যেন সমুদ্রের বুকে চকচকে এক টুকরো হীরের মত দ্বীপ। তীরে তার আছড়ে পড়ছে ঢেউ। ইস্তাম্বুলের কাছের এই দ্বীপের নাম ‘প্রিন্সেস আইল্যান্ড’। স্থানীয়রা ভালোবেসে ‘অ্যাডলার’ নামেই বেশি ডাকে। অন্য দ্বীপগুলো থেকে এটি একটি কারণে আলাদা। এই দ্বীপে গাড়ি ব্যবহারে রয়েছে কড়াকড়ি। সেই সঙ্গে আছে বহু সংস্কৃতিবাদের অনন্য নিদর্শন।টার্কির ইস্তাম্বুল থেকে পাবলিক ফেরিতে প্রায় এক ঘন্টা লাগে দ্বীপটিতে যেতে।
অ্যাডলারে বাইজেন্টাইন এবং অটোমান সুলতানরা তাদের অবাধ্য রাজপুত্র এবং রাজনৈতিক বন্দিদের নির্বাসনে পাঠাতো। এটি অটোমান সাম্রাজ্য এবং আর্মেনীয় সম্প্রদায়েরও শেষ আশ্রয়স্থল ছিলো। অ্যাডলার মূলত কাছাকাছি দূরত্বের চারটি দ্বীপ নিয়ে গঠিত। এই চারটি দ্বীপের আবার আলাদা আলাদা নাম রয়েছে। সেগুলো হলো কানাডিলা, বুর্গাজাডা, হাইবেলিডা এবং বুয়ুকাডা।
চারটি দ্বীপ নিয়ে অ্যাডলার মোট আয়তন প্রায় ১১ কিলোমিটার। আপনি চাইলেও এখানে গাড়ি ব্যবহার করতে পারবেন না।
ছবি: যেহেতু দ্বীপগুলি গাড়িমুক্ত, স্থানীয়রা বৈদ্যুতিক স্কুটারে যাতায়াত করে
স্থানীয়রা এখানে চলাচলের জন্য বৈদ্যুতিক স্কুটার ব্যবহার করে থাকেন। এই যানবাহন দিয়েই এক স্থান থেকে অন্য স্থানে যাতায়াত করে। ভ্রমণকারীরা এখানে বাইসাইকেলে করে ঘুরে বেড়াতে পারেন। এজন্য এখানে সাইকেল ভাড়া পাওয়া যায়। তবে এই দ্বীপে অল্প পরিমাণে ইলেকট্রিক বাসও রয়েছে। টার্কির অন্তভূক্ত হলেও এখানে সংস্কৃতিগত বৈচিত্র লক্ষ করা যায়। এই দ্বীপের মুসলিম অধিবাসীদের সঙ্গে খ্রিস্টানরাও মিলে মিশে থাকেন।