মুম্বাইয়ে খুব বেশি ঐতিহাসিক মনুমেন্ট দেখা যায় না। কিন্তু শহরটি অনেক বৈচিত্র্যপূর্ণ। শহরটিতে সমুদ্রসৈকত থেকে শুরু করে পিকনিক স্পট পর্যন্ত অসংখ্য দর্শনীয় স্থান রয়েছে। ভারতের বন্দরনগরী হিসেবে পরিচিত শহরটির আকর্ষণীয় স্থান সম্পর্কে বলা হলো-
গেটওয়ে অব ইন্ডিয়া
মুম্বাইয়ের সবচেয়ে বড় মনুমেন্ট গেটওয়ে অব ইন্ডিয়া। ১৯২৪ সালে মনুমেন্টটি নির্মাণ করা হয়। এখান থেকে ব্রিটিশ সৈন্যদের সর্বশেষ দল দেশে প্রত্যাবর্তন করে। মুম্বাইয়ের সবচেয়ে জনপ্রিয় স্থান এটি। দর্শনার্থীরা এখানে নৌকাযোগে বেড়াতে আসেন। মুম্বাইয়ের সবচেয়ে বড় আকর্ষণীয় জায়গা গেটওয়ে অব ইন্ডিয়া। স্থাপনাটি শহরের দক্ষিণভাগে অবস্থিত।
ঐতিহাসিক ভবন
মুম্বাইয়ে রয়েছে কিছু অভিজাত ঐতিহাসিক ভবন। মার্বেল পাথরের তৈরি এসব ভবনের মধ্যে রয়েছে ছত্রপতি শিবাজী মহারাজ ভাস্তু সাংড়াহাল্যা মিউজিয়াম, ছত্রপতি শিবাজী মহারাজ টার্মিনাস রেলওয়ে স্টেশন, বোম্বে হাইকোর্ট এবং দুর্গ এলাকায় অবস্থিত হর্নিম্যান সার্কেল উল্লেখযোগ্য। বিশেষ করে হর্নিম্যান সার্কেলে রয়েছে বিশাল উদ্যান। কোটচিওয়াদি গ্রামে রয়েছে অষ্টাদশ শতাব্দিতে নির্মিত বাড়ি। দর্শনার্থীরা এসব বাড়ি দেখে বিমোহিত হন।
বাংগঙ্গা ট্যাংক
মুম্বাইয়ের সর্বাপেক্ষা প্রাচীন জনপদ বাংগঙ্গা ট্যাংক। শহরটির ইতিহাস ও ঐতিহ্যের স্মারক। ইতিহাসপ্রেমী মানুষ এই শহরে ভ্রমণ করেন। বিশেষ করে শহরটির মন্দিরগুলোতে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ভীড় সবসময় দেখা যায়। এখানে ধর্মশালা রয়েছে যাকে ধর্মীয় অতিথিশালা হিসেবে অভিহিত করা হয়।
বলিউড
বলিউডের জন্যই মূলত মুম্বাই বিখ্যাত। বলিউড ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির রয়েছে বিশ্বজোড়া খ্যাতি। এর কারণেই একে হিন্দি চলচ্চিত্রের প্রাণকেন্দ্র বলা হয়। শহরটির পশ্চিমাংশে এটি অবস্থিত। দেশি-বিদেশি প্রত্যেকেই বলিউডে ভ্রমণ করেন। এছাড়া হিন্দি চলচ্চিত্রের অভিনেতা-অভিনেত্রীদের সঙ্গে কথা বলার জন্য আগ্রহী দর্শকরা প্রায় আসেন।
মেরিন ড্রাইভ
মুম্বাইয়ের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত মেরিন ড্রাইভ। শহরটির যেকোনো স্থান থেকে এখানে ভ্রমণ করে। এই শহরের অন্যতম আকর্ষণীয় জায়গা। এখানে সূর্যাস্তের দৃশ্য উপভোগের জন্য অনেকেই দূর-দূরান্ত থেকে ছুটে আসেন। চৌপাটি নামক স্থানে অনেক সুস্বাদু খাবার পাওয়া যায়। ভোজনরসিক মানুষের প্রধান আকর্ষণ সেটিই।