হিমেল হাওয়া আর শ্বেতশুভ্র বরফের দেখা পেয়ে আজ তার বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাস। সে আজ আবার সেজেছে নতুন করে। তার রূপের ডালি থেকে ঠিকরে পড়ছে বরফের দ্যুতি।
ট্রেন হাওড়া ছাড়ার পর সবার চোখই ফোনের স্ক্রিনে। সোশ্যাল মিডিয়া বা খবরের কোনও সাইটে নয়, সবাই তখন ব্যস্ত ‘কুইন অফ হিল’–এর তাপমাত্রার পারদ কোথায় নেমেছে সেটা দেখতে। স্ক্রিনে ভেসে ওঠা সংখ্যাটা দেখে সবাই রোমাঞ্চিত। পৌঁছনোর পর সেই রোমাঞ্চ বেড়ে গেল কয়েকগুণ। তখন শীতের সাজে সাজ সেরে ফেলেছে পাহাড়রানি। এসে পৌঁছেছি পশ্চিম হিমালয়ের পার্বত্য রাজ্য হিমাচল প্রদেশ। অনেকের কাছেই ‘দেবভূমি’। প্রকৃতি যেখানে উজাড় করেছে তার অপরূপ সৌন্দর্য।
হিল অফ কুইন
সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ২,২১৩ মিটার উচ্চতায় হিমাচলের রাজধানী শৈলশহর সিমলা। একটা সময় ছিল ব্রিটিশদের গ্রীষ্মকালীন রাজধানী। এখন তাপমাত্রার পারদ হিমাঙ্কের নীচে। চারদিকে সুউচ্চ পাহাড়ের মেলা আর কোথাও বা পাহাড়ের গাঁ বেয়ে নেমেছে পাহাড়ি গাছের দল।
ম্যাল: ডিসেম্বরের শেষের দিকে কনকনে ঠান্ডায় সিমলায় পা দেওয়ার পর মনটা কেমন যেন ছটফট করছিল কখন যাব ম্যালে। পর্যটদের কাছে সবচেয়ে আকর্ষণীয় জায়গা এই ম্যাল রোড। রেস্তোরাঁ, দোকানপাটে ভর্তি ম্যাল যেমন শহরের প্রাণকেন্দ্র, তেমনই বাণিজ্যকেন্দ্রও বটে। সিমলা বাসস্ট্যান্ড থেকে মিনিট ১৫ হাঁটাপথে ম্যালে পৌঁছনো যায়।
দ্য রিজ: কলকাতার ফুসফুস যেমন ময়দান, তেমনই সিমলার ফুসফুস দ্য রিজ। দিগন্ত বিস্তৃত উন্মুক্ত জায়গা থেকে চারদিকে ছড়িয়ে–ছিটিয়ে থাকা পাহাড়ের নৈসর্গিক দৃশ্য এককথায় ‘অনবদ্য’। আর শীতে সেই রূপের ছটায় দ্যুতি এনে দেয় বরফ–আচ্ছাদন।
জাকু পাহাড় ও জাকু মন্দির: সিমলার সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ জাকু। পাহাড়ের মাথায় জাকু মন্দির। অধিষ্ট দেবতা হনুমান। রামায়ণে লক্ষ্মণকে বাঁচানোর জন্য সঞ্জীবনীর খোঁজে বেরিয়ে হনুমানের সেই পাহাড় তুলে নিয়ে যাওয়ার সঙ্গে নাকি জড়িয়ে আছে এই পাহাড়ের নাম!
