হাওয়াইয়ের রাজধানী হনুলুলু উপকূলের পাশেই অবস্থিত একটি শহর। শহরটির মাইলের পর মাইল সৈকতের সৌন্দর্য আকৃষ্ট করে ভ্রমণপিপাসুদের। শহর থেকে গাড়ি করে মাত্র ৩০ মিনিটের দূরত্বে গেলেই আপনি দেখতে পারবেন বেশকিছু সৈকত।
হানাউমা বে: হানাউমা বে বীচটি একটি আগ্নেয়গিরির মাধ্যমে উৎপন্ন হয়েছে বলে ধারণা করা হয়। ডুবসাঁতারুদের অন্যতম পছন্দের জায়গা এটি। শান্ত, স্বচ্ছ পানি আর সামুদ্রিক জীবের প্রাচুর্য এটিকে গড়ে তুলেছে সাঁতার কাটার একুরিয়াম হিসেবে। এটি মূলত একটি আন্ডারওয়াটার পার্ক এবং সামুদ্রিক জীবের সংরক্ষিত জায়গা হিসেবে পরিচিত। এখানে আপনি প্রচুর হোটেল এবং রিসোর্ট পাবেন যারা পরিবহন ও অন্যান্য সুবিধাও দেবে।
স্যান্ডি বীচ: হনুলুলু শহর থেকে প্রায় ৪০ মিনিটের ব্যবধানে অবস্থিত এই স্যান্ডি বীচ। যেটি আবাসিক সুযোগ সুবিধা রয়েছে। খাবারের সুবিধা থেকে শুরু করে পার্ক সবই আছে এখানে। এখানে সব সময়েই লাইফগার্ড থাকে। বীচের খানিকটা দূরেই আছে পিকনিক স্পট।
ওয়াইয়ালে বীচ: হনুলুলু শহরের থেকে প্রায় ৩০ মিনিটের পথ এই বীচ। সাদা, কোমল বালির সাথে সাথে বীচটির শেষপ্রান্তে গেলে দেখা যাবে গাছের সারি। আপনি চাইলে বীচে বসে মাছ ধরতে পারেন। অনেকেই ওয়েডিং ফটোগ্রাফির করে থাকেন এখানে। এখানে তাদের নিজস্ব একটি ডলফিন দ্বীপও রয়েছে।
কাইলুয়া বীচ: শহর থেকে মাত্র ৩০ মিনিটের দূরত্বে পাবেন কাইলুয়া বীচ পার্ক। প্রশস্ত, সাদা, কোমল বালি আর নীল জলরাশির এই বীচটি লম্বায় ৩ মাইল। ৩৫ একরের একটি পার্কে রয়েছে ভলিবল, বাস্কেটবল খেলার কোর্ট, হাইকিং এবং অন্যান্য বিনোদনের সুবিধা।
কাহানামকু বীচ: ওয়াকিকি বীচ অনেক বড় এবং কোলাহলপূর্ণ হলেও এটি অসাধারণ একটি বীচ। মূলত সাঁতার কাটা আর প্যাডেলে ঘোরানো নৌকার জন্যই শান্ত নিবিড় এই পার্কটি মানুষের কাছে এত পছন্দের। এটির সীমানা ঘেঁষে দাঁড়িয়ে আছে সারি সারি লম্বা পাম গাছ।
ম্যাজিক আইল্যান্ড: এই আইল্যান্ডটি মানুষের তৈরি একটি উপদ্বীপ। যদিও রিসোর্টের জন্য এটি তৈরি করা হয়েছিল কিন্তু উপদ্বীপটি এখন একটি পার্ক। এখানে সব থেকে বেশি হয়ে হয়ে থাকে নৌকা বাইচ। পার্কের মতো বীচের কাছেও বারবিকিউ করার জন্য জায়গা ও হাইকিংয়ের জন্য ব্যবস্থা আছে।