ঢাকা থাকতেই ত্বীষা কল করে বলে রেখে ছিলো যে সে আমাকে টরন্টো নামার পরে এয়ারপোর্ট থেকে বাসায় ড্রপ করবে। অনেকবার না-না করায় ও শোনেনি। ভুগতে হলো তাই! টরন্টোর পিয়ারসন এয়ারপোর্টে খুব দ্রুত সব কাজ হয়। ইমিগ্রেশান পার হতে তেমন একটা সময় লাগেনা। তার আগেই বেল্টে লাগেজ চলে আসে। ট্রলিতে লাগেজ চাপিয় ঠেলতেই ত্বীষার কল এলো – আই এ্যাম মাই ওয়ে ইকবাল ভাই।
বল্লাম – লাগেজ পেয়ে গিয়েছি। তোমার অপেক্ষায়,চলে এসো।
কলটা এলো আমার বেশ কয়েক মাস ব্যবহার না করা টরন্টোর ফোনসেটে। মাসে মাসে ডলার ব্যাংক থেকে কেটে নেয়ায় খুলতে নেট ওয়র্ক চালু। অনেক মাস পর হাবাতের মত টরন্টোতে সবার প্রিয় কফি টিম হর্টনের লার্জ কফি নিয়ে টলি সহ লাগেজ সামনে রেখে নরম সোফায় ফেসবুক খুলে বসলাম। Good bye Bangladesh আমার শেষ পোস্টে কমেন্টর বন্যা পাঠে ডুবে গেলাম। কখন যে ঘন্টা পার হয়ে গেছে টেরই পাইনি।
এখনো ত্বীষা কল করলোনা, এলো না, এতো হতে পারেনা। ট্যাক্সী নিয়ে চলে যাবো নাকি! তারপর ভাবলাম আরেকবার তাকে কল করি। কল করতে মাথায় হাত!!!
ত্বীষা কখন থেকে তার অডি বাহন নিয়েঅনেকক্ষণ অপেক্ষা করে আর কল করে বারবার না পেয়ে চলে গেছে। বেশিক্ষণ গাড়ি নিয়ে গাড়ি নিয়ে দাঁড়াতে দেয় না পুলিশ। চলেও গেছে অনেক দূর।
কী ব্যাপার ! আমার ফোনেতো কোনো রিং হয়নি। খুঁজে দেখি আমার রিংটোন বন্ধ করা ছিলো।
ত্বীষা ভালো মেয়ে। আবার গাড়ি ঘুরিয়ে এয়ারপোর্টে ফিরে এলো। আমাকে বাসায় নামিয়ে শান্তিমত ফিরে গেলো। নিজকে সৌভাগ্যবান মনে হয়। ঢাকা ছাড়ার সময় রাতবিরাতে দিলু রোড থেকে প্রিয় তাপস বিদায়ী দেখা করতে উত্তরা পর্যন্ত এলো। প্রিয় কিশওয়ার ইমদাদর ছোট ভাই রুশো তার রাশ গাড়িতে ঢাকা এয়ারপোর্টে নিয়ে গিয়ে নিজের ছোট ভাইয়ের মত ভারী লাগেজ টেনে নামিয়ে ট্রলিতে তুলে দিলো। জীবনে খুশি হতে এইতো যথেষ্ঠ আমার।