দ্বীপটির মূল আকর্ষণ এর অনন্য ঐতিহ্যবাহী স্থাপত্যশৈলীর বাড়িঘর আর ব্রেথটেকিং ক্যালডেরা। এখানকার বাড়িঘরগুলো প্রকৃতপক্ষে পোসকাফো (গুহাঘর) ধরণের, বিভিন্ন প্রাকৃতিক দূর্যোগ থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্যই এই ধরণের গুহাঘর নির্মাণ করে এখানকার অধীবাসীরা।
সান্তরিনিতে আলাদা করে কোনো দর্শনীয় স্থানে যাওয়ার কিছু নেই, সান্তরিনি দ্বীপটাই অসম্ভব সৌন্দর্যের মাধুর্য্যে পরিপূর্ণ। এখানে আছে অনেকগুলো বীচ। বীচগুলোর একেকটার মাটির রং এক এক রকম হওয়ায় এগুলো পরিচিত ব্ল্যাক বিচ, রেড বিচ, হোয়াইট বিচ নামে। ওইয়া অনেক বেশি জনপ্রিয় একটি স্পট যেখানে আছে পৃথিবী বিখ্যাত পোস্টকার্ড ভিউ ‘থ্রি ডোমস’। ছোটবেলায় পোস্টকার্ডে সান্তরিনির সাদা বিল্ডিং আর নীল গম্বুজের এই ছবি দেখে ভাবতাম কোনো শিল্পীর কল্পনায় আঁকা ছবি, কিন্তু বড় হওয়ার পর জানলাম আসলেই এমন একটা জায়গা বাস্তবে আছে। এই কথা শুধু আমার না, ওইয়াতে থ্রি ডোমস এর স্পটে দাঁড়িয়ে দেখি চার-পাঁচ বছরের ছোট এক বাচ্চা তার মাকে বলছে ‘মাম্মি, মাম্মি, ইটস রিয়্যাল, মাম্মি ইটস রিয়্যাল, আই থট ইটস অনলি আ পিকচার, বাট ইটস রিয়্যাল মাম্মি, ইটস রিয়্যাল’। ছেলেটার উৎসাহটা দেখার মত ছিল, সে যেন নিজের চোখে দেখেও বিশ্বাস করতে পারছে না ব্যাপারটা।
রূপকথার রাজ্যে জীবনের কিছু সময় কাটাতে চাইলে ঘুরে আসতে হবে অপরূপ সৌন্দর্যের মাধুর্যে ভরপুর পৃথিবী বিখ্যাত সান্তরিনি দ্বীপে। সূর্যদয়, সূর্যাস্ত ছাড়াও, রাতের সান্তরিনির সৌন্দর্য চোখ ফেরানোর মত না। ভালো ভিউ পাওয়া যায় এমন হোটেল নিলে হোটেল রুমে বসেই পুরো শহরের সৌন্দর্য উপভোগ করা যায়। এছাড়া বারান্দায় বসে কফি খেতে খেতে রাতের শহর দেখা আর আকাশে যদি বড় একটা পূর্নিমার চাঁদ থাকে, তাহলেতো কথাই নেই।