1. [email protected] : Cholo Jaai : Cholo Jaai
  2. [email protected] : admin2024 :
সোমবার, ০২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:৫৪ অপরাহ্ন

স্বপ্নের দারুচিনি দ্বীপ

  • আপডেট সময় মঙ্গলবার, ১৮ জুন, ২০২৪

আকাশের নীল আর সমুদ্রের নীল ঠিক আলাদা করা যাচ্ছে না। দুটোই সমান পাল্লা দিচ্ছে চোখ তাতিয়ে দিতে। একটা নারকেলগাছও যে এত আকাশের নীল আর সমুদ্রের নীল ঠিক আলাদা করা যাচ্ছে না। দুটোই সমান পাল্লা দিচ্ছে চোখ তাতিয়ে দিতে। একটা নারকেলগাছও যে এত সুন্দর লাগতে পারে, সেটা সেন্ট মার্টিন না গেলে অজানা থেকে যেত। ঘাটে বাঁধা নৌকো দুলছে ঢেউয়ে ঢেউয়ে। হালকা বাতাস চুল, ঘাড়, কানে সুড়সুড়ি দিয়ে পালাচ্ছে। সারি সারি নারকেলের বাগান দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে ভুলেই গেলাম পথে লম্বা জার্নির কথা। বালু, পাথর, প্রবাল কিংবা জীববৈচিত্র্যের সমন্বয়ে যেন বিজ্ঞানের এক ব্যবহারিক ক্লাস। কাচের মতো স্বচ্ছ পানিতে জেলি ফিশ, হরেক রকমের সামুদ্রিক মাছ আর কচ্ছপের ঘোরাফেরা। অনেকটা অ্যাকুরিয়ামের পানিতে সাঁতরে বেড়ানো মাছের মতো।

বাংলাদেশের একমাত্র এই প্রবাল দ্বীপে নামার পর থেকেই বিস্মিত হতে থাকবেন কিছুক্ষণ পরপর। কক্সবাজার জেলা শহর থেকে ১২০ কিলোমিটার দূরে সাগরের বুকের মধ্যে এই দ্বীপ। যেন পরম মমতায় সন্তানকে আগলে রেখেছেন মা। চারদিকে শুধু পানি আর পানি। টেকনাফ থেকে ট্রলারে লঞ্চে কিংবা জাহাজে যেতে লাগে দুই থেকে সোয়া দুই ঘণ্টা। এখানে জনসংখ্যা প্রায় সাড়ে ছয় হাজার। নারকেল, পেঁয়াজ, মরিচ, টমেটো ও ধান এখানে জন্মে বলে জানালেন স্থানীয় একজন। তবে অধিবাসীদের প্রায় সবারই পেশা মৎস্য শিকার। আজকাল পর্যটকদের আনাগোনা বাড়ায় অনেকেই রেস্তোরাঁ, আবাসিক হোটেল কিংবা দোকান খুলেছেন। সেন্ট মার্টিন দ্বীপের মানুষ সহজ-সরল, তাঁদের উষ্ণ আতিথেয়তা পর্যটকদের প্রধান আকর্ষণ।

স্বপ্নের দারুচিনি দ্বীপ
ছোট্ট একটি এলাকা। তবে তার মায়া বড় বেশি। ভালো না বেসে থাকা মুশকিল। সেন্ট মার্টিন গিয়ে ছেঁড়া দ্বীপে না গেলে চলে! সেন্ট মার্টিন থেকে ছেঁড়া দ্বীপ স্পিডবোটে যেতে লাগে মিনিট দশেক। তবে ট্রলার হলে ৪০ মিনিট লাগে। এই দ্বীপে মানুষের স্থায়ী বসবাস নেই। যখন ওই অঞ্চলে পর্যটকদের সংখ্যা বেশি থাকে, তখন সেখানে কিছু মানুষ পাওয়া যায়, যারা নারকেল, চানাচুরজাতীয় কিছু বিক্রির দোকান খুলে বসে। ২০০০ সালের শেষের দিকে এই দ্বীপটির সন্ধান পাওয়া যায়। ছেঁড়া দ্বীপ জোয়ারের সময় অনেকাংশে ডুবে যায়।

ট্রলারে চড়ে ছেঁড়া দ্বীপে যাওয়ার সময় সেন্ট মার্টিনের পুরো পূর্ব পাশটায় নজর বুলিয়ে নেওয়া যায়। সমুদ্রের নীল জলরাশির ভেতর নারকেলগাছবেষ্টিত সেন্ট মার্টিনের এই রূপ দেখার জন্য বারবার এখানে আসতে ইচ্ছে করবে, এটা নিশ্চিত। সেন্ট মার্টিনে সাইকেল ভাড়া পাওয়া যায়। ভাটার সময় অনেকে অ্যাডভেঞ্চারের নেশায় সাইকেল চালিয়ে ওখানে চলে যান। আমাদের দলেরও কেউ কেউ সাইকেলে গেল। ট্রলারে গেলে সেটা দ্বীপ থেকে কিছুটা দূরে নোঙর ফেলে। তারপর ছোট ডিঙি নৌকায় ছেঁড়া দ্বীপে নামা।

যেভাবে যাবেন
ঢাকা থেকে প্রথমে হানিফ, শ্যামলী, রিলাক্স, তুবা লাইন, গ্রিন লাইন, বাগদাদ, সেন্ট মার্টিন পরিবহনের বাসে করে টেকনাফ যাবেন। বাসের ভাড়া নন-এসি ৯০০ টাকা আর এসি ১ হাজার ৪০০ টাকা থেকে শুরু করে ১ হাজার ৭০০ টাকা পর্যন্ত। এরপর টেকনাফ থেকে শিপ এল সিটি কুতুবদিয়া, কেয়ারী সিন্দবাদ, এমভি কাজল, বে-ক্রুজ, গ্রিন লাইন দিয়ে সেন্ট মার্টিন। শিপের ভাড়া ৫৫০ টাকা থেকে শুরু করে ১ হাজার ৪০০ টাকা পর্যন্ত রয়েছে।

কোথায় থাকবেন
সেন্ট মার্টিনে থাকার জন্য বেশ কয়েকটি উন্নত মানের রিসোর্ট, হোটেল ও কটেজ রয়েছে। কোয়ালিটি ভেদে সেখানে জনপ্রতি রাতে ৫০০-২০০০ টাকার মধ্যে যে কেউ থাকতে পারবেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো ক্যাটাগরি
© All rights reserved © 2024 CholoJaai
Developed By ThemesBazar.Com