস্থান। জাফলংয়ে শীত ও বর্ষা উভয় মৌসুমেই যাতায়াত করা যায়। তবে একেক ঋতুতে জাফলংয়ের সৌন্দর্য একেক রকম।

প্রাচীণকালে জাফলং খাসিয়া জৈন্তা-রাজার অধীন নির্জন বনভূমি ছিল। ১৯৫৪ সালে জমিদারী প্রথা বিলুপ্তির পর এই রাজ্যের অবসান ঘটে। তারপরও বেশ কয়েক বছর জাফলংয়ের বিস্তীর্ণ অঞ্চল পতিত ছিল। পরে ব্যবসায়ীরা পাথরের সন্ধানে নৌপথে জাফলং আসতে শুরু করেন।

পাথর ব্যবসার প্রসার ঘটতে থাকায় এখানে নতুন জনবসতি গড়ে উঠে। আশির দশকে সিলেটের সাথে জাফলং এর সড়ক যোগাযোগ প্রতিষ্ঠিত হয়। এরপর থেকে জাফলংয়ের নয়নাভিরাম সৌন্দর্যের কথা সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ে।

জাফলংয়ে খাওয়ার হোটেল থাকলেও থাকার ভালো হোটেল নেই। জাফলংয়ে সিলেট শহর থেকেই যাতায়াত করা সহজ। শহর থেকে মাইক্রোবাসে যাতায়াত করতে হলে ১৫শ’ থেকে ২ হাজার টাকা ব্যয় হবে। এছাড়া স্বল্প খরচে সিএনজিচালিত অটোরিকশায়ও যাতায়াত করতে পারেন। রয়েছে বাস সেবাও।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো ক্যাটাগরি
© All rights reserved © 2024 CholoJaai
Developed By ThemesBazar.Com