1. [email protected] : Cholo Jaai : Cholo Jaai
  2. [email protected] : admin2024 :
রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৫:৩৫ পূর্বাহ্ন

বর্ষায় টাঙ্গুয়ার হাওর ভ্রমণ

  • আপডেট সময় বৃহস্পতিবার, ২৫ জুলাই, ২০২৪

টাঙ্গুয়ার হাওরের সৌন্দর্য বছরের বিভিন্ন সময় পাল্টায়। তবে সেখানকার জৌলুস ফিরে আসে বর্ষাকালে। এ সময় টাঙ্গুয়ার হাওরে পানির দীর্ঘ প্রবাহ মিশে যায় সুদূরের মেঘালয়ের উঁচু পাহাড়ের সঙ্গে! আপনি সহজেই একটি নৌকা ভাড়া করে উপভোগ করতে পারবেন হাওরের নয়নাভিরাম প্রাকৃতিক সৌন্দর্যকে।

টাঙ্গুয়া এমন একটি ভূমি, যার আকৃতি মৌসুমভেদে ভিন্ন হয়। মেঘালয় পাহাড়ের পাদদেশে এই সুবিশাল জলাভূমি সবসময়ই দেশ-বিদেশের পর্যটকদেরকে হাতছানি দিয়ে ডাকে।

বার্ডওয়াচার বা পাখি পর্যবেক্ষকদের জন্যও এটি দারুণ জায়গা। এমনকি সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের পরিপূর্ণ দৃশ্য উপভোগ করার জন্যও টাঙ্গুয়ার হাওর দক্ষিণ এশিয়ার সেরা জায়গাগুলোর একটি।

বর্ষায় টাঙ্গুয়ার হাওর ভ্রমণে কীভাবে যাবেন, কোথায় থাকবেন?

টাঙ্গুয়ার হাওর সম্পর্কে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হলো জীববৈচিত্র্যের কারণে এটি একটি রামসার সাইট, একটি সংরক্ষিত জলাভূমি। এখানে অনেকেই যান পাখি গুনতে, পাখির কলকাকলি শুনতে ও বিভিন্ন গবেষণার কাজে।

তবে স্থানীয় লোকজনের জন্য এটি হলো একটি প্রাকৃতিক মাছের জলাধার। এই এলাকার জলজ উদ্ভিদও স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্যের অধিকারী ও দারুণ বিচিত্র প্রজাতির।

বর্ষাকালে ভিন্ন রূপ ধারণ করে টাঙ্গুয়া, হয়ে যায় সীমাহীন সাগরের মতো এক বিশাল জলাভূমি। নৌকা রাখার জায়গাও তখন মেলে না সহজে, গ্রামগুলো হয়ে যায় একেবারে নির্জন দ্বীপের মতো।

প্রায় ১০০ বর্গকিলোমিটার এলাকাজুড়ে বিস্তৃত এ হাওর বাংলাদেশর দ্বিতীয় বৃহত্তম মিঠা পানির জলাভূমি। ভারতের মেঘালয়ের খাসিয়া, জৈন্তা পাহাড়ের পাদদেশে সারি সারি হিজল-করচ শোভিত, পাখিদের কলকাকলি মুখরিত টাঙ্গুয়ার হাওর মাছ, পাখি ও অন্যান্য জলজ প্রাণীর এক বিশাল অভয়াশ্রম।

বর্ষায় টাঙ্গুয়ার হাওর ভ্রমণে কীভাবে যাবেন, কোথায় থাকবেন?

বর্ষায় হাওরের পানি ঘোলা থাকে। তবে বর্ষার শেষের দিকে পানি থাকে একদম স্বচ্ছ। বর্ষায় এর পুরোটাই পানিতে ডুবে থাকলেও শীতে পানি কমতে থাকে। এর বড় একটা অংশ তখন শুকিয়ে যায় যায়।

হাওরের একদম শেষপ্রান্তে ভারতের মেঘালয় রাজ্যের বিশাল পাহাড়। তবে সেখানে যাওয়া যাবে না। কারণ সীমান্তের কাঁটাতার বিভক্ত করে দিয়েছে দুই দেশের মানুষের প্রবেশাধিকার।

একসময় টাঙ্গুয়ার হাওরে যাওয়া ছিলো দীর্ঘ এক ভ্রমণ। ঢাকা থেকে গোলাবাড়ি গ্রামে পৌঁছতে প্রায় দু’দিন লেগে যেত। তবে সড়ক অবকাঠামোর উন্নতি ও নতুন নতুন ব্রিজ তৈরির পর অবস্থার অনেক উন্নতি হয়েছে।

এখন তো রাজধানী ঢাকা থেকে আধাদিনেই টাঙ্গুয়ায় যাওয়া যায়। শুধু তা ই নয়, ভাড়া দিয়ে আপনি থাকতে পারেন ‘বজরা’ নামে পরিচিত স্থানীয় কিছু নৌকায়।

কীভাবে যাবেন?

প্রথমেই পৌঁছাতে হবে সুনামগঞ্জ জেলা শহরে। সুনামগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড থেকে সাহেববাজার ঘাট পর্যন্ত রিকশায় যান। বর্ষাকালে শহরের সাহেব বাড়ি নৌকা ঘাট থেকে ইঞ্জিন বোট বা স্পিড বোটে সরাসরি টাঙ্গুয়া যাওয়া যায়।

সেক্ষেত্রে লোকাল ট্রলার বা ইঞ্জিন চালিত নৌকায় ভাড়া পরবে ৫ হাজার টাকার মতো। আর বিলাসবহুল ইঞ্জিন চালিত নৌকাগুলোতে হাই কমোডসহ বাথরুম, ছাদসহ অনেক সুবিধা আছে সেগুলোর ভাড়া পড়বে ১০-১৬ হাজার টাকার মতো।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো ক্যাটাগরি
© All rights reserved © 2024 CholoJaai
Developed By ThemesBazar.Com