তাহলে কীভাবে বুকিং করবেন টয়ট্রেন?
দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়ে সূত্রের খবর, আইআরসিটিসির ওয়েবসাইট থেকে যেভাবে সাধারণ ট্রেনের টিকিট কাটা হয় সেভাবেই টয়ট্রেনের টিকিট আগাম বুকিং করা যাবে। টিকিট বুকিং করা যাবে কম্পিউটারাইজড রিজার্ভেশন কাউন্টার থেকেও। স্পটে গিয়েও টিকিট কাটার অপশন থাকছে। তবে স্পটে পৌঁছতে টিকিট কাটার সম্ভাবনা প্রায় নেই বললেই চলে। আগে থেকেই প্রায় সবসিট বুকিং হয়ে যাচ্ছে।
দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়ে সূত্রে জানা যাচ্ছে, দার্জিলিঙে দু’ধরনের টয় ট্রেন চলে। এগুলি হল জয় রাইড ও রেগুলার রাইড। জয় রাইডের মধ্যেও ডিজেল চালিত ও বাষ্প চালিত- দু’ধরনের ট্রেন রয়েছে। ডিজেল চালিত টয়ট্রেনের ক্ষেত্রে মাথাপিছু হাজার টাকা এবং বাষ্প চালিত ট্রেনের ক্ষেত্রে মাথাপিছু টিকিটের দাম ১৬০০ টাকা। রেগুলার রাইডের ক্ষেত্রে নূন্যতম ভাড়া ৪৫০ টাকা থেকে শুরু, সর্বোচ্চ ভাড়া ১ হাজার ৪২০ টাকায়। প্রতিদিন এনজিপি থেকে সকাল ১০টায় এবং দার্জিলিং থেকে সকাল ৯টায় ছাড়বে এই টয়ট্রেন।
ভাড়া নেওয়ার জন্য ভালো প্রপার্টি
গত জুলাই মাস থেকে পাহাড়ে টয়ট্রেন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। একটানা বৃষ্টির জেরে বিগত কয়েক মাস ধরে দার্জিলিং সহ পার্শ্ববর্তী জেলাগুলিতে পরিস্থিতি খুবই খারাপ হয়ে যায়। বহু জায়গায় ধস নামার কারণে ট্রেন চালানোই দুষ্কর হয়ে উঠেছিল। ক্ষতি হয় রেললাইনেরও। যে কোনও সময় বিপদ ঘটে যাওয়ার আশঙ্কাতেই ট্রেন বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়ে চেয়েছিল পুজোর আগেই রেললাইন মেরামত করে ট্রেন চালু করে দিতে। কিন্তু সেটা করা সম্ভব হয়নি। আসলে পুজোর সময়ে পাহাড় স্বাভাবিকভাবেই ভিড় বেড়ে যায়। অনেক পর্যটক দার্জিলিংয়ে আসেন শুধুমাত্র টয়ট্রেনের আনন্দ নিতে। কিন্তু ট্রেন বন্ধ থাকায় মন খারাপ ছিল সকলেরই। অবশেষে সাড়ে ৪ মাস পর আবার টয়ট্রেন চালু হয়েছে। কিন্তু আগে থেকে টিকিট না কাটলে পাহাড়ে গিয়ে টয়ট্রেন চড়ার সাধ নাও মিটতে পারে, অন্তত মানুষের উপচে পড়া ভিড় তেমনই আভাস দিচ্ছে।