আজকাল সেলিব্রিটি থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ সবাই কমবেশি ভ্রমণের জন্য বেছে নিচ্ছেন মালদ্বীপ। বর্তমানে মালদ্বীপের ভিসা পাওয়াও বেশ সহজ। গরমে সেখানকার পরিবেশ বেশ মনোরম।
দ্বীপ রাষ্ট্রের একেকটি দ্বীপের আছে একটি করে রিসোর্ট। মানে নিরিবিলিতে হানিমুন কাটানোর জন্য পেয়ে যাবেন একটি নির্জন দ্বীপ। এদিক সেদিক বেড়াতে যেতে চাইলে রিস্ট থেকেই ব্যবস্থা করে দেবে। মালদ্বীপের প্রাকৃতিক পরিবেশ, সমুদ্রতট ও অত্যাধুনিক রিসোর্ট হানিমুনের জন্য আদর্শ।
অপূর্ব সুন্দর সমুদ্রসৈকতের জন্য মালদ্বীপে সারা বিশ্ব থেকে মানুষ বেড়াতে আসেন। তবে মালদ্বীপ ভ্রমণের খরচে কুলিয়ে ওঠা সবার পক্ষে তো আর সম্ভব নয়। তবে তয়েকটি বিষয় মানলে অবশ্য সহজেই মালদ্বীপ ভ্রমণের খরচ অনেকটাই কমানো যায়।
চলুন জেনে নেওয়া যাক কীভাবে খরচ কমাবেন-
মালদ্বীপে গিয়ে সি-প্লেন বা নৌকায় চড়তেই লাখ টাকা ছাড়িয়ে যায়, এ বিষয়টি মনে রাখতে হবে। বিমানবন্দর থেকে ব্যক্তিগত দ্বীপ রিসোর্টে যেতে গেলে নিজেকেই সেটি ভাড়া করতে হয়। একটি প্রাইভেট সি-প্লেন বা স্পিডবোটে চড়ে এক রাউন্ড ট্রিপে একজনের খরচ প্রায় ২০-২৫ হাজার টাকা।
আর রিসোর্ট যত দূরে হবে খরচ ততই বাড়বে। মালদ্বীপে প্রায় ১০৫টি দ্বীপ রিসোর্ট আছে। সেখানে আপনি আপনার বাজেট অনুযায়ী রিসোর্ট বেছে নিতে পারেন। তবে বাজেট কম থাকলে ব্যক্তিগত রিসোর্টের বদলে হোটেলেও থাকতে পারবেন। এতেও খরচ অনেক কম হবে। এর মধ্যে মাফুশি দ্বীপের রিসোর্টের ভাড়া তুলনামূলক কম।
কখন যাবেন?
বাজেট ভ্রমণ হলে, অক্টোবর বা নভেম্বর মাসে মালদ্বীপে যাওয়ার পরিকল্পনা করা ভালো। এ সময়ের মধ্যে মোটামুটি ১৫-২০ হাজারের মধ্যে মালদ্বীপের ফ্লাইট পেয়ে যাবেন। মালদ্বীপে পৌঁছে মাফুশি দ্বীপে যে ফেরি পাবেন। যার ভাড়া ৭০-১০০ টাকার মধ্যে।
মালদ্বীপ ভ্রমণের ক্ষেত্রে ৪ দিন, ৩ রাত থাকার পরিকল্পনা করতে পারেন। চেষ্টা করবেন ভ্রমণের দিনগুলোর মধ্যে যেন শুক্রবারে না পড়ে। শুক্রবার মালদ্বীপে ছুটির দিন।
থাকা-খাওয়া
মাফুশি দ্বীপে আপনি ৪-৭ হাজার টাকার মধ্যে রুম পেয়ে যাবেন। এখানে আপনি সব ধরনের স্পোর্টস অ্যাডভেঞ্চারও পাবেন। অন্যদিকে সেখানকার রেস্টুরেন্ট বা ক্যাফেতে জনপ্রতি ৫০০-১০০০ টাকার মতো খরচ পড়বে।
খরচ বাঁচাতে আর কী কী করবেন?
১. মালদ্বীপে গিয়ে ওভার ওয়াটার ভিলার পরিবর্তে বিচ ভিলার ঘর বুক করুন। খরচ তুলনামূলক কম হবে।
২. মালদ্বীপে ওয়াটার স্পোর্টস্ ও অন্যান্য অ্যাক্টিভিটিসের জন্য খরচ হতে পারে ৩৫ হাজার টাকা থেকে ২ লাখ পর্যন্ত। যত আনন্দ উপভোগ করবেন খরচও ততটাই বাড়বে।
তবে ২ লাখ টাকা খরচ করলে দ্বীপের প্রায় সব অ্যাক্টিভিটিতেই অংশ নিতে পারবেন। উপভোগ করতে পারবেন ডাইভিং, প্যারাসেলিং, কায়াকিং, জেট-স্কিইং, কাইট সার্ফিং, ফান টিউবিং, ওয়েকবোর্ডিং থেকে শুরু করে আরামদায়ক কার্যকলাপ যেমন স্পা, স্যান্ডব্যাঙ্ক পিকনিক ইত্যাদি।
৩. হোটেল বা রিসোর্টের রেস্তোরাঁগুলোতে খাবার খাওয়ার ব্যবস্থা আছে। সেখানে রোমান্টিক ডিনার বা লাঞ্চের জন্য খরচ হতে পারে ২-৮ হাজার টাকা।