ইতালির ভেনিস (Venice) শুধু রোমান্টিক পরিবেশের জন্যই নয়, বরং এটি একটি ডুবন্ত শহর হিসেবেও পরিচিত। এর ঐতিহাসিক খাল, স্থাপত্য ও সংস্কৃতি বিশ্বজুড়ে পর্যটকদের মুগ্ধ করে, কিন্তু ধীরে ধীরে এটি সমুদ্রের নিচে তলিয়ে যাচ্ছে।
খ্রিস্টপূর্ব ৫ম শতকে রোমান সাম্রাজ্যের পতনের পর মানুষ নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে লেগুন অঞ্চলে আসতে শুরু করে।
৭ম শতকে এটি একটি শক্তিশালী নৌ-বাণিজ্য কেন্দ্র হয়ে ওঠে এবং ভেনিসিয়ান রিপাবলিক প্রতিষ্ঠিত হয়।
মধ্যযুগ ও রেনেসাঁ যুগে এটি ইউরোপের অন্যতম ধনী শহর হয়ে ওঠে।
1. প্রাকৃতিক কারণ: শহরটি ১১৮টি ছোট দ্বীপের ওপর তৈরি, যা নরম মাটির কারণে ধীরে ধীরে বসে যাচ্ছে।
2. জলবায়ু পরিবর্তন: বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধির ফলে সমুদ্রের পানির স্তর বাড়ছে, যা শহরকে প্লাবিত করছে।
3. মানবসৃষ্ট কারণ: শিল্পকারখানার জন্য ভূগর্ভস্থ পানি উত্তোলন ভেনিসের ভূমি আরও দুর্বল করে ফেলেছে।
মোইস প্রকল্প (MOSE Project)
ভেনিসকে বাঁচাতে ২০০৩ সালে MOSE (Modulo Sperimentale Elettromeccanico) প্রকল্প শুরু হয়। এটি একটি বাধা ব্যবস্থা, যা উচ্চ জোয়ারের সময় লেগুনে পানি প্রবেশ আটকাতে সাহায্য করে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ভেনিস যদি এখনই কার্যকর পদক্ষেপ না নেয়, তবে আগামী ৫০-১০০ বছরের মধ্যে শহরের বড় অংশ পানির নিচে চলে যেতে পারে।
ভেনিস ভ্রমণে গেলে আপনি গন্ডোলা রাইড ও ঐতিহাসিক স্থাপত্যগুলো উপভোগ করতে পারেন, তবে এটিও মনে রাখতে হবে—এই শহর একদিন সত্যিই হারিয়ে যেতে পারে! আপনি কি কখনও ভেনিস ভ্রমণের পরিকল্পনা করেছেন?