যদি ঘুরতে যাওয়ার জন্য লম্বা ছুটি নেওয়ার মতো সুবিধা না থাকে, তবে ঈদের ছুটি হতে পারে আপনার জন্য সেরা সময়। বিদেশে ছোট একটা ট্যুর দিয়ে ফেলুন এ ছুটিতে।
আজ দেশের বাইরের ৫টি সেরা গন্তব্যস্থল সম্পর্কে জানাব, যেখানে রিল্যাক্স বা অ্যাডভেঞ্চার কিংবা ২টিই পাওয়া যাবে। যার যেমন পছন্দ বেছে নিতে পারবেন।
থাইল্যান্ড: ব্যাংকক ও পাতায়া
থাইল্যান্ড পর্যটকদের জন্য একটি জনপ্রিয় গন্তব্যস্থল। যারা সংস্কৃতি, অ্যাডভেঞ্চার আর চিত্তবিনোদন— সবকিছুর একটা সুন্দর মিশ্রণ খুঁজছেন তাদের জন্য এটি সেরা। ব্যাংকক এতটাই প্রাণবন্ত যে এই শহর কখনই ঘুমায় না। কেনাকাটা, খাবার ও ঘোরাঘুরির জন্য থাকে অফুরন্ত সুযোগ।
উপাসনালয় থেকে নাইট মার্কেট, স্ট্রিট ফুড—সবার জন্য কিছু না কিছু আছে এই শহরে। ব্যাংককে ২ রাত থেকে শুরু করুন আপনার অবকাশ যাপন, তারপর সমুদ্রবিলাস করতে চলে যান পাতায়া। একটা স্পিডবোট ভাড়া করুন কোরাল আইল্যান্ডের জন্য।
ইন্দোনেশিয়া: বালি
বালি পরিচিত তার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, সমৃদ্ধ সংস্কৃতি আর উষ্ণ আতিথেয়তার জন্য। উবুদ হলো বালির সাংস্কৃতিক কেন্দ্র, যেখানে শিল্প, সঙ্গীত এবং নৃত্যে নিজেকে হারিয়ে ফেলার প্রচুর সুযোগ রয়েছে। ঘুরে আসুন বিখ্যাত মাঙ্কি ফরেস্ট, বিভিন্ন মন্দির আর শিল্প জাদুঘর থেকে। অবশ্যই স্থানীয় খাবার খেতে ভুলবেন না।
মালদ্বীপ: মাফুশি
যারা সূর্য, বালি ও সমুদ্র খুঁজছেন তাদের জন্য একটি স্বপ্নের গন্তব্য হলো মালদ্বীপ। মাফুশি আদিম সৈকত এবং ঝকঝকে স্বচ্ছ পানির একটি সুন্দর দ্বীপ, জলকেলি আর আউটডোর স্পোর্টসের জন্য উপযুক্ত। দ্বীপটিতে ৩-৪ রাত কাটানোর মাধ্যমে আপনি বেশ খানিকটা সময় পাবেন কোলাহলের বাইরে দ্বীপের শান্ত জীবন উপভোগ করার।
মালয়েশিয়া: কুয়ালালামপুর ও লংকাউই
মালয়েশিয়া হলো সংস্কৃতি এবং অভিজ্ঞতার এক মিশেল। কোলাহলপূর্ণ শহর থেকে শান্ত দ্বীপ সবই আছে এখানে।
একটি বাস বা কালচারাল ট্যুর দিন, পার্ক কিংবা শহর ভ্রমণে বেরিয়ে যান অথবা রাজধানী শহর কুয়ালালামপুরের ইতিহাস খুঁজতে বেরিয়ে পড়ুন। এভাবে ২ রাত কাটিয়ে ভিন্ন ধরনের অ্যাডভেঞ্চারের জন্য চলে যান লংকাউইতে। জেট স্কিইং, জলপ্রপাত আর বন্যপ্রাণী এলাকা ঘুরুন কিংবা সমুদ্রবিলাস করুন।
নেপাল: পোখারা
নেপাল আশ্চর্য প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের দেশ, যেখানে উঁচু পাহাড় এবং শান্ত লেক রয়েছে। হাইকার এবং প্রকৃতিপ্রেমী সবার জন্যই পোখারা একটি জনপ্রিয় গন্তব্যস্থল। নিজের মতো সারাদিন ঘুরতে পারবেন, এরসঙ্গে তাদের সংস্কৃতির উপভোগ করারও সুযোগ পাবেন।
হিমালয়ের মনোরম দৃশ্যের জন্য সারাংকোট পাহাড়ের চূড়ায় উঠুন অথবা ঘুরে বেড়ান শহরের মন্দির আর উপাসনালয়গুলোতে।