নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন থেকে আপার জঙ্গু’র পথ ১৫০ কিলোমিটারের আশপাশে। গাড়ি নিয়ে পৌঁছে যাওয়া যায় সংকলং। সেখান থেকে অবশ্য গাড়ি যাওয়ার পথ নেই। পেরোতে হয় বাঁশের সাঁকো। নিচে বয়ে চলেছে তিস্তা, সামনে গ্রামের পথ, দু’পাশে অনন্ত সবুজের পাহাড়। এমন দৃশ্য উপভোগ করতে করতে সাঁকো পেরনোর উত্তেজনাই আলাদা।
উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্য সিকিমকে সুন্দরী বললেও কম বলা হয়। চোখের শান্তি, মনের আরাম এই পাহাড়ি রাজ্যের দৃশ্য। সিকিমের উত্তর বলতে, সকলেই বোঝেন জিরো পয়েন্ট আর গুরুদংমার লেকের মতো অসাধারণ সুন্দর জায়গাগুলি। তবে শুধু এই এলাকাই নয়, উত্তর সিকিমে রয়েছে এক অচেনা অংশ। অধিকাংশের কাছেই অপরিচিত এই উপত্যকার নাম জঙ্গু।
পাহাড়, জঙ্গল, নদী সব মিলেমিশে একাকার এই উপত্যকায়। ভোরবেলা ঘুম ভাঙ্গলেই বরফে ঢাকা কাঞ্চনজঙ্ঘার দৃশ্য। আর সেই সাদা বরফে সূর্যের রশ্মি পড়ে যখন চূড়ায় আগুন ধরায়, কাঞ্চনজঙ্ঘা হয়ে ওঠে আরও রূপসী। লেপচাদের সংরক্ষিত এলাকা এই জঙ্গু উপত্যকার গ্রামগুলি। তবে বেশ কিছু হোমস্টে রয়েছে এখানে পর্যটকদের জন্য।
বরফে ঢাকা পাহাড়ের দৃশ্য যেমন রয়েছে, তেমনি আছে কুল কুল করে বয়ে চলা তিস্তার মুগ্ধ করা রূপ। স্রোতস্বিনী তিস্তার সবুজ জলে পা ভিজিয়ে বসে কাটিয়ে দেওয়া যায় সারাদিন। এছাড়া রয়েছে চারদিকে সবুজের বাহার। জঙ্গু উপত্যকার উপর দিক থেকে, জঙ্গলের পথ ধরে পৌঁছে যাওয়া যায় লিংজে নামক ঝরনার কাছে। জঙ্গলের রূপ, চারদিকে পাখির কিচিরমিচির, জঙ্গলের ভিতর আবছায়া আলো আর কমলা লেবু গাছের সারির ভিতর দিয়ে হেঁটে যাওয়ার অভিজ্ঞতা একদম অন্যরকম।