ভারতের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য সবাইকে মুগ্ধ করে। একই সঙ্গে সে দেশের প্রাচীন ঐতিহ্য, ইতিহাস, বৈচিত্র্যময় সংস্কৃতি দেখতে ও জানতে বিশ্বের বিভিন্ন স্থান থেকে প্রতিবছর ভারত ভ্রমণে যান লাখ লাখ পর্যটক।
তবে জানলে অবাক হবেন, ভারতে এমন কয়েকটি স্থান আছে যেখানে ঘুরতে যাওয়া নিষেধ। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যমণ্ডিত এসব স্থান দেখার অনুমতি সে দেশের মানুষেরও নেই।
এর মধ্যে যেমন আছে পর্বতাঞ্চল তেমনই আছে সমুদ্রেঘেরা দ্বীপ। এসব নিষিদ্ধ স্থানে ঘুরতে গেলে বিপদে পড়তে পারেন যে কেউই! জেনে নিন তেমনই কয়েকটি স্থান সম্পর্কে-
অ্যাডভেঞ্চারপ্রেমীদের কাছে লাদাখের আরও এক স্থান জনপ্রিয়, আর সেটি হলো আকসাই চিন। সেখানেও আপাতত যাওয়া নিষেধ। ভারতের দাবি, এই স্থান জম্মু ও কাশ্মীরের লাদাখ অঞ্চলের অংশ। যদিও বাস্তবে এটি এলএসি’র অংশ। বিশ্বের এই অনন্য স্থান শীতল এক মরুভূমি।
পৃথিবীর তৃতীয় সর্বোচ্চ শৃঙ্গ কাঞ্চনজঙ্ঘা পর্বত চূড়ায় আরোহণের স্বপ্ন দেখেন কমবেশি সব পর্বতারোহীই। তবে এই পর্বতের চূড়ায় ওঠা নিষিদ্ধ ধর্মীয় কারণে। ২০০১ সালে উপাসনা স্থান আইন ১৯৯১-এর বিধানের অধীনে সিকিম সরকার কাঞ্চনজঙ্ঘা অভিযান নিষিদ্ধ করেছিল।
স্থানীয়দের ধারণা, এই পর্বতের চূড়ায় বাস করেন ঈশ্বর! তাই সেখানে আরোহণ করলে পর্বতশৃঙ্গ অপবিত্র ও দূষিত হয়ে উঠবে। এ কারণে প্রায় দুই দশক ধরে কাঞ্চনজঙ্ঘায় আরোহণ বন্ধ আছে।
লাদাখের অন্যতম জনপ্রিয় আকর্ষণ হলো স্টোক কাংড়ি। হেমিস ন্যাশনাল পার্কে অবস্থিত, স্টোক কাংড়ি শৃঙ্গটি ভারতের সর্বোচ্চ ট্রেকিং পয়েন্ট। অতিরিক্ত পর্যটকের ভিড়ের কারণে স্থানটি এখন বন্ধ আছে। জানা গেছে, ২০২৩ সাল পর্যন্ত এই শৃঙ্গে আরোহন করা নিষিদ্ধ।
আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের ব্যারন দ্বীপ বিশ্বের অন্যতম সুন্দর দ্বীপপুঞ্জগুলোর মধ্যে অন্যতম। ভারতের একমাত্র সক্রিয় আগ্নেয়গিরি থাকায় এই দীপপুঞ্জে জনসাধারণের যাওয়া নিষেধ।
১৯৯১ সালে ব্যারেন দ্বীপে একটি বিশাল বিস্ফোরণ ঘটে। এতে ওই এলাকার প্রাণীজগত ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল। ভয়ে অনেক জনসংখ্যাও কমে যায়। তবে দ্বীপটি দেখতে চাইলে নৌকায় উঠে দূর থেকে দেখতে পারেন পর্যটকরা।
বিশ্বের উচ্চতম হ্রদগুলোর মধ্যে অন্যতম সিকিমের চোলামু হ্রদ। এর আরেক নাম সো লামো লেক। হ্রদটি তিব্বত সীমান্ত থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। শুধু সেনাবাহিনী, সিকিম পুলিশ ও প্রশাসন ছাড়া সাধারণ পর্যটকদের জন্য নিষিদ্ধ এই লেক।
সূত্র: ইন্ডিয়ান হলিডে