সন্দ্বীপ গুপ্তছড়া ঘাটে এই নবনির্মিত জেটিটি অবস্থিত। জেটির দুই পাশের ল্যাম্পপোস্টের আলোর সৌন্দর্য দেখে আপনি মুগ্ধ হবেন। সাগরের গর্জনের শব্দের সাথে সাথে সাগরের শীতল হাওয়া আপনাকে এনে দিবে অনাবিল প্রশান্তি। এই জেটির দুই পাশে রয়েছে ম্যানগ্রোভ বন, যা জেটির সৌন্দর্য দ্বিগুণ বৃদ্ধি করেছে ।
সমুদ্র সৈকত
সৈকতটি সন্দ্বীপের রহমতপুরে ইউনিয়নে অবস্থিত। এটি রহমতপুর পুরাতন স্টিমারঘাট নামে পরিচিত। পড়ন্ত বেলায় পশ্চিম আকাশে তেজ কমে যাওয়া সূর্যটা সৈকতের প্রান্ত জুড়ে ছড়িয়ে দেয় রক্তবর্ন আভা। এই সমুদ্র সৈকতে আপনি দেখতে পাবেন সূর্যাস্তের নয়নাভিরাম দৃশ্য। সৈকতটি ভ্রমণ পিপাসুদের তির্থ স্থানে পরিনত হয়েছে। সমুদ্র সৈকতটির দৈঘ্য প্রায় ১০ কিলোমিটার।
সবুজ চর
নাম শুনেই হয়তো অনেকটা অনুমান করতে পারছেন, কেন এই জাইগাটির নাম সবুজচর। স্থানিয় অনেকে এই স্থানটিকে গ্রিনল্যান্ড ও বলে। এই জাইগাটি সন্দ্বীপের দীঘাপাড় ইউনিয়নে অবস্থিত। প্রকৃতির শান্ত স্নিগ্ধরূপ , সবুজ ঘাসের গালিচায় মোড়ানো এই চরটি। যতদূর চোখ যাবে সবুজ আর সবুজের নয়নাভিরাম দৃশ্য আপনাকে উৎফুল্ল করবে।
এই চরে রয়েছে ম্যানগ্রোভ বন, বনে রয়েছে বক, চিল, মাছরাঙা, বালিহাঁস, ময়না, টিয়া, ঘুঘুসহ আরো অনেক রকম পাখি। শীতকালে অতিথি পাখির কলকাকলীতে মুখরিত হয়ে ওঠে এই গ্রীনল্যান্ডটি।চিন্তার কোন কারণ নেয়,ভাড়া চালিত মোটরসাইকেল, সিএনজি দিয়ে সন্দ্বীপ কমপ্লেক্স থেকে ৩০-৪০ মিনিটে মধ্যে পৌঁছে যাতে পারবেন সবুজচর।
নিরাপত্তা
আপনি কোথাও ঘুরতে যাবেন, নিরাপত্তার কথা ভাববেন না তা কী হয়! আপনার নিরাপত্তা দেয়ার জন্য এখানে রয়েছে বাংলাদেশ পুলিশ ও কোস্টগার্ড। নিরাপত্তার বিষয়ে চিন্তা করার কোন প্রয়োজন নেয়। এই দ্বীপের স্থানীয় লোকজন অনেক আন্তরিক ও অতিথিপরায়ণ।
প্রতিদিনকার ব্যস্ত জীবন থেকে একটু মুক্তি পেতে চাইলে ঘুরেই আসুন না অসম্ভব সুন্দর সাগর কন্যার দ্বীপ থেকে। দেখুন প্রকৃতি কি অপরূপ পসরা সাজিয়ে আপনার আসার অপেক্ষায় আছে।