লন্ডন বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় পর্যটন গন্তব্যগুলোর মধ্যে একটি। এর সমৃদ্ধ ইতিহাস, আইকনিক ল্যান্ডমার্ক ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগে প্রতিবছর লাখ লাখ দর্শনার্থী সেখানে ভিড় করেন। তবে সেখানে এমন কয়েকটি টুরিস্ট স্পট আছে, যেগুলো এড়িয়ে যাওয়াই ভালো।
কারণ সেসব স্পট জনপ্রিয় হলেও, সেখানে দেখার মতো আদৌ তেমন কিছু নেই। বরং এজন্য আপনাকে গুনতে হবে মোটা অংকের টাকা। আবার সময়ও ব্যয় হবে। তাই প্রথমবার লন্ডন ভ্রমণে ব্রিটিশ রাজধানীতে আপনার সময় ও অর্থের সদ্ব্যবহার করতে ৬টি টুরিস্ট স্পট এড়িয়ে যাওয়াই ভালো।
বিশ্ব-বিখ্যাত এই মোম জাদুঘরটি নিঃসন্দেহে লন্ডনের একটি জনপ্রিয় টুরিস্ট আকর্ষণ। তবে এটি শহরের সবচেয়ে কুখ্যাত পর্যটক ফাঁদগুলোর মধ্যে একটি। অত্যধিক মূল্যের টিকিট ও অবিরাম লাইনের কারণে অনেকেই সেখানে গিয়ে বিরক্ত হয়ে ওঠেন।
অক্সফোর্ড স্ট্রিটকে অনেকেই লন্ডনের প্রধান শপিং গন্তব্য হিসেবে জানেন! তবে বাস্তবতা হতাশাজনক হতে পারে। এই রাস্তায় এমন অনেক দোকান আছে, যা আপনি যে কোনো বড় শহরে খুঁজে পেতে পারেন। আর সেখানকার দোকানগুলোতে সব সময়ই পর্যটকদের ভিড় লেগে থাকে।
এমনকি সেখানকার রাস্তা ও ফুটপাতে ভারী যানজটের কারণে আপনি অতীষ্ট হয়ে উঠতে পারেন। আপনি যদি আরও ভালোভাবে সেখানে কেনাকাটা করতে চান, তাহলে কভেন্ট গার্ডেন, ক্যামডেন ও শোরেডিচের বাজারগুলোতে ঢুঁ মারুন।
লন্ডন আই শহরের স্কাইলাইনের একটি আইকনিক অংশ। লন্ডনের প্যানোরামিক দৃশ্য দেখতে পর্যটকরা ভিড় করেন লন্ডন আইয়ে। তবে সেখানে গিয়েও আপনি হতাশ হবেন।
কারণ দীর্ঘ লাইন, উচ্চ টিকিট মূল্য ও রাইড স্বল্পতা কারণে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করতে করতে আপনার দিনটিই হয়তো কেটে যাবে। তার চেয়ে বরং কম খরচেই লন্ডন শহরের দৃশ্য দেখতে দ্য শার্ডে আরোহণ করা বা স্কাই গার্ডেন পরিদর্শন করতে পারেন।
পিকাডিলি সার্কাসকে প্রায়শই নিউইয়র্কের টাইমস স্কোয়ারের সঙ্গে তুলনা করা হয়। এর উজ্জ্বল আলো ও আলোড়নপূর্ণ পরিবেশ সবাইকে মুগ্ধ করলেও সেখানে এর বিখ্যাত নিয়ন চিহ্ন ও ইরোসের মূর্তি ছাড়া আর কিছু নেই দেখা বা করার মতো।
এটি মূলত একটি ব্যস্ত ট্রাফিক জংশন। যার চারপাশে দেখবেন অতিরিক্ত দামের রেস্তোরাঁ ও দোকানের সারি। আপনি যদি খাঁটি লন্ডনের অভিজ্ঞতা পেতে চানম তাহলে এর কাছাকাছি সোহো বা লিসেস্টার স্কোয়ারে যান। যেখানে আপনি আরও প্রাণবন্ত সাংস্কৃতিক দৃশ্য দেখতে পাবেন।
যদিও কুইন্স গার্ড পরিবর্তনের আইকনিক অনুষ্ঠানটি নিঃসন্দেহে দেখার মতো। তবে সেখানেও ক্রমবর্ধমান ভিড় ও বাণিজ্যিক দৃশ্য আপনাকে হতাশ করবে।
দীর্ঘ লাইন, আক্রমনাত্মক রাস্তার বিক্রেতারা ও সামগ্রিক বিশৃঙ্খল পরিবেশে আপনি বিরক্তবোধ করবেন। আবার সেই ভিড় ঠেলে আপনি সামনের সারিতে না পৌঁছালে বাকিংহাম প্যালেসে গার্ড পরিবর্তনের দৃশ্যটিও দেখতে পারবেন না।
লিসেস্টার স্কয়ারকে লন্ডনের বিনোদন স্থানগুলোর কেন্দ্র হিসেবে প্রচার করা হয়। তবে সেখানে সিনেমা দেখতে হলে আপনাকে অনেকগুলো টাকা ব্যয় করতে হবে। আবার সেখানকার সারিবদ্ধ রেস্তোরাঁর খাবারও বেশ ব্যয়বহুল। এর চেয়ে ঢুঁ মেরে আসতে পারেন কভেন্ট গার্ডেনের মতো আশপাশের এলাকাগুলো।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া