ভ্যাইসরিগেল লজ: ভাইসরয় লর্ড ডাফরিনের সরকারি ভবন। বর্তমানে এটি ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ অ্যাডভান্স স্টাডিজ। এখান থেকে সূর্যাস্ত ও সূর্যোদয়ের দৃশ্যও নজরকাড়া।
সামার হিল: ওক, রডোডেনড্রন আর নাম না–জানা পাহাড়ি গাছের মাঝে শহরের ব্যস্ততা থেকে কিছুটা দূরে নিরিবিলি সামার হিল। সিমলা সফরের সময় মহাত্মা গান্ধী এখানে রাজকুমারী অমৃত কৌরের বাড়িতে ছিলেন। এখানেই হিমাচল প্রদেশ বিশ্ববিদ্যালয়।
ক্রাইস্ট চার্চ: উত্তর ভারতের দ্বিতীয় প্রাচীনতম গির্জা। ১৮৪৪–৫৭–এর মধ্যে গড়ে ওঠে এই গির্জা। এলিজাবেথীয় স্থাপত্য রীতির অন্যতম নিদর্শন এই গির্জা। সেন্ট মাইকেল ক্যাথিড্রাল: এখানকার প্রথম ক্যাথলিক গির্জা। ১৮৫০ সালে তৈরি। এখানে এলে নজর কাড়ে ইতালি থেকে আনা মার্বেলের বেদিগুলি।
গেইটি থিয়েটার: বিনোদনের জন্য ব্রিটিশরা নিয়ো–গথিকশৈলীতে তৈরি করেন এই থিয়েটার।
গর্টন ক্যাসেল: ১৯০৪ সালে ব্রিটিশদের তৈরি এই বিশাল বাড়িতে আজ অ্যাকাউন্ট্যান্ট জেনারেলের অফিস।
তত্তপানি: সালফিউরাস উষ্ণ প্রস্রবণের জন্য বিখ্যাত। এ ছাড়াও এখানে শতদ্রু নদীতে রিভার র্যাফটিংয়েরও ব্যবস্থা আছে।
সিমলা কালীবাড়ি: বিধানসভার কাছেই সিমলা কালীবাড়ি। এখানকার কালীমূর্তি জয়পুর থেকে আনা। ডানদিকে দেবী মঙ্গলচণ্ডী ও বাঁদিকে দেবী শ্যামলা। দেবী শ্যামলার নাম থেকেই ‘সিমলা’ নামকরণটি হয়েছে।
লক্কর বাজার: ম্যাল থেকে স্ক্যান্ডাল পয়েন্ট হয়ে ঘুরে আসতে পারেন লক্কর বাজার থেকে।
নালধেরা: সিমলা থেকে ২২ কিমি দূরে ২,০৪৪ মিটার উচ্চতায় পর্যটকদের খুব প্রিয় নালধেরা। এখানে রয়েছে দেশের অন্যতম প্রাচীন গল্ফ কোর্স। যেটি তৈরি হয়েছিল লর্ড কার্জনের পরামর্শে। এই জায়গাটা লর্ড কার্জন তাঁর মেয়ে আলেকজান্দ্রাকে দিয়েছিলেন। আলেকজান্দ্রার দ্বিতীয় নাম ছিল নালধেরা।
চাদউইক জলপ্রপাত: সামার হিল থেকে ২ কিমি দূরে চাদউইক জলপ্রপাত।
সারাহান: প্রায় ১,৯৫০ মিটার উঁচুতে কিন্নরে প্রবেশের প্রবেশপথ সারাহান। শ্রীখাণ্ড রেঞ্জ–এর সৌন্দর্য উপভোগ করতে হলে এখানে আসতেই হবে। দেখবেন ভীমকালী মন্দির।
আরও যা: দ্য গ্লেন, স্টেট মিউজিয়াম, আনানডেল রেসকোর্স, সিমলা জল–অববাহিকা অভয়ারণ্য, প্রসপেক্ট হিল ও পাহাড়ের মাথায় কামনাদেবীর মন্দির, ফাগু ইত্যাদি থেকে ঘুরে আসা যায়।
যাওয়া: হাওড়া থেকে ১২৩১১ হাওড়া–দিল্লি–কালকা মেলে দিল্লি হয়ে কালকা পৌঁছে, সেখান থেকে কালকা–সিমলা ন্যারোগেজ ট্রেনে সিমলা। হাওড়া থেকে কালকা মেল প্রতিদিন সন্ধে ৭:৪০ মিনিটে ছাড়ে। ভাড়া: ১এ– ৪,৫২০, ২এ– ২,৬২৫, ৩এ– ১,৮০৫, স্লিপার– ৬৮০ ও ২এস– ৪০০ টাকা। কালকা থেকে সিমলা যাওয়ার জন্য রয়েছে– ৫২৪৫৭ কালকা–সিমলা প্যাসেঞ্জার (ছাড়ে প্রতিদিন ভোর ৪টে, ভাড়া: এফ সি– ২৭০ টাকা), ৫২৪৫১ শিবালিক ডিলাক্স এক্সপ্রেস (ছাড়ে প্রতিদিন ভোর ৫টা ৩০ মিনিটে, ভাড়া: এফ সি– ৫৫০ টাকা), ৫২৪৫৩ কালকা–সিমলা এক্সপ্রেস (ছাড়ে প্রতিদিন সকাল ৬টায়, ভাড়া: এফ সি–২৯৫ ও ২এস– ৬৫ টাকা), ৫২৪৫৫ হিমালয়ান কুইন (ছাড়ে প্রতিদিন বেলা ১২টা ১০ মিনিটে, ভাড়া: এফ সি– ৪৭০, সি সি– ২৬০ টাকা)।
থাকা: হিমাচল প্রদেশ ট্যুরিস্ট ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশনের ব্যবস্থাপনায় গেস্ট হাউস ও হোটেলের ব্যবস্থা রয়েছে। লগ করুন: hptdc.nic.in। এ ছাড়াও ভাল মানের বেসরকারি হোটেল ও হোম স্টে–র ব্যবস্থা আছে। রয়েছে সিমলা কালীবাড়ি।
উৎসব: সিমলায় বিখ্যাত সামার ফেস্টিভাল। প্রতি বছর মে–জুন মাসে আন্তর্জাতিক এই উৎসবের আয়োজন করা হয়। এ ছাড়াও শীতে রেড ক্রস ফেয়ার ও নিউ ইয়ারও খুব ধুমধামের সঙ্গে পালন করা হয় এখানে।
সিমলার গুরুত্বপূর্ণ কিছু ফোন নম্বর: এস টি ডি কোড: ০১৭৭; পুলিশ: ১০০/২৮১–২৩৪৪; হাসপাতাল: ২৮০–৩০৭৩/২৮০–৩২৪/২৮১–৪৭২৫/২৮০–৭৩২৪; রেলওয়ে স্টেশন: ১৩১/২৬৫–২৯১৫/২৬৫–২৬৯৬; বিমানবন্দর: ৭৩৬৮৩৫; বাসস্ট্যান্ড: ২৬৫–৮৭৬৫/২৬৫–৬৩২৬; ট্যাক্সি স্ট্যান্ড: ২৬৫–৭৬৪৫/২৮০–৫১৬৪; ট্যুরিস্ট ইনফরমেশন সেন্টার, সিমলা: ০১৭৭–২৬৫–৪৫৮৯/২৮৩–২৪৯৮; ডিপার্টমেন্ট অফ ট্যুরিজম অ্যান্ড সিভিল অ্যাভিয়েশন, সিমলা: ০১৭৭–২৬২–৫৯২৪/ ২৬২–৫৮৬৪/২৬২–৫৫১১; হিমাচল প্রদেশ ট্যুরিস্ট ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন মার্কেটিং অফিস, সিমলা: ০১৭৭–২৬৫–২৫৬১/২৬৫৮৩০২
লাভার্স হিল
পাতিয়ালার মহারাজা ভূপেন্দ্র সিং যখন সিমলা থেকে বিতাড়িত হন, তখন তিনি পাহাড়ের মাথায় খুঁজে পান ছোট্ট গ্রাম চেইলকে এবং ঠিক করেন এখানেই তিনি তৈরি করবেন তাঁর গ্রীষ্মকালীন আবাস। চারদিকে দেবদারুর ঘন জঙ্গল। জায়গাটি সিমলা থেকে সামান্য উঁচুতে (২,২২৬ মিটার) অবস্থিত হওয়ায় এখান থেকে শীতের সিমলাকে খুব সুন্দর দেখায়। আজ তাঁর সব সৃষ্টিই গবেষণার বিষয়। প্রাসাদে সুসজ্জিত আসবাবপত্র। কটেজ আর কুঁড়েঘরগুলি আজও যেন সেই একইরকম সুন্দর! ঘন জঙ্গল, ফলের বাগানে ঘেরা এই অঞ্চলটি যেন ‘লাভার্স হিল’। অভিজাত লন, ব্যাডমিন্টন ও টেনিস কোর্ট, বিলিয়ার্ড, চিলড্রেন পার্ক কী নেই সেখানে! যাঁরা কোলাহল থেকে বেরিয়ে একটু নিরিবিলিতে সময় কাটাতে চান তাঁদের কাছে চেইল একদম আদর্শ জায়গা। মাছ ধরা বা ট্রেকিংয়ের ব্যবস্থার পাশাপাশি বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু ক্রিকেট ও পোলোর মাঠও এখানেই। ঠান্ডাকে উপভোগ করতে করতে এবার চেইল সফরে বেরিয়ে পড়ার পালা।
সিধ বাবা কা মন্দির: মহারাজা ভূপেন্দ্র সিং নির্মিত মন্দির। কথিত, সিধ অর্থাৎ একজন সাত্ত্বিক ব্যক্তি মহারাজাকে স্বপ্নে এখানে তাঁর মন্দির তৈরির কথা বলেছিলেন।
ক্রিকেট মাঠ: ২,৪৪৪ মিটার উঁচুতে পাহাড়ের মাথায় বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু ক্রিকেট আর পোলোর মাঠ সত্যিই অনবদ্য।
ওয়াইল্ডলাইফ স্যাংচুয়ারি: হাতে সময় থাকলে ঘুরে আসা যায় ওয়াইল্ডলাইফ স্যাংচুয়ারি থেকেও।
কুফরি: জঙ্গলঘেরা ছোট্ট গ্রাম কুফরি। এখানকার সবচেয়ে আকর্ষণীয় জায়গা নেচার পার্কটি। এখানে ট্রেকিংয়ের ব্যবস্থাও রয়েছে।
সাধুপুল: কান্দাঘাট ও চেইলের মাঝে অবস্থিত এই গ্রামটি মূলত একটি পিকনিক স্পট।
ট্রেকিং: অনেকগুলো ট্রেক পথ রয়েছে চেইলে। চোর পাহাড় থেকে সিমলা পর্যন্ত ট্রেকপথটি সবচেয়ে বড়। অনেকেরই মাছ ধরার নেশা থাকে। ২৯ কিমি দূরে গিরি নদীতে মাছ ধরার ব্যবস্থাও রয়েছে।
যাওয়া: সড়কপথে চেইল যাওয়ার বেশ কতকগুলি রাস্তা আছে। সিমলা থেকে কুফরি (৪৫ কিমি) বা কান্দাঘাট (৬১ কিমি) হয়ে। কালকা থেকে দূরত্ব ৮৬ কিমি। সিমলা ও দিল্লি থেকে নিয়মিত বাস যাচ্ছে চেইল। কাছাকাছি বিমানবন্দর সিমলা (৬৩ কিমি)।
ফিরে এলাম ১৯ শতকে
এই হিল স্টেশনে এলে মনে হতেই পারে যেন টাইমমেশিনে ১৯ শতকে ফিরলাম। ১,৮০০ মিটার উচ্চতায় অপূর্ব সৌন্দর্যে ঘেরা কসৌলি। এখান থেকে সিমলার সৌন্দর্য সত্যিই ক্যামেরাবন্দি করে রাখার মতো। পাইন, ওকের জঙ্গলের মাঝে পাহাড়ি আঁকাবাকা পথ ধরে হাঁটলে আজও সেই ঔপনিবেশিকতার গন্ধ পাওয়া যায়।
মাঙ্কি পয়েন্ট: ঋষি মন–কি নামে একজন সাধক এখানে উপাসনা করতেন। তাঁর অধিষ্ট দেবতা ছিলেন ভগবান হনুমান। পরবর্তিকালে পাহাড়ের চূড়ার সেই ছোট্ট মন্দির হনুমান মন্দিরের নামে হয় এই পাহাড়ের নামকরণ। সীমান্ত অঞ্চল হওয়ায় সেনাবাহিনীর একটু কড়াকড়ি ও কিছু বিধিনিষেধ রয়েছে। সঙ্গে ক্যামেরা নিয়ে যাওয়া যায় না।
বাবা বালকনাথ মন্দির: পাহাড়ের মাথায় প্রসিদ্ধ সিধ বাবা বালকনাথ মন্দির।
শিরডি সাই বাবা মন্দির: ১৯৮৯ সালে তৈরি হয় সাই বাবার এই মন্দির। সাই বাবার মূর্তিটি নির্মিত হয় জয়পুরে। মন্দিরের জ্বলন্ত অগ্নিশিখা সাই বাবার ঐশ্বরিক ক্ষমতা বলে মনে করা হয়।
লরেন্স স্কুল: পাহাড়ের মাথায় খুবই জনপ্রিয় লরেন্স স্কুল। হেনরি লরেন্স তৈরি করেন এই স্কুল। তিনিই কসৌলিতে প্রথম কটেজ তৈরি করেন ১৮৪৮ সালে।
আরও যা: এখানকার গির্জা ও ব্যাপ্টিস্ট গির্জাগুলো আরও বহন করে চলেছে সেই ঔপনিবেশিক স্থাপত্যরীতির নকশা। এ ছাড়াও এখানকার ১৯০৬ সালে তৈরি সেন্ট্রাল রিসার্চ ইনস্টিটিউট, দেওয়াল পেইন্টিংয়ের জন্য বিখ্যাত কুঠার (৪৬ কিমি) ইত্যাদিও দেখার মতো।
যাওয়া: দিল্লি, কালকা (৩৭ কিমি) ও সিমলা থেকে ট্যাক্সি ও বাস যাচ্ছে কসৌলি। কাছাকাছি বিমানবন্দর চণ্ডীগড় (৬৫ কিমি) ও সিমলা (৭৩ কিমি)।
আপেলের দেশের প্রবেশপথ
‘আপেলের দেশ’ হিমাচলের প্রবেশপথ। ভারত–তিব্বত রোডের পাশে ২,৭০৮ মিটার উঁচুতে নারকান্দা। এখান থেকে বরফাবৃত পাহাড়ের দৃশ্য চিরকাল মনে রাখার মতো। পাহাড়ের মাথায় যাঁরা নির্জনতা খোঁজেন, তাঁদের জন্য প্রিয় জায়গা। বরফে মোড়া পাহাড়ের পাশাপাশি এখান থেকে গাছভর্তি আপেলের বাগানগুলোর সত্যিই নজরকাড়া। শীতকালীন খেলা স্কিইংয়ের জন্য বিখ্যাত নারকান্দা। হিমাচলপ্রদেশ ট্যুরিজমের উদ্যোগে এখানে স্কিইংয়ের কোর্সেরও ব্যবস্থা আছে।
হাতু পিক: নারকান্দা থেকে ৮ কিমি দূরে বিভিন্ন পাহাড়ি গাছ ও পাইনে ঘেরা হাতু পিক। পাহাড় চূড়ায় হাতু মাতার মন্দির। কনকনে ঠান্ডায় বরফের চাদরে ঢাকা হিমালয়ান রেঞ্জের সৌন্দর্যকে উপভোগ করতে হলে এখানে একবার আসতেই হবে।
কাচেরি: নারকান্দা থেকে দূরত্ব ৭ কিমি। এখানে দেখার বলতে মহামায়া মন্দির।
কোটগড়: আপেলের বাগানের জন্য জগজ্জোড়া খ্যাতি। ১৯১৪ সালে হিমাচলের এখানেই প্রথম ফলের বাগান গড়ে ওঠে।
জাল্লোরি পাস: নারকান্দা থেকে দূরত্ব ৯০ কিমি। শীতের কুলু ভ্যালির নৈসর্গ সত্যিই উপভোগ্যের সেরা ঠিকানা।
যাওয়া: সিমলা থেকে দূরত্ব ৬৫ কিমি। সিমলা থেকে যাওয়ার জন্য বাস ও ট্যাক্সির ব্যবস্থা রয়েছে। কাছাকাছি রেল স্টেশন (৬৫ কিমি) ও বিমানবন্দর সিমলা (৮৮ কিমি)।