পর্যটন খাতের দিকে পুরো নজর দিয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের অন্যতম প্রভাবশালী দেশ সৌদি আরব। দেশটির বেশ কিছু উদ্যোগ চমকে দিয়েছে বিশ্বকে। ২০৩০ সাল লক্ষ্য ধরে পর্যটন খাত উন্নয়নের দিকে এগোচ্ছে সৌদি আরব। দেশটির ভ্রমণ ও আন্তর্জাতিক সম্পর্কবিষয়ক উপমন্ত্রী আল মুসালাম জানান, পর্যটন খাত উন্নয়নে বছরের পর বছর বিনিয়োগ করছে সৌদি আরব এবং প্রতিনিয়ত বিদেশি পর্যটকদের ভ্রমণের জন্য আহ্বান জানাচ্ছে।
পর্যটন বাজার সম্প্রসারণ
ই-ভিসা চালু করার পর থেকে সৌদি আরবের প্রতি পর্যটকদের আগ্রহ বাড়ার বিষয়টি উপলব্ধি করে দেশটির সরকার। ইউনাইটেড ন্যাশন ওয়ার্ল্ড ট্যুরিজম অর্গানাইজেশন সৌদি আরবকে বর্তমান বিশ্বের অন্যতম পর্যটন দেশ হিসেবে আখ্যায়িত করেছে। ২০১৯ সালের পর থেকে দেশটিতে পর্যটকের সংখ্যা বেড়েছে প্রায় ৭৩ শতাংশ। উপমন্ত্রী আল মুসালাম জানান, এখন তাঁদের লক্ষ্য ভ্রমণ বাজারকে আরও প্রসারিত করা। শুধু তা-ই নয়, পর্যটকেরা যেন আবারও ভ্রমণে আসতে আগ্রহী হয়, সেদিকে নজর দেওয়া।
ভিশন ২০৩০
২০৩০ সালের মধ্যে প্রায় ১০ কোটি পর্যটককে সৌদি আরবে আনতে চায় দেশটির কর্তৃপক্ষ। চলতি বছরের শেষে তাদের পর্যটকের সংখ্যা দাঁড়াবে প্রায় ৩ কোটিতে। যাদের বেশির ভাগই এশিয়ার পর্যটক। সৌদি আরব তাদের এই পরিকল্পনার অংশ হিসেবে জোর দিচ্ছে বিমান যোগাযোগের দিকে। চলিত বছরের শুরুর দিকেও চীন থেকে সরাসরি সৌদি আরবে যাওয়ার উপায় ছিল না। কিন্তু দ্রুততম সময়ে এখন চীনের চারটি শহর থেকে সরাসরি দেশটিতে বিমান যোগাযোগের ব্যবস্থা করা হয়েছে। কারণ, এশিয়ার পর্যটকদের মধ্যে চীন ও ভারতের দিকে বেশ নজর দিয়েছে দেশটি। এমনকি চীনে ‘গো রেড’ শিরোনামে একটি ভ্রমণ প্রচারণাও চালিয়েছে সৌদি আরব।
বিলাসী ভ্রমণ
সৌদি আরব পর্যটনে বিনিয়োগ করেছে নিজেদের জিডিপি বাড়াতে। তাই শুরু থেকেই বিলাসী ভ্রমণের দিকে নজর দিচ্ছে তারা। সে লক্ষ্যে ইতিমধ্যে রেড সি কোস্ট এলাকাকে লাক্সারিয়াসভাবে তৈরি করা হয়েছে। সেখানে রয়েছে দামি রিসোর্ট ও খাবারের হোটেল। এ ছাড়া অবকাঠামো নির্মাণ এবং নিজেদের সংস্কৃতি তুলে ধরতে উদার হস্তে ব্যয় করছে সৌদি আরব।
আরব দেশগুলোর বিনিয়োগ
অভ্যন্তরীণ বিনিয়োগের বাইরেও আরবের অন্য দেশগুলোকে তাদের পর্যটন খাতে বিনিয়োগের জন্য আহ্বান জানাচ্ছে সৌদি আরব। এরই মধ্যে এতে যোগ দিয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত, কাতার, বাহরাইন, ওমান ও জর্ডান।
সূত্র: স্কিফট