ভারতের উত্তরপ্রদেশের আগ্রায় অবস্থিত ঐতিহাসিক শহর ফতেহপুর সিক্রি। মুঘল সম্রাট আকবর ১৫৬৯ সালে শহরটি প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন। প্রায় ১৫ বছর ধরে এই শহরটি তার রাজধানী ছিল। তবে এক সময় পানির স্বল্পতার কারণে এটি সম্পূর্ণরূপে পরিত্যক্ত হয়ে যায়। ১৯৮৬ সালে ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছিল ফতেহপুর সিক্রি-কে।
বর্তমানের ফতেহপুর সিক্রি মুঘল স্থাপত্যের জন্য বিখ্যাত। শহরটিতে মসজিদ, প্রাসাদ এবং সমাধি সহ বেশ কয়েকটি ঐতিহাসিক স্মৃতিস্তম্ভ রয়েছে। হিন্দু ও ইসলামিক স্থাপত্য শৈলীতে ভরপুর শহরটি। যা কিনা মুঘল আমলে বিকাশ লাভ করেছিল।
বুলন্দ দরওয়াজা
ফতেহপুর সিক্রি শহরে একটি জামে মসজিদ আছে। এই মসজিদের প্রবেশদ্বারে অবস্থিত বুলন্দ দরওয়াজা। এটি ১৬ শতকে মুঘল সম্রাট আকবর নির্মাণ করেন। বিশ্বের বৃহত্তম প্রবেশদ্বারগুলির মধ্যে এটি একটি।
জামে মসজিদ
১৫৭১ সালে সম্রাট আকবর দ্বারা নির্মিত হয় জামে মসজিদ। মসজিদটি তার কেন্দ্রীয় প্রাঙ্গণ এবং প্রার্থনা হল স্থাপত্যের জন্য পরিচিত।
হল
এই শহরে সম্রাট আকবর নিজ প্রয়োজনে অনেকগুলো হল বানিয়েছিলেন। তার মধ্যে দিওয়ান-ই-খাস হল একটি। এখানে সম্রাট তার দরবারীদের সাথে দেখা করতেন। গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনার জন্য এই হলটি ব্যবহার হতো। হল জুড়ে রয়েছে চিত্তাকর্ষক স্থাপত্য। এ ছাড়াও, দিওয়ান-ই-আম নামে আর একটি হল নির্মাণ করেছিলেন। যেখানে জনসাধারণ সম্রাটের সাথে দেখা করতে আসতেন। হলটি তার সুন্দর স্তম্ভর জন্য পরিচিত।
স্ত্রীদের জন্য প্রাসাদ
মুঘল সম্রাট আকবর রাণীদের জন্য একটি প্রাসাদ তৈরি করিয়েছিলেন । এটি পঞ্চমহল নামে পরিচিত। পাঁচতলা বিশিষ্ট্য এই প্রাসাদটি তার সুন্দর স্থাপত্যর জন্য বিখ্যাত।
বীরবলের বাড়ি
আকবরের কথা যারা জানেন তারা বীরবলের সম্পর্কেও জানেন। প্রাসাদটি আকবরের প্রিয় মন্ত্রী বীরবলের জন্য নির্মিত হয়েছিল। ছোট হলেও খুবই সুন্দর এই প্রাসাদটি।
সূত্র- টাইমস অব ইন্ডিয়া