কর্নাটকের অন্যতম বিখ্যাত সমুদ্র সৈকত হল ওম বিচ। ওম বিচের নাম থেকেই এটা লক্ষ করলে দেখা যাবে, ওম চিহ্নটি হিন্দু আধ্যাত্মিক প্রতীকের আকার ধারণ করে। এর পাশাপাশি নজর দেওয়া যাক এর প্রতীকটির দিকেও। দুটি অর্ধচন্দ্রাকার আকৃতি এক সঙ্গে মিলিত হয়ে সেই ওম আকৃতি তৈরি করে এবং সূর্যাস্তের একটি দর্শনীয় দৃশ্যকে তুলে ধরে চোখের সামনে। তাই ওম বিচে এক বার গেলে আপনি নিরাশ হয়ে ফিরবেন না। সৈকত এবং সমুদ্রের আশ্চর্যজনক সংমেল এবং সৌন্দর্য এখানে পর্যটকদের মনের রসদ জুগিয়েছে। সৈকতে বেড়ানোর পাশাপাশি আপনি ওম বিচ ভিউ পয়েন্টে হাইকও করতে পারেন।
বাটারফ্লাই বিচকে গোয়ার একটি হিডেন জেম বা লুকানো রত্ন বললে মোটেও ভুল হবে না। নাম অনুসারেই এখানে বেশ কয়েকটি বিদেশি প্রজাতির অপরূপ সুন্দর প্রজাপতি দেখতে পাওয়া যায়। এই অর্ধবৃত্তাকার সৈকতটি ডলফিন দেখার জন্য বিখ্যাত, নৌকা বা ট্রলারের মাধ্যমে সমুদ্রের বেশ খানিকটা ভেতরে ঘুরেও আসা যায়। পালোলেম সৈকতের উত্তরে অবস্থিত বাটারফ্লাই বিচ। সেখান থেকে নৌকায় চড়ে সহজেই এই স্থানে পৌঁছনো যায়।
অস্তরঙ্গ সমুদ্র সৈকত ওড়িশার অন্যতম সুন্দর সৈকত যা বঙ্গোপসাগরের উপকূলে অবস্থিত। অস্ত রঙ্গ সমুদ্র সৈকত থেকে সূর্যোদয় এবং সূর্যাস্তের সৌন্দর্য ভারী প্রাণবন্ত এবং মনোরম। শুধু পর্যটকদের জন্যই নয়, অস্ত রঙ্গ সমুদ্র সৈকত ফোটোগ্রাফার এবং বার্ড ওয়াচারদের জন্য এক অন্যতম স্বর্গ বলে মনে করা হয়।
কেরালা এমনিতেই গডস অন কান্ট্রি বা ঈশ্বরের নিজের দেশ। এই রাজ্যের সৌন্দর্য বাকি সমস্ত রাজ্যের তুলনায় আলাদা। কেরালার আলেপ্পির কাছে অবস্থিত মারারি বিচ কেরালায় ব্যাক ওয়াটার অবধি পৌঁছনোর জন্য সেরা জায়গাগুলির মধ্যে একটি। ভিড় থেকে বেশ অনেকটা দূরে শান্তিপূর্ণ পরিবেশের মধ্যে বিশ্রাম নিতে যেতে চাইলে মারারি বিচ আদর্শ। মারারিকুলামের মাছ ধরার গ্রাম, নারকেল ও খেজুর গাছের সারিবদ্ধ সৌন্দর্য এখানে বিখ্যাত। এ ছাড়াও যাঁরা আয়ুর্বেদের চর্চায় নিজেকে নিমজ্জিত করতে চান, তাঁরা এখানকার অনেক আয়ুর্বেদিক ম্যাসাজ কেন্দ্রের একটিতেও যেতে পারেন।
এটি ভারতের সবচেয়ে সুন্দর সৈকতগুলির মধ্যে একটি। আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের হ্যাভলক দ্বীপ শুধু সমুদ্র দেখার জন্যই বিখ্যাত নয়। এটি সবুজ বনে ঘেরা সমুদ্র সৈকত। ফিরোজা রঙের জলের সঙ্গে প্রসারিত নরম বালির সংমেল এমন একটি পরিবেশ তৈরি করে যে, আপনি এক বার এখানে এলে বার বার ফিরে যেতে চাইবেন। হ্যাভলক দ্বীপের এই রাধা নগর সৈকতটিকে সাধারণত সৈকত নং ৭ বলা হয়। আন্দামান ঘুরতে গেলে হ্যাভলক দ্বীপে যেতে হবেই।