সব ধরনের ভ্রমণপিপাসুর জন্য বছরের সবচেয়ে বড় ছুটিতে ঘুরতে যাওয়ার পরিকল্পনা আরেকটু সহজ করে দিতে আজ থাকছে মালদ্বীপের গল্প। প্রিয়জনকে সঙ্গে নিয়ে ভালো একটা সময় কাটানোর জন্য অন্যতম একটি রোম্যান্টিক গন্তব্য প্রায় ১ হাজার ২০০ দ্বীপের দেশ মালদ্বীপ। শুধু এশিয়ার মধ্যেই নয়, পুরো পৃথিবীতে এ রকম মনোরম দৃশ্য ও পর্যটনবান্ধব পরিবেশ বিরল।
২০০৯ সালের আগে বিদেশি পর্যটকদের জন্য শুধু প্রাইভেট দ্বীপগুলো খোলা থাকলেও এখন স্থানীয় দ্বীপগুলোও সবার জন্য উন্মুক্ত। ফলে মালদ্বীপ যাওয়ার খরচটা বেশ সাশ্রয়ী হয়ে এসেছে এবং বেড়ে গেছে যাওয়ার মতো গন্তব্য। এতে খুব সহজেই বিভিন্ন দ্বীপ ঘুরে বেড়ানো যায়। কিন্তু মাথায় রাখবেন, দ্বীপ থেকে দ্বীপ ঘুরতে আপনার অবশ্যই উঠতে হবে স্পিডবোট, ফেরি, বা সি-প্লেনে। হুলহুমালে, মালে শহরের বাইরে আপনি গাড়ি দেখবেনই না হয়তো, পানিপথেই হবে আপনার যাতায়াত। মালে থেকে পানিপথে চলে যেতে পারবেন হানিফারু বে, যেখানে সাঁতার কাটতে পারবেন মান্তা রে মাছের সঙ্গে।
এ ছাড়া ঘুরতে পারবেন মাফুশি দ্বীপে, নীল পানির মধ্যে ছবির মতো সুন্দর একটা দ্বীপ, যেখানে দেখতে পাবেন স্থানীয়দের জীবনযাপন। আবার নিরিবিলিতে ব্যক্তিগত সময় কাটাতে চাইলে আছে শতাধিক রিসোর্ট। সমুদ্রের ওপর বিশ্বমানের এসব রিসোর্ট হানিমুন বা যেকোনো সুন্দর সময় হয়ে ওঠে সিনেমার দৃশ্যের মতো। ফিহালহোহি দ্বীপ পছন্দের তালিকায় শীর্ষে থাকলেও আছে ইরু-ফুশি, কুদা হিথি, মিলাইধুসহ অনেক দ্বীপ, যেসবের মধ্যে আপনার পছন্দমতো কিছু না কিছু অবশ্যই পাবেন। গভীর পানিতে মাছের সঙ্গে সাঁতার কাটতে চাইলে বা কাছে থেকে রঙিন প্রবাল দেখতে চাইলে গুলহি দ্বীপসহ আরও দ্বীপে আছে স্কুবা ডাইভিংয়ের সুযোগ।
তাই মালদ্বীপে গেলে সারাজীবনের জন্য যে অভিজ্ঞতা সবার অবশ্যই নেওয়া উচিত, সেটা হলো ‘স্কুবা ডাইভিং’। স্কুবা ডাইভিং নিয়ে অনেকের মধ্যেই কিছুটা ভয় কাজ করে। তবে এ নিয়ে আপনি নিশ্চিন্ত থাকতে পারেন; কারণ, পর্যটকদের সুরক্ষার সব দিক চিন্তা করেই অ্যাক্টিভিটিটি পরিচালনা করা হয়। নিরাপত্তার জন্য আপনার সঙ্গে থাকবে একজন পেশাদার ডুবুরি।
ভিন্নরকম কিছু অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করতে চাইলে চলে যেতে পারেন মানুষের তৈরি হুলহুমালে দ্বীপে। হুলহুমালেতে বা দেশের যেকোনো জায়গায় পাবেন অনেকরকম ফলের জুস আর প্রচুর নারকেল। এ ছাড়া খাবারের মধ্যে আছে অঢেল সামুদ্রিক মাছ। গরুড়িয়া নামের এক পদের মাছের স্যুপ মালদ্বীপের জাতীয় খাবার। ইয়ামস হলো দেশটির একমাত্র শস্য। আর ভাজা ইয়ামস হলো একধরনের সুস্বাদু নাশতা, যার স্বাদ না নিয়ে এলে আফসোস করতে হবে। আর চাইলে আপনি রিসোর্টে আয়োজন করতে পারবেন সমুদ্রের পাশে রোমান্টিক ডিনার।
একটু গবেষণা করে পরিকল্পনা করলে বেশ কম টাকায় এবং সময় সাশ্রয়ী অনেক অ্যাক্টিভিটি খুঁজে পাবেন।তাই মালদ্বীপে জীবনের অন্যতম স্মরণীয় সফর করতে আজই শুরু করে দিন আপনার পরিকল্পনা।