সৌদি আরব হাজার হাজার বর্গকিলোমিটার এলাকার মরুভূমিকে নতুন শহরে পরিণত করতে চাইছে। শুধু গত মাসেই নেওয়া হয়েছে এমন দুটি বড় প্রকল্প।
মূলত তেলভিত্তিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থাকে রূপান্তর, নতুন চাকরির ক্ষেত্র তৈরি ও বিনিয়োগ বাড়াতেই এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানা যায়। এগুলোতে একটি জটিল কার্যক্রমের জন্য সমন্বিত সেবাব্যবস্থা, পর্যটন, শিল্প ও আর্থিক সংস্থানবিষয়ক বিশেষ স্থান, বিনোদন শহর এবং ১০ বিলিয়ন ডলারের অর্থনৈতিক শহর গড়ে তোলার পরিকল্পনা রয়েছে।
এছাড়া সৌদি আরবের ৫০টি দ্বীপকে বিশেষভাবে পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। সেখানকার আল-মদিনা প্রদেশের মাদাইন সালেহ নামের প্রত্নতাত্ত্বিক অঞ্চলটিও পর্যটকদের জন্য খুলে দেওয়া হবে।
অর্থনীতির রূপান্তরের স্বার্থেই রক্ষণশীল সমাজে বিনোদনের ওপর কড়াকড়ি কমাতে চাইছে সৌদি আরব। এরই মধ্যে নারীদের গাড়ি চালানো, সিনেমা হল তৈরি এমনকি থিমপার্ক বানানোর মতো পদক্ষেপ নিয়ে ফেলেছে।
জানা গেছে, সৌদি আরবের সবচেয়ে উচ্চাকাঙ্ক্ষী কিছু প্রকল্পের মধ্যে লোহিত সাগরও রয়েছে। এর উপকূলীয় এলাকাকে পর্যটনের জন্য বেছে নেওয়া হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, সারা বিশ্বের পর্যটকরাই এদিকে আকৃষ্ট হবেন। উমলু ও আল ওয়াহ শহরে উন্নয়নকাজ করা হবে ধনী পর্যটকদের কথা মাথায় রেখে।
অর্থনৈতিক কাঠামো বদলের জন্য তাদের চেষ্টা এখনো চলমান আছে। সারা বিশ্বে খ্যাতনামা সব দেশের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে একটি চরম রক্ষণশীল সমাজে এ প্রক্রিয়া কতটুকু সফল হবে, সেটিই এখন দেখার বিষয়।