1. [email protected] : Cholo Jaai : Cholo Jaai
  2. [email protected] : admin2024 :
মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:১৬ পূর্বাহ্ন

কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত

  • আপডেট সময় রবিবার, ২৬ মে, ২০২৪

অপরূপ সৌন্দর্যের লীলাভূমি সাগর কন্যা কুয়াকটা; পটুয়াখালী জেলায় অবস্থিত।কুয়াকাটা দক্ষিণ এশিয়ায় একটি মাত্র সমুদ্র সৈকত যেখানে দাঁড়িয়ে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত অবলোকন করা যায়। সমুদ্রের পেট চিরে সূর্য উদয় হওয়া এবং সমুদ্রের বক্ষে সূর্যকে হারিয়া যাওয়ার দৃশ্য অবলোকন করা নিঃসন্দেহে দারুন ব্যাপার।

কুয়াকাটা বেরী বাঁধ পেরিয়ে সমুদ্র সৈকতের দিকে যেতেই বাম দিকে ব্যক্তিগত উদ্দ্যোগে মিউজিয়াম স্থাপন করা হয়েছে।এরপরই কয়েক গজ দক্ষিণে ফার্মস এন্ড ফার্মস এর রয়েছে বিশাল নারিকেল বাগানসহ ফল ও ফুলের বাগান। এ বাগানের মধ্যে স্থাপন করা হয়েছে বেশ কয়েকটি পিকনিক স্পট, এ পিকনিক স্পট পরিদর্শনের পরেই রয়েছে কাংখিত ১৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যরে বিশাল সমুদ্র সৈকত। এ সৈকতের পূর্ব দিকে এগুলোই প্রথমে দেখা যাবে  নারিকেল বাগান, সুন্দর আকৃতির ঝাউ বাগান।

বন বিভাগের উদ্দ্যোগে বিভিন্ন প্রজাতির ঝাউগাছ লাগিয়ে সমুদ্র সৈকতের শোভা বর্ধন করা হয়েছে। এ নারিকেল ও ঝাউবাগানের মধ্যেও রয়েছে পিকনিক স্পট যেখানে পর্যটকরা দল বেঁধে বনভোজনের অনাবিল আনন্দে নিজেদের একাকার করে তোলে। তার থেকে একটুই পূর্ব দিকে আগালেই চর-গঙ্গামতির লেক, সেখান থেকে একটু ভিতরে দিকে এগুলেই  সৎসঙ্গের শ্রী শ্রী অনুকূল ঠাকুরের আশ্রম ও মিশ্রীপাড়া বিশাল বৌদ্ধ বিহার।

কুয়াকাটাতে সূর্যোদয় দেখার জন্য ঝাউবনে যাওয়াই ভালো।সেখান থেকেই সূর্যাস্ত ভালো দেখা যায়, সমুদ্রের পেট চিড়ে কিভাবে সূর্য উঠে তা দেখার জন্য আপনার মতো আরও অনেক লোকই আপনার আগে চলে যাবে সেখানে সন্দেহ নেই। সকাল বেলা হেটে হেটে ঝাউবনে যেতে সময় লাগবে ২০ মিনিট। আর ভ্যানে  গেলে লাগবে ১০ মিনিট। সেখানে সারি সারি গাছ ভালো লাগবে। এই বনটি সরকার বনায়ন পরিকল্পনার অধীনে তৈরী করেছে। কারো কারো কাছে সূর্যোদয়ের চেয়ে সূর্যাস্তের দৃশ্যটা বোধহয় বেশি চমৎকার লাগে। সুর্যটা সমুদ্রে ডুবে যাওয়ার সময় রংয়ের পরিবর্তনটা আপনি স্পষ্টই দেখতে পাবেন।

সমুদ্রের গর্জন দিনের বেলা সাধারণত আশে পাশের শব্দের কারনে শোনা যায় না। সমুদ্রের যে একটা ভয়ংকর রূপ আছে তা বোঝা যায় রাতে।যদি রাতে সমুদ্রের গর্জন শুনতে চান তবে অবশ্যই যেতে পারেন সেখানে। নিরাপত্তা জনিত কোন ভয় নেই সেখানে। তবে সাবধানে থাকাই ভালো।

দর্শনার্থী ও ভ্রমণ পিপাসুদের জন্য এই সৈকতে আছে ভাড়ায় চালিত মটর সাইকেল ও ঘোড়া। ভাড়া সাধারণত দূরত্ব ও সময় অনুযায়ী হয়।

সমুদ্র উপকূলে পর্যটকদের ভ্রমণের  জন্য রয়েছে সমুদ্র ভ্রমণকারী জাহাজ ও ট্রলার এবং স্পিড বোট।এসব জাহাজ ও ট্রলারে উঠে পর্যটকরা সুন্দরবনের অংশ বিশেষ ফাতরার চর, সোনার চর, কটকা, হাঁসার চর, গঙ্গামতির লেক ও সুন্দরবন সহ গভীর সমুদ্রে বিচরণ করে অফুরন্ত আত্মতৃপ্তিতে নিজেদের ভরে তোলে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো ক্যাটাগরি
© All rights reserved © 2024 CholoJaai
Developed By ThemesBazar.Com