অবসর সময়ে কোন স্থান ভ্রমণের কথা যদি বলতেই হয় তবে সাম্প্রতিক সময়ে সবচেয়ে প্রথম দিকে মনে পড়বে থাইল্যাণ্ডের কথা। ছবির মত এই দেশটি যেন নানান রকম নিসর্গ আর সমুদ্র আদরে ঘেরা। ব্যাংকক আধুনিক শহর হলেও অনেক রাজা এই শহরে রাজকীয় ধাঁচের অজস্র প্রাসাদোপম অট্রালিকা গড়ে তুলেছেন।
ব্যাংককের বর্তমান আধুনিক বিল্ডিংয়ের পাশাপাশি এই পুরনো ধাঁচের বাড়িগুলোও এক অনিন্দ্য সৌন্দর্য নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে আপনার চক্ষু তৃঞ্চা মেটানোর জন্য। ব্যাংককেই রয়েছে ছাও ফ্রায়া নদী। আর এই নদীর তীরেই বিশাল এলাকা জুড়ে রাজপ্রাসাদ-গ্রাণ্ড প্যালেস। রাজপ্রাসাদটিতে সবুজ ঘাসে ছাওয়া পথ বেয়ে যেতে হয়। সোনায় মোড়ানো প্রাসাদটি সত্যিই অপুর্ব। এককালে এখানে বসেই নিয়ন্ত্রণ করা হতো থাইল্যাণ্ডের সব কার্যক্রম। এখন যদিও সেটি সংরক্ষিত স্থাপনার আওতায় পড়ে গেছে।
এই প্রাসাদের পেছন দিকে গেলে দেখতে পাবেন ভাট বা মন্দির। অনেকেই জানেন হয়তো বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় যেমন মসজিদের ছড়াছড়ি তেমনি পুরো ব্যাংকক জুড়ে আবার মন্দির বা ভাটের দাপট। অসংখ্য মন্দিরের মধ্যে রয়্যাল চ্যাপল অত্যন্ত জনপ্রিয়। এখানে রয়েছে বহু মূল্যবান গৌতম বুদ্ধের মূর্তি। পাশেই রয়েছে বিশাল মনাষ্ট্রি। এই মনাষ্ট্রিতেই আবার রয়েছে পুরো পৃথিবীর সবথেকে বিশাল শায়িত বৌদ্ধ মূর্তি। মূর্তিটি সোনার পাতে মোড়া ৪৬ মিটার দীর্ঘ। মন্দির সৌধ ঘেরা ব্যাংকক দেখার জন্য রয়েছে আয়ুথায়ার পথে মার্বেল প্যালেস। এছাড়াও ওয়াট রাজানাড্ডা,ওয়াট বোয়ার্নিবাস,মহা উমা দেবী মন্দির,সাং চি চা, সান ফ্রা পার্ম এর মতো আকর্ষনীয় মন্দির।
যদি কুমির দেখতে চান তবে আপনাকে চলে যেতে হবে ব্যাংকক থেকে ২৭ কিলোমিটার দূরে সামুত প্রাকার্ন-এ। এখানে রয়েছে একটি কুমির প্রকল্প। বিস্ময়ের দৃষ্টি নিয়ে এক সঙ্গে প্রায় ৩০ হাজার কুমির দেখতে পাবেন এই প্রকল্পে পা রাখলে। শহর থেকে ৯০ কিলোমিটার দূরে রয়েছে থাইবাসীদের নিজস্ব সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের উদ্যান-রোজ গার্ডেন। পাশেই কোয়াই নদী। এ নদীর ব্রীজকে কেন্দ্র করেই লেখা হয়েছিলো বিখ্যাত উপন্যাস ‘দ্যা ব্রীজ অন দ্যা রিভার কোয়াই’।
কীভাবে যাবেন
বর্তমানে দেশেই এখন বিভিন্ন বেসরকারি ট্রাভেল এজেন্সি তাদের প্যাকেজ ট্যুরের আওতায় অতি অল্প খরচে আপনাকে থাইল্যান্ড ঘুরে আসার সুযোগ দিচ্ছে।
কোথায় থাকবেন
সারা শহর জুড়ে আপনার রাত যাপনের জন্য রয়েছে ছোট বড় অসংখ্য হোটেল। বিমান বন্দর থেকেই হোটেলের নাম ঠিকানা,খরচাপাতির ব্যাপারে খোঁজ খবর নিতে পারবেন।
কীভাবে বেড়াবেন
সাধারণ সিটি বাস থেকে শুরু করে এসি বাস,ট্রেন,ট্রাম,ট্যাক্সি সবই পাবেন হাতের নাগালে। এছাড়া রয়েছে অটোরিকশাও। তাছাড়া মোটর বাইক ভাড়া করেও ঘুরতে পারেন ইচ্ছে হলে।
শপিং করতে
আপনার শপিং সুবিধা দেয়ার জন্য এখানে রয়েছে অজস্র মল। তন্মোধ্যে এমবিকে,সিয়াম প্যারাগন,সেন্ট্রাল ওয়ার্ল্ড,প্যানথিম প্লাজা,আইটি মল ইত্যাদি।
খাওয়াদাওয়া
খাদ্যপ্রেমীদের কাছে ব্যাংকক মানেই স্বর্গ। চাইনিজ এবং থাই খাবারের সামাহার সর্বত্র। এছাড়া খাঁটি বাঙালি খাবারও পাওয়া যায় দেদারছে